0112241733051495bdplus24.png
Loading...

সর্বশেষ


রাজধানী
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনকে নিরাপত্তা দিতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি ভারত সরকারের এই ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। গতকাল সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন। গতকাল আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এই হামলা চালান। একই দিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক শ লোক বিক্ষোভ করেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশটির (ভারত) অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশের উপ ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ভারত সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আগরতলার হামলার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন। আগরতলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আসিফ নজরুল তাঁর পোস্টে প্রশ্ন রাখেন, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি’ নামের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমণাত্মক প্রচারণায় মেতে উঠত ভারত? আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা (ভারতীয় সরকার) এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানান তিনি। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও নিন্দা জানান আসিফ নজরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর, এর জন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত। বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠাতে জাতিসংঘের কাছে আরজি জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি গতকাল আহ্বান জানান মমতা। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান। ভারতকে উদ্দেশ করে আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘...আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী।’ আসিফ নজরুল আরও লিখেছেন, শেখ হাসিনার সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত তোষণনীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।

ক্রিকেট
দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। বল-ব্যাট হাতে তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও। সাকিব আল হাসান হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মুদ্রার উল্টো দিকও আছে। নিষিদ্ধ–কাণ্ডে জড়িয়ে সাকিব আইসিসির বহিষ্কারাদেশ কাটিয়েছেন এক বছর। আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হয়ে বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আছে শেয়ারবাজারে নয়ছয়ের অভিযোগও। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নাম জড়িয়েছে হত্যা মামলায়। এত ইতিবাচক আর নেতিবাচক অভিজ্ঞার পরও একটা বিষয় সাকিবের ছিল অজানা। কাল সেটাও হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অদূরের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে। সাকিবের কাছের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, সেখানকার বিশেষজ্ঞদের সামনে কাল বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। পরীক্ষায় মোট চার ওভার বোলিং করা সাকিব আশাবাদী, তাঁর বোলিং অ্যাকশনে কোনো ত্রুটি ধরা পড়বে না। সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কাউন্টির চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ান-এর একটি ম্যাচে। গত সেপ্টেম্বরে এই টুর্নামেন্টে সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি খেলেন সাকিব। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য ওই সময় সারের ৮ জন ক্রিকেটার ছিলেন না। সে কারণেই মাত্র ১ ম্যাচের জন্য সারে সাকিবকে দলে নিয়েছিল। ২০১১-১২ মৌসুমের পর কাউন্টিতে সাকিবের প্রথম ম্যাচ ছিল সেটি। সারের ১১১ রানে হেরে যাওয়া টন্টনের সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে ৬৩ ওভার বোলিং করে ৯ উইকেট নেন সাকিব। ওই ম্যাচের প্রায় দুই মাস পর গত মাসের শুরুতে জানা যায়, ওই সময়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ম্যাচের দুই আম্পায়ার। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্যারিয়ারে মোট ৭১২ উইকেট সাকিবের। কিন্তু ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেটেই এর আগে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। কাউন্টিতে সে প্রশ্ন ওঠার পর ধারণা করা হচ্ছিল, আঙুলের পুরোনো চোটের কারণেই সাকিবের কোনো ডেলিভারির অ্যাকশনে গড়বড় হয়ে থাকতে পারে। সাকিবকে অবশ্য তখনই খেলা থেকে নিষিদ্ধ বা কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে ইসিবির অধীন যেকোনো ম্যাচ খেলতে হলে তাঁকে বোলিং অ্যাকশনের ছাড়পত্র নিয়েই খেলতে হবে। সে কারণেই ইসিবি অনুমোদিত লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিলেন সাকিব। সূত্র জানিয়েছে, অ্যাকশনের পরীক্ষায় সাকিব প্রথমে ৩ ওভার একটু জোরের ওপর বোলিং করেন। পরে গতি কমিয়ে বোলিং করেন আরও ১ ওভার। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার ফল পেয়ে যাওয়ার কথা সাকিবের। ইংল্যান্ড থেকে আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরবেন তিনি।

জেলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১১টি নোটিশ দেওয়া হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করার অভিযোগ আছে। কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চুয়েটের প্রধান ফটকের বাইরে ইমাম গাজ্জালী কলেজের সামনে নিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি ১১ জনকে অভিযুক্ত করেছে। এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির পরিপন্থী। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি মোতাবেক কেন তাঁদের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় নোটিশে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরে সশরীর উপস্থিত হয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয় তাঁদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, নবীন শিক্ষার্থীরা আসার পর তাঁদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা অমানবিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। কারণ দর্শানোর পর তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা
রাজধানীর লালবাগের আজিমপুরের একটি এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ককে তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এবং অভিযোগপত্রে নাম অন্তর্ভুক্ত করার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। সোমবার সন্ধ্যার পর আজিমপুরের ওই এতিমখানা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক তিনজনের মধ্যে একজন র‍্যাবের সদস্য ল্যান্স করপোরাল শাহীন। তিনি র‍্যাব-১০–এ কর্মরত আছেন। অন্য দুজনের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল সিরাজুল ইসলাম। আরেকজন হলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস। এ ঘটনায় র‍্যাব-১০-এর লালবাগ ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা জড়িত বলে ওই এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক অভিযোগ করেছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যশিনু প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনকে আটক করার পর সেনাবাহিনী তাঁদের থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হচ্ছে। এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনায় আদালতে করা একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। বিষয়টি ওই র‍্যাব কর্মকর্তা জানতে পারেন। পরে গত ২৭ নভেম্বর এতিমখানায় ল্যান্স করপোরাল শাহীন ও অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল সিরাজুল ইসলামকে পাঠান। দুজন সাদাপোশাকে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে উদ্যত হন। এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক আরও বলেন, একপর্যায়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার এড়ানো এবং অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য তাঁকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন শাহীন ও সিরাজুল। তাৎক্ষণিকভাবে ধার করে তাঁদের দুই লাখ টাকা দেন তিনি। বাকি আট লাখ টাকার একটি চেক দেন। আজ সন্ধ্যার পর সেই চেক ফেরত দিয়ে নগদ আট লাখ টাকা নিতে আসেন তিনজন। বিষয়টি আগে থেকেই সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছিল। সেনাবাহিনী এসে তিনজনকে আটক করে লালবাগ থানায় নিয়ে যায়। র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ হিসেবে এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক একটি অডিও রেকর্ড হাজির করেছেন। তিনি বলেছেন, ৩০ নভেম্বরের ওই অডিও রেকর্ডে তাঁর সঙ্গে ওই র‍্যাব কর্মকর্তার কথোপকথন রয়েছে। ওই অডিও রেকর্ডে যেসব কথাবার্তা হয়েছে, তাতে দাঁড়ায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা ও নিউমার্কেট থানার তিনটি হত্যা মামলায় ওই তত্ত্বাবধায়কের নাম এসেছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীর মামলাসংক্রান্ত বিষয়টি এরই মধ্যে সমাধান করেছেন র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি দ্রুত টাকা দেওয়ার জন্য তাগাদা দেন। তত্ত্বাবধায়ক তখন তাঁকে বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে জানাবেন। ওই টাকা নিতে এসেই তিনজন আটক হন। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’ এর আগে ১১ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে আবু বকর নামের এক ব্যবসায়ীর বাসায় ও কার্যালয়ে ডাকাতি হয়। সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরা ডাকাতেরা নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন। তাঁরা ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করেন বলে গৃহকর্তা ও পুলিশ সূত্র জানায়। ওই ঘটনায় র‍্যাবের সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ওই ডাকাতিতে র‍্যাব–৪-এ কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যেরও (নন-কমিশন্ড) নাম এসেছিল।