0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

বিশ্ব


প্রথমদিকে আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে বট বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহযোগিতা, আর কূটনৈতিক সাপোর্ট—সবই ছিল ইউক্রেনের জন্য। কিন্তু এখন… সেই আগ্রহ কমে এসেছে। কেন? হঠাৎ কী হলো? যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইউক্রেন নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা এখনো সহায়তার পক্ষে, কিন্তু রিপাবলিকানদের অনেকেই বলছে — এই যুদ্ধ আমাদের না!

তারা বলছে, এত টাকা ইউক্রেনে না দিয়ে আমেরিকার স্কুল, হাসপাতাল আর ইনফ্রাস্ট্রাকচারে লাগাও। এমনকি কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা আটকে দিচ্ছে অনেক রিপাবলিকান। আর তাইতো কিছুদিন আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একপ্রকার ডেকে এনে অপমান করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে আমরা আর তোমার সাথে নেই। অবশ্য আমেরিকা এভাবে মাঝ পথে বিপদে ফেলে অনেকবার চলে এসেছে। এমন অনেক ইতিহাস রয়েছে।


 

গুঞ্জন হলেও অনেকটা ওপেন সিক্রেট এই যে, ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে রয়েছে ’গোপন’ সম্পর্ক।  
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিভিন্ন মিডিয়া এবং রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করেছে। এর মধ্যে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, হ্যাকিং এবং নির্বাচনী তথ্য ফাঁস করা। ট্রাম্প অনেকবার পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে একজন "শক্তিশালী নেতা" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। "পুতিন শক্তিশালী নেতা" এবং "আমি চাই পুতিনের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকুক" — এই ধরনের মন্তব্যগুলো ট্রাম্পের পুতিনের প্রতি নরম মনোভাবকে তুলে ধরে।


করোনা মহামারির পর আমেরিকার অর্থনীতি এমনিতেই চাপে। তার উপর ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনে কয়েক ডজন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে গেছে। এতে সাধারণ আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে—এই খরচ কি আদৌ দরকার ছিল? বিশ্বে এখন শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুই না। চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, ইরান প্রশ্ন—এসব জায়গাতেও আমেরিকার নজর দিতে হচ্ছে। তাই এককভাবে ইউক্রেনকে আর আগের মতো গুরুত্ব দেওয়া যাচ্ছে না।

 

যুদ্ধ দুই বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ইউক্রেন এখনও বড় কোনো জয় পায়নি। রাশিয়াও থামছে না। এমন অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলো ভাবছে—'এই যুদ্ধে যদি জয় নিশ্চিত না হয়, তাহলে এত রিসোর্স ঢেলে কী লাভ? তারা এখন আলোচনার দিকেও তাকাচ্ছে। অনেকেই চাচ্ছে যুদ্ধ একেবারে থেমে না গেলেও অন্তত স্থির হয়ে যাক। একটা ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট, যেন রাশিয়া-ইউক্রেন 'অফিসিয়ালি' না হলেও বাস্তবে যুদ্ধ থামিয়ে ফেলে। তাতে করে সবাই ধীরে ধীরে তাদের ফোকাস অন্য জায়গায় দিতে পারে।


সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কখনোই স্থায়ী বন্ধুত্ব বা শত্রুতার জায়গা না। সবার আগে আসে নিজেদের স্বার্থ।তাই যেসব দেশ একসময় ইউক্রেনের পাশে ছিল—তারা আজ হিসাব কষে দেখছে, এই সম্পর্ক কতটুকু কাজে দিচ্ছে। আর এখানেই বদলে যাচ্ছে খেলার নিয়ম দাদাগিরি স্বভাবের কারণে আমারিকা বর্তমানে অনেক আলচিত ও সমালোচিত, এদের বন্ধুকে বিপদে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেহায়েত কম নয়।







 

 





 


আমরা যখন রাতে ঘুমাতে যাই, তখন আগে একটু চিন্তা করি—আগামীকাল কী করবো, কোথায় যাবো, কী খাব !আর তারপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু পৃথিবীর আরেক প্রান্তে, এমন এক নগরী আছে, যেখানে মানুষের ঘুম ভাঙে বোমার গর্জনে। সেই গর্জনে কেঁপে ওঠে মাটি, ছিন্নভিন্ন হয় শরীর, আর রক্তের গন্ধ মিশে যায় বাতাসে। সেই নগরীর নাম গাজা।

যেখানে দুধের শিশুও রক্ষা পায় না ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন থেকে। একসময় যেখানকার মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতো, আজ তারা বন্দী এক খাঁচার ভেতর। তারা চায় মুক্তি, চায় স্বাধীনতা। আর আমরা? আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিই, প্রতিবাদে স্ট্যাটাস লিখি, তারপর জীবন চালিয়ে যাই আগের মতোই।


 

মানচিত্রের দিকে তাকালে বুক কেঁপে ওঠে—চারপাশে এতগুলো মুসলিম দেশ থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিন আজ এতটাই একা, এতটাই অসহায়। আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কেউ নেই। শুনতে এতোটাই খারাপ লাগে যে এতো গুলো শক্তিশালী মুসলিম দেশ থাকার পরেও তারদের দোয়া করতে হয় ইমাম মাহদির আগমনের। আর তারা তাকিয়ে থাকে, যদি কোনো ভাই এসে দাঁড়ায় তাদের পাশে। অন্তত কেউ যদি আসে ! কিন্তু কেউ তো আসে না। কেউ না।

তাদের হাহাকের কান্না আর চিৎকারে আমার আপনার ভিতর টা কেপে উঠলেও যাদের মন কেপে উঠার দরকার ছিল তারা দুনিয়া নিয়ে ব্যাস্ত। কিন্তু দেখুন ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ভারত গোপনে সামরিক সহায়তা পাঠায়। আমেরিকা তো খোলাখুলিই অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। আর আমাদের কিছু নেতা যেন চোখ থাকতেও অন্ধ! তাদের এই অন্ধত্ব কি শুধুই নির্বাকতা, নাকি এর পেছনে আছে কোনো গভীর রহস্য?

চলুন, রহস্য খুঁজি।

আরব দেশগুলো—তাদের মূল আয় তেলের ওপর নির্ভরশীল। আর সেই তেলের বড় ক্রেতা আমেরিকা ও ইউরোপ। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে আরব দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু গোপনে কয়েকটি মুসলিম দেশ গাদ্দারি করেছিল বলে শোনা যায়।

ফলাফল?
ইসরায়েলের বিজয় আর ফিলিস্তিনের রক্তমাখা পরাজয়। আজ সেই আরব দেশগুলো বিলাসিতায় ডুবে আছে। দুনিয়ার সবচেয়ে উঁচু ভবন, সবচেয়ে দামি হোটেল, সবচেয়ে ঝলমলে শপিং মল—সবই আছে তাদের কাছে। তারা ভাবে, যুদ্ধ শুরু হলে তাদের দালান ভেঙে যাবে, বাজার হারাবে, ক্ষমতা হারাবে। তাই মুখে নীরবতা, চোখে অন্ধকার।


 

কিন্তু তারা ভুলে গেছে মুসলিম জাতির গর্বিত অতীত। যেখানে মুসলমানরা একসাথে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আজ সেই বুক ভরে গেছে বিলাসিতা আর স্বার্থে। কিন্তু মনে রাখতে হবে—এই দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়। একদিন হিসাব হবে। একদিন প্রত্যেক রক্তবিন্দুর জবাবদিহি হবে। তখন আর কোনো সুউচ্চ টাওয়ার, বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা বিদেশি মুদ্রা কাউকে রক্ষা করতে পারবে না।


তাই এখনই সময়—ঘুম ভাঙার, প্রশ্ন করার, দাঁড়িয়ে যাওয়ার। আজ যদি আমরা চুপ থাকি, কাল হয়তো আমাদের গল্পও হবে ফিলিস্তিনের মতোই—রক্ত আর কান্নার ইতিহাস।


 


 


বেশি পরিমাণে গাছ কাটা মানুষ হত্যার চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। 

অবৈধভাবে কেটে ফেলা প্রতিটি গাছের জন্য এক ব্যক্তিকে ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সময় দেশটির শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূঁইয়ার একটি বেঞ্চ সুরক্ষিত তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোনে ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে একজন ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে এই পর্যবেক্ষণ দেন। 

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এই বেঞ্চ বলেছে, পরিবেশগত বিষয়ে কোনো দয়া দেখানো উচিত নয়। বিপুলসংখ্যক গাছ কাটা একজন মানুষকে হত্যা করার চেয়েও খারাপ। শীর্ষ আদালত বলেছে, অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে কেটে ফেলা ৪৫৪টি গাছের তৈরি সবুজ আচ্ছাদন পুনরায় তৈরি বা পুনরুজ্জীবিত করতে কমপক্ষে ১০০ বছর সময় লাগবে। 

এছাড়া আদালত কেন্দ্রীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির (সিইসি) প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে, যেখানে মথুরা-বৃন্দাবনের ডালমিয়া ফার্মে শিব শঙ্কর আগরওয়াল নামে এক জনের ৪৫৪টি গাছ কাটার জন্য গাছপ্রতি ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

আগরওয়ালের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি যুক্তি দেন, তিনি ভুল স্বীকার করেছেন কিন্তু আদালত জরিমানার পরিমাণ কমাতে অস্বীকৃতি জানান। 

আদালত বলেছে, আগরওয়ালকে কাছাকাছি স্থানে বৃক্ষরোপণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অবমাননার আবেদনটি কেবল সম্মতি দেওয়ার পরেই নিষ্পত্তি করা হবে। এর আগে শীর্ষ আদালত তার ২০১৯ সালের আদেশও প্রত্যাহার করেছে, যা তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোনের মধ্যে বনের মধ্যে নয় এমন এবং ব্যক্তিগত জমিতে গাছ কাটার জন্য পূর্ব অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করেছিল।
 


বাংলাদেশি নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের কলকাতায় নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির এক সংসদ সদস্য।

ফাইল ছবি:নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন

সোমবার রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ সমীক ভট্টাচার্য এ আহ্বান জানান।পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ বলেন, মৌলবাদী শক্তির প্রতিবাদের কারণে নাসরিনকে তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল।

তসলিমা নাসরিন তাঁর উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশের পর বাংলাদেশে রক্ষণশীলদের আক্রমণের শিকার হন। ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের ক্রমাগত হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেন এবং পরে ভারতে আশ্রয় নেন।

২০০৪ সালে নাসরিন কলকাতায় আসেন এবং শহরটিকে তাঁর সাহিত্য ও ব্যক্তিগত জীবনের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে মনে করেন। তবে ২০০৭ সালে কলকাতায় রক্ষণশীল হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর প্রবল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে তিনি আবারও শহর ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর থেকে তিনি দিল্লি ও অন্যান্য শহরে বসবাস করছেন।

 রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি সাংসদ সমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তসলিমা নাসরিন কলকাতাকে খুব পছন্দ করেন এবং সেখানে ফিরে যেতে চান। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, তাঁর কলকাতায় নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হোক, যাতে তিনি তাঁর লেখালেখির ওপর মনোযোগ দিতে পারেন।’

সমীক অভিযোগ করেন, অতীতে এক কংগ্রেস নেতা জনসাধারণের মধ্যে নাসরিনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি করেছিলেন। পরে ওই নেতা কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

তসলিমা নাসরিন বর্তমানে ভারতে অস্থায়ী আবাসিক অনুমতির ভিত্তিতে বসবাস করছেন। প্রতি বছর তাঁকে ভিসার মেয়াদ নবায়ন করিয়ে নিতে হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর আবাসিক অনুমতির মেয়াদ আরও বাড়ায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে কলকাতায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।
 


যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিজ হামলায় প্রাণহানির শিকার হয়েছেন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে।

চিকিৎসাবিদদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।

আলজাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা।

এদিকে আল জাজিরা আরবির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা সিটিতে ইসরাইলি বিমান হামলার ফলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-দারাজ পাড়া শহরে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল আল-তাবি’ইন স্কুলে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ও বোমা হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

এছাড়াও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরাইল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ছয় সপ্তাহ ধরে চলা প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরাইল প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরাইল এবং হামাস মধ্যস্থতামূলক আলোচনা শুরু করেছিল।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে (ইসরাইলি সামরিক বাহিনী) এবং শিন বেইট গাজা উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করছে।
 


অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদমেলা। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন অসি বাংলা সিস্টারহুড এ মেলার আয়োজন করে। 

গত ৯ মার্চ (রবিবার) সিডনির লিভারপুলে ঈদমেলার আয়োজন করে সংগঠনটি। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকেই অতিথিদের পদচারণায় ভরে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।


ঈদ মেলায় ৭৫টিরও বেশি পোশাক, গহনা, মেহেদি, খেলনা ও সুস্বাদু দেশী খাবারের স্টল ছিলো। বাচ্চাদের জন্য ছিল ফেস পেইন্টিংসহ ছবি আকার সুযোগ। মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের বেশিরভাগই ছিলো বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তারা। রমজানের থিমে সাজানো রিবনস এন্ড রোজেজ এর ব্যানার সকল অতিথিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অসি বাংলা সিস্টারহুড এর প্রতিষ্ঠাতা জান্নাত ফেরদৌস বলেন, মেলার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে দেশীয় ঐতিহ্য এবং ঈদ পোশাক পৌঁছে দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বপরিবারে এবং স্ববান্ধবে প্রিয়জনদের জন্য পছন্দের ঈদ উপহার কেনায় ব্যস্ত সময় কাটান। সিডনির বাইরের শহরগুলো থেকেও অনেক অতিথি এই মেলায় উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের প্রশংসা করেন।


গত ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৫ বছর বয়সী মানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম ডিনো ও ১০১ বছর বয়সী তার স্ত্রী মারিয়া ডি সউজা ডিনো ৮৪ বছর ৭৭ দিন একসঙ্গে কাটিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।

ছবি: ডিনো পরিবারের সৌজন্যে/পিপল

ব্রাজিলের এক দম্পতি একসঙ্গে ৮৪ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছেন।

সম্প্রতি বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তিদের জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণকারী বৈশ্বিক ডেটাবেস লঞ্জেভিকুয়েস্ট এই রেকর্ড নিশ্চিত করেছে। 

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৫ বছর বয়সী মানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম ডিনো ও ১০১ বছর বয়সী তার স্ত্রী মারিয়া ডি সউজা ডিনো ৮৪ বছর ৭৭ দিন একসঙ্গে কাটিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।

১৯৩৬ সালে উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের সেয়ারা রাজ্যের বোয়া ভিয়াজেম অঞ্চলে প্রথম দেখা হয় তাদের। নিজেদের কৃষিভিত্তিক পরিবারে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের পরিচয়। তখন মানোয়েল বোয়া ভিয়াজেমের আলমেইদা অঞ্চলে রাপাদুরা নামক এক ধরনের ব্রাজিলিয়ান ক্যান্ডির চালান সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখনই মারিয়ার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়।

তবে সেই পরিচয়ে কোনো সম্পর্ক এগোয়নি। এর কয়েক বছর পর ভাগ্য আবারও তাদের পথ মিলিয়ে দেয়। আর তখন থেকেই শুরু হয় তাদের দীর্ঘ প্রেমের গল্প। 

১৯৪০ সালের নভেম্বর মাসে তারা বিয়ে করেন; তখন মানোয়েলের বয়স ২১ আর মারিয়ার ১৭ বছর।

লঞ্জেভিকুয়েস্টের মতে, মানোয়েলের ক্ষেত্রে এটি ছিল 'প্রথম দেখায় প্রেম'। তবে মারিয়ার মা শুরুতে এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু মানোয়েল পারিবারিক সম্মতি পাওয়ার আশায় চেষ্টা চালিয়ে যান। এমনকি, তিনি মারিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার আশায় একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন।

তরুণ বয়সে মানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম ডিনো ও মারিয়া ডি সউজা ডিনো। ছবি: ডিনো পরিবারের সৌজন্যে/পিপল

বিয়ের পর তারা দুজনই তামাক চাষ করতেন। তাদের ১৩ জন সন্তানের মধ্যে ৯ জন এখনও জীবিত। সময়ের পরিক্রমায় এই দম্পতি ৫৫ জন নাতি-নাতনি, ৬০ জন প্রপৌত্র ও ১৪ জন প্রপ্রপৌত্রের দেখা পেয়েছেন।

বর্তমানে তারা দুজন বেশ শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন। বয়সের কারণে মানোয়েল অধিকাংশ সময় বিশ্রাম নেন। সন্ধ্যা হলে তারা পাশাপাশি বসে রেডিওতে 'রোজারি প্রার্থনা' শোনেন। এরপর টেলিভিশনে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাসের অংশ।

এই দীর্ঘ ও সুখী দাম্পত্যের রহস্য কী? — এমন প্রশ্নের উত্তরে মারিয়ার সহজ-সরল উত্তর 'ভালোবাসা'।

এর আগে, সবচেয়ে দীর্ঘ দাম্পত্যের রেকর্ড ছিল মার্কিন দম্পতি হারবার্ট ফিশার ও জেলমাইরা ফিশারের দখলে। ২০১১ সালে হারবার্টের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা ৮৬ বছর ২৯০ দিন একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাদের এই অনন্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছিলেন।

ইতিহাসে নথিভুক্ত দীর্ঘতম দাম্পত্যের রেকর্ড রয়েছে ডেভিড জ্যাকব হিলার (জন্ম ১৭৮৯) ও সারাহ ডেভি হিলারের (জন্ম ১৭৯২) নামে। এই মার্কিন দম্পতি ৮৮ বছর ৩৪৯ দিন একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন। 


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদেরও ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গত মাসে বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের সংখ্যা কত, আর কবে থেকে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ নিজ নাগরিকদের নিতে রাজি। তবে ভারতীয়দের মতো হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে অসম্মানজনক উপায়ে ফেরত পাঠানো যেন না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও চায় না বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত আনার বিষয়ে বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের লোকজনকে ফেরানোর ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া রয়েছে, সেটি অনুসরণের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অর্থাৎ নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের লোকজনকে ফেরত নেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের লোকজনকে যেভাবে হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেটি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।


এক ফোন কল, একটিমাত্র সংখ্যা— আর তাতেই বদলে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী এক বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য।

দেশটির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালিত শুল্কমুক্ত ‘বিগ টিকেট’ লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৭ কোটি) জিতেছেন জাহাঙ্গীর আলম (৪৪), পেশায় একজন জাহাজ নির্মাণ শ্রমিক।

কঠোর পরিশ্রমে কাটছিল প্রবাসজীবন, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও কম ছিল না। তবে সোমবারের সেই ক্ষণে তার জীবনে এল এক অলৌকিক মোড়। নামাজের মাঝেই এল ভাগ্য বদলের ডাক।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি, আশা নিয়ে ‘বিগ টিকেট’ লটারির কুপন ১৩৪৪৬৯ কিনেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে টিকিট কিনছিলেন, কিন্তু একবারও জেতেননি। তবুও আশা ছাড়েননি।

সোমবার আবুধাবিতে বিগ টিকেটের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। জাহাঙ্গীরের নম্বরটি বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, কিন্তু তখন তিনি ছিলেন নামাজে। বারবার ফোন বেজে উঠছিল, কিন্তু তিনি কিছুই জানতেন না।

নামাজ শেষে ফোন হাতে নিতেই চমকে যান— এক বন্ধু উচ্ছ্বাস নিয়ে জানালেন, “তুমি ২০ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছ!”

প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে বিগ টিকেট কর্তৃপক্ষের কল পেয়ে নিশ্চিত হলেন— এ স্বপ্ন নয়, সত্যি!

জাহাঙ্গীর একা এই টিকেট কেনেননি— তার সঙ্গে ছিলেন আরও ১৪ বন্ধু। সবাই মিলে ভাগ করে কিনেছিলেন টিকেটটি।

তিনি বলেন, “নামাজের সময় সুসংবাদ এল। আমি বিশ্বাস করি, এটা শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের ১৪ জনের জন্য এক বিশেষ রহমত।”

জাহাঙ্গীর জানান, এ অর্থ দিয়ে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে দুবাইতে ব্যবসা শুরু করতে চান। দীর্ঘদিন শ্রমিকের জীবন কাটানো এই মানুষগুলো এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এদিকে, বাংলাদেশে থাকা তার পরিবারও যেন অবিশ্বাসের ঘোরে! প্রবাসজীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্ত পেছনে ফেলে জাহাঙ্গীর ও তার বন্ধুরা এখন নতুন ভবিষ্যতের অপেক্ষায়।


ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সেন্টার সেক্রেটারি কাজী হাবীব ও এসিসটেন্ট সেক্রেটারি নুরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম. তালহা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অত্র মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থী নাফিন বিন হারুন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিলের শুভ সূচনা হয়। স্থানীয় শিশু শিল্পী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় ইসলামি সঙ্গীত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

বিশেষ অতিথি স্থানীয় মেয়র আজেদিন তাইবি বাংলাদেশি কমিউনিটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব‍্যক্তিত্ব জালাল আহমদ, এফএমসি প্রেসিডেন্ট শেখ ওকাসা বেন আহমেদ দাহো, এফএমসি জেনারেল সেক্রেটারি হাজদা মারেকার, ফ্রান্স বিএনপি নেতা এম এ তাহের, স্থানীয় এডজোয়া মেয়র আবদুল হক, স‍্যুর ম‍্যাডাম এলুদি, ফাদার ফ্রেডরিক, ফাদার ডমিনিক পেল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা বলেন, ইসলামের একসময় গৌরবময় অধ্যায় ছিল, যখন আমরা ধর্মীয় অনুশীলন ও শিক্ষায় শীর্ষে ছিলাম। সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে সচেতন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যারিসের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ইফতার মাহফিলটি ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।  


সুলতান আহমেদ মসজিদ তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিসাহিক স্থাপনাগুলোর একটি, যা ব্লু মসজিদ নামেও পরিচিত। ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এই মসজিদ এবার নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে।

দেশ ও বিদেশের ৩৫ জন বিশিষ্ট হাফেজের ইমামতিতে এবার সেখানে অনুষ্ঠিত হবে খতম তারাবি। তুর্কি রীতি অনুসারে পবিত্র রমজানের আগেই সুলতান আহমেদ মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

এ বছর সুলতান আহমেদ মসজিদে তারাবি পড়াবেন রিকাই আল বায়রাক। তিনি আগে এই মসজিদেই কাজ করতেন। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বলেন, এশার ফরজ নামাজ আদায়ের পর ২০ রাকাত তারাবি পড়া হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময় থেকে দীর্ঘ তিলাওয়াতের সঙ্গে তা আদায়ের রীতি প্রচলিত আছে। 

তিনি আরো বলেন, ‘ইস্তাম্বুল ও তুরস্কের অনেক মসজিদে খতম তারাবি হয়। আমি আগে এখানে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল যদি ঐতিহাসিক রাজকীয় এই মসজিদে খতম তারাবি চালু করা যেত। আয়া সোফিয়ায় তারাবির নামাজ শুরু হওয়ার পর আমাদের মনে হয়েছে, সুলতান আহমেদ মসজিদে খতম তারাবি শুরু করার এটাই উপযুক্ত সময়। এ ছাড়া সুলতান আহমেদ মসজিদটি আয়া সোফিয়ার প্রতিরূপ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।’

আল বায়রাক বলেন, সুলতান আহমেদ মসজিদে খতম তারাবির নেতৃত্ব দেবেন ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত হাফেজরা। এতে অংশ নেবেন তুরস্ক ও তুরস্কের বাইরের ৩৫ জন হাফেজ।

তাঁদের অনেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিদিন পাঁচজন হাফেজ তারাবি নামাজের ইমামতি করবেন। প্রত্যেকে চার রাকাত নামাজ পড়াবেন এবং প্রত্যেক রাকাতে এক পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করবেন। যেহেতু রমজান ২৯ দিনেরও হতে পারে; তাই শেষ দিন দুই পাড়া তিলাওয়াত করা হবে। ইমাম আল বায়রাক সুলতান আহমেদ মসজিদে তারাবির নামাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনেক মানুষ গণমাধ্যমে বিশিষ্ট হাফেজ ও আলেমদের আলোচনা শোনেন। তাঁরা এখানে ৩৫ জন বিশিষ্ট হাফেজের তিলাওয়াত শোনার সুযোগ পাবেন। তাই এই সুযোগটি গ্রহণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ব্লু মসজিদ বা সুলতান আহমেদ মসজিদ তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা তুর্কি স্থাপত্যরীতির অন্যতম নিদর্শনও বটে। সুলতান প্রথম আহমেদের শাসনামলে ১৬০৯ থেকে ১৬১৭-এর ভেতর তা নির্মিত হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মসজিদের সংস্কার কাজ হয়েছে। ইউনেসকো ব্লু মসজিদকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করেছে।


যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৪০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রুবিও বলেছেন, জরুরি কর্তৃত্ব ক্ষমতাবলে এই সহায়তা প্রেরণের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ইসরায়েল এখন তাদের চিরশত্রু হামাসের সঙ্গে এক নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আছে।

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে ইসরায়েলের জন্য ১,২০০ কোটি ডলারের সামরিক বিক্রয় অনুমোদন করেছে। রুবিও বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পেন্টাগন জানায়, ইসরায়েলের কাছে ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের বোমা, ধ্বংসাত্মক সরঞ্জাম ও অন্যান্য অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কংগ্রেসকে জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করা হয়েছে, যদিও সাধারণত এ ধরনের সহায়তার আগে উচ্চপর্যায়ের কমিটিগুলোর পর্যালোচনা করা হয়।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটি দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পাঠাতে ট্রাম্প প্রশাসনের জরুরি কর্তৃত্ব ব্যবহারের ঘটনা। বাইডেন প্রশাসনেও একইভাবে কংগ্রেশনাল পর্যালোচনা এড়িয়ে ইসরায়েলে সহায়তা পাঠানো হয়েছিল।


১৪০ কোটি মানুষের আবাসস্থল ভারতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষের কাছে কোনো ধরনের বিবেচনামূলক পণ্য বা সেবার পেছনে ব্যয় করার ক্ষমতা নেই বলে নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ জীবন ধারনের ন্যুনতম ব্যয়ের মধ্যেই তাদের জীবন সীমাবদ্ধ।

ব্লুম ভেঞ্চারস প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শীর্ষ ১০ শতাংশ লোক হলো ভোগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালিকার প্রাথমিক গোষ্ঠী। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ধনী জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পেলেও, যারা আগে থেকে ধনী তারা আরও ধনীতে পরিণত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে অনুসারে, ৩০ কোটি মানুষ 'উদীয়মান' বা 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী' ভোক্তা হলেও সম্প্রতি তারা ব্যয় করতে অনিচ্ছুক হয়ে পড়ছেন। অবশ্য ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধার কারণে ধীরে ধীরে খরচের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন তারা।

এই বিষয়গুলো সারা দেশের বেশিরভাগ ভোক্তা বাজারকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। বিশেষত 'প্রিমিয়ামাইজেশন' বা উচ্চ মূল্যের পণ্যের প্রবণতা বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহৎ সংখ্যক ভোক্তার জন্য পণ্যের বাজারের পরিবর্তে ধনীদের জন্য ব্যয়বহুল, আপগ্রেড পণ্যগুলোতে দ্বিগুণ মননিবেশ করছে।

প্রতিবেদন বলছে, আল্ট্রা-লাক্সারি হাউজিং এবং প্রিমিয়াম ফোনের বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট। সাশ্রয়ী মূল্যের দোকানগুলো এখন ভারতের সামগ্রিক বাজারের মাত্র ১৮ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগে ৪০ শতাংশ ছিল। ব্র্যান্ডেড পণ্যগুলো বাজারের একটি বড় অংশ দখল করছে।

প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক সাজিথ পাই বিবিসিকে জানান, যেসব কোম্পানি এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে তারা ফুলেফেঁপে উঠেছে। যারা সাধারণ পণ্যের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেন বা প্রিমিয়াম পণ্যের দিকে তেমন নেই, তারা বাজার হারিয়েছে।

এই রিপোর্টের ফলাফল দীর্ঘদিনের এই ধারণাকে আরও জোরদার করে, মহামারী-পরবর্তী সময়ে ভারতের পুনরুদ্ধারে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে, দরিদ্ররা ক্রয়ক্ষমতা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি মহামারীর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।

ভারত ক্রমশ আরও অসম হয়ে উঠছে, শীর্ষ ১০% ভারতীয়রা এখন জাতীয় আয়ের ৫৭.৭ শতাংশের নিয়ন্ত্রক, যেখানে ১৯৯০ সালে ছিল ৩৪ শতাংশ।

এদিকে, সর্বশেষ ভোগ-মন্দা কেবল ভারতের ক্রয়ক্ষমতাকেই ধ্বংসই করেনি, আর্থিক সঞ্চয় এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঋণগ্রস্ততাকে আরও গভীর করেছে। কোভিড মহামারির পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সহজ ঋণ দেওয়ার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মার্সেলাস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজারদের সংকলিত তথ্য অনুসারে, ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি - যা ভোক্তা চাহিদার জন্য একটি প্রধান উৎস ছিল - সেটিও সঙ্কুচিত হচ্ছে। করদাতা জনসংখ্যার মধ্যবিত্ত ৫০ শতাংশের আয় গত এক দশকে স্থবির হয়ে পড়েছে। এর অর্থ -  প্রকৃত অর্থে আয় অর্ধেক হয়ে গেছে।

আর্থিক হাতুড়ি মধ্যবিত্তের সঞ্চয়কে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক বারবার তুলে ধরেছে যে, ভারতীয় পরিবারগুলোর নেট আর্থিক সঞ্চয় ৫০ বছরের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য এবং পরিষেবাগুলো সামনের বছরগুলোতে একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে পারে।


তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ৭৫ বছর বয়সি নাজাত এল আঘার ছেলে দিয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও হতাশাই জুটলো মায়ের কপালে।

ছেলে ফিরে আসবে, সেই আনন্দে গাজার বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন নাজাত। যদি কিছু পাওয়া যায়, যা দিয়ে ছেলেকে স্বাগত জানাতে পারেন তিনি।নাজাত বলেন, আমি গাজার ওমার আল মুখতার স্ট্রিটে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম, কীই বা দিতে পারি আমার ছেলেকে? জামা-কাপড়ে ভরে ফেলি ব্যাগ, টুথপিকও ভরেছিলাম ব্যাগে।

শনিবার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইসরাইলি বন্দিদের বিনিময়ে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল, সেই তালিকায় ছিল দিয়ার নামও।

১২ ঘণ্টা ধরে গাজার ইউরোপিয়ান হাসপাতালে বন্দি বিনিময়ের স্থানে অপেক্ষা করেন নাজাত। কিন্তু ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ফেরত পাঠালেও নাজাতের ছেলে দিয়াকে পাঠায়নি ইসরাইল। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাকি বন্দিদের মুক্ত করার আগে ইসরাইলি বন্দিদেরও মুক্ত করা হবে এমন নিশ্চয়তা চায় তারা।

এই খবর পাওয়ার মুহূর্ত থেকে নিজের আবেগ সামলাতে পারছেন না সদ্য ৫০ বছর পেরোনো দিয়ার মা নাজাত।

তিনি বলেন, আমি সব কিছু তার জন্য প্রস্তুত করেছি, তবুও সে মুক্তি পেল না। আমাকে তারা বাধ্য করে বাসায় ফিরে যেতে, কিন্তু আমি চাইছিলাম সেখানেই বসে থাকি, যত দিন না দিয়া মুক্তি পায়।

আশা, হতাশা ও ধৈর্যের পরীক্ষা

১৯৯২ সালে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক কর্মকর্তাকে মারার কারণে কারাবন্দি হন দিয়া এল আঘা। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি কারাবাসে থাকা ১৮ ফিলিস্তিনি বন্দির একজন তিনি।

এত দীর্ঘসময় বন্দি থাকতে থাকতেই তিনি হারান নিজের বাবা ও বোনকে। কারাগারে তাকে ডাকা হয় ‘বন্দিদের অধ্যক্ষ’ নামে। হামাস সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে ইসরাইলি বন্দিদের ফেরত পাঠিয়েছে, তাকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে। ইসরাইলের মতে, এভাবে ফেরত পাঠানো বন্দিদের জন্য রীতিমতো অসম্মানজনক ছিল।

ভিড়ের মাঝে স্টেজের ওপর বন্দিদের তুলে তারপর তাদের ফেরত পাঠানো হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্দিদের দেহাবশেষ থাকা কফিনও ভিড়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, আরও ৬৩ জন বন্দি থাকার কথা গাজায়, যাদের মুক্তি দেওয়ার কথা আছে এই চুক্তিতে। তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বন্দির জীবিত থাকার কথা জানা গেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আশা ছাড়ছেন না নাজাত। ইসরাইলি হামলায় ভেঙে পড়া তার বাসার গায়ে এখনো ঝুলছে একটি সাইনবোর্ড, যার গায়ে লেখা ‘এটা বন্দি দিয়া জাকারিয়া এল আঘার বাসস্থান।’

সূত্র: ডয়চে ভেলে


জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ট্রেড ইউনিয়ন ভ্যার্ডি। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ ধর্মঘট শুরু হবে।

ইন্টারন্যাশনলান এয়ারপোর্ট রিভিউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে অন্তত এক হাজার ৬০০টি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে জানা যায়। এরপর মিউনিখ বিমানবন্দর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের তালিকাভুক্ত সব ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করা শুরু করে।

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে কোলন-বন ও ডুসেলডর্ফ বিমানবন্দরেও কর্মবিরতি পালন করেছে ভ্যার্ডি।

বিমানবন্দরের কর্মীদের কর্মপরিবেশের মানোন্নয়ন, ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত তিন দিন বেতনসহ ছুটির দাবি জানিয়ে আসছে ভ্যার্ডি। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনায় বসার পরেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে তাদের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে। এতে যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুালন করেছে ভ্যার্ডি।


ভারতের উত্তরপ্রদেশে ১৬৮ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। র‍্যাপিড রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্কের জন্য প্রায় পৌনে দুইশো বছরের পুরোনো এই মসজিদটি ভাঙা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

২৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর এবং সিয়াসত ডেইলি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশে মুসলিম ধর্মীয় স্থানগুলোর পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ মিরাটে ১৬৮ বছরের পুরোনো একটি মসজিদকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে দিল্লি রোডে অবস্থিত ঐতিহাসিক ধর্মীয় এই স্থাপনাটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশ কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত এই পদক্ষেপের পক্ষেই কথা বলেছে। তাদের দাবি, মসজিদটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল পরিবহন কর্পোরেশন (এনসিআরটিসি)-এর একটি র‌্যাপিড রেল সিস্টেম (আরআরটিএস) নির্মাণে বাধার সৃষ্টি করেছিল।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনও ধর্মীয় এই স্থাপনাটি ধ্বংসের অভিযানের পক্ষে কথা বলেছে। তারা বলছে, র‌্যাপিড রেল নেটওয়ার্কের বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই মসজিদটি অপসারণ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে রাজ্যটির মিরাট শহরের পুলিশ সুপার (এসপি) আয়ুশ বিক্রম সিং বলেছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠকের পরে মসজিদটি ধ্বংসের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

তার দাবি, “অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সিটি, এনসিআরটিসি কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম এবং অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি বৈঠকের পরে এই মসজিদটি ধ্বংস করা হয়েছে।”

তবে ওই এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা এই মসজিদটি ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক ধ্বংস অভিযান আসলে মুসলিম ধর্মীয় সম্পত্তিগুলোকে টার্গেট করে রাজ্য সরকারের চলমান প্রচেষ্টার একটি বিস্তৃত প্যাটার্নের অংশ।

এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে অ্যাডভোকেট শের আফগান বলেন, “এটি সম্পূর্ণ অবিচার”। সুলতান আখতার নামে অন্য একজন স্থানীয় মুসলিম একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “ইসরায়েল যেমন ফিলিস্তিনে অবকাঠামো ধ্বংস করে, ঠিক তেমনই যোগী আদিত্যনাথের সরকার মুসলমানদের সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করছে।”

এর আগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি উত্তরপদেশ কর্তৃপক্ষ হাতা নগরের মাদানী মসজিদ ভেঙে দেয়। ডিএসপি কাশ্য কুন্দন সিং এবং বিএসএফ বাহিনীসহ পুলিশ বাহিনীর বিশাল সংখ্যক সদস্যের নজরদারিতে বেশ কয়েকটি বুলডোজার ব্যবহার করে ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।


ইউটিউবের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে বর্তমানে অনেকেই সাবলম্বি হচ্ছেন। এটি এখন অনেকের প্রধান পেশাও। এর মাধ্যমে শহর বা গ্রামের বিভিন্ন বয়সের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এখন দেখা যায় বিশ্বজুড়ে। কিন্তু ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে এমন এক গ্রাম রয়েছে, যে গ্রামের প্রায় সবাই ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর। 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের তুলসী গ্রামের প্রায় সবাই এখন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা ভিডিও তৈরি করেন গ্রামের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, সামাজিক সমস্যা নিয়ে। সেগুলোতে হাজার হাজার লাইক, ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পান। ইউটিউবের আয় তাদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক বদল এনেছে।

এ গ্রামের আয়ের মূল উৎস ইউটিউব। গ্রামের মানুষদের হাতে হাতে মোবাইল। শুধু বিনোদনের মধ্যেই এর ব্যবহার আটকে না রেখে এটিকেই বরং গ্রামটির বেশির ভাগ মানুষ তাদের আয়ের অন্যতম উৎস করে নিয়েছেন।

জানা যায়, একসময় তুলসী গ্রামের মানুষদের জীবন ছিল দারিদ্র্যপীড়িত। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা মেটানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আর এখন সে গ্রামের অধিবাসীরা ইউটিউবের মাধ্যমে নিজের জীবনযাত্রা দেখিয়ে রোজগার করছেন। গ্রামের পরিবেশ এবং জীবনযাপনকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিওগুলো এখন শহরের মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয়। গ্রামের প্রকৃত জীবনে একধরনের সাদাসিধে সৌন্দর্য রয়েছে এসব কনটেন্টে, যা শহরের মানুষদের কাছে আকর্ষণীয়।

তবে এই পরিবর্তন একদিনে আসেনি। করোনা মহামারির সময় থেকে গ্রামবাসী ইউটিউবের দিকে আগ্রহী হতে শুরু করেন। বাড়িতে বসে ইউটিউব ভিডিও দেখতে দেখতে তারা নিজেরাও ভিডিও তৈরির কথা ভাবতে শুরু করেন। সে চিন্তা থেকে ইউটিউব তাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। এখন গ্রামের প্রায় সবাই সামাজিক এই মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে আয় করছেন।

গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই এখন মোবাইল এবং ট্রাইপড রয়েছে। কেউ কেউ ভিডিও তৈরির আরও উন্নত সরঞ্জাম কিনেছেন ভিডিও করার জন্য। গ্রামবাসীর এই স্বতঃস্ফূর্ত ভিডিও তৈরির কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো তুলসী গ্রামকে ‘ভারতের ইউটিউব ক্যাপিটাল’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তুলসী গ্রামের ইউটিউব কনটেন্টের আকর্ষণীয় বিষয় হলো, তাদের নিজেদের প্রকৃত জীবন এবং গ্রামীণ পরিবেশ। কোনো রকম মেকআপ বা সাজগোজ ছাড়াই নিজেদের জীবন ফুটিয়ে তুলছেন তুলসী গ্রামের মানুষেরা।

তুলসী গ্রাম এখন শুধু একটি গ্রাম নয়, বরং ইউটিউবের দুনিয়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে ইউটিউবের মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে নতুন এক অধ্যায়। এটি তাদের জন্য সাফল্য এবং অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করেছে।

 


টানা চতুর্থবারের মতো মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন।

গত বছরের (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-ফাইভ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী লিসা ব্যাবেজের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন চন্দন। এর আগে একই নির্বাচনি এলাকা থেকে আরও তিনবার সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান ও জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি।

শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের সরারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ৬৩ বছর বয়সী চন্দন সরারচর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিবুর রহমানের সন্তান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বড় ভাই। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি মেজ।

চন্দনের এমন বিজয় ও সাফল্যে  জর্জিয়া প্রবাসী বাংলাদেশির পাশাপাশি  তাঁর জন্মস্থান বাজিতপুরের মানুষের মধ্যে  আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে। 

চন্দন টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে ভোটারসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  এ ছাড়া মাতৃভূমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় বহুজাতিক সেতুবন্ধনের একটি সমাজে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।’ এমন নিঃশর্ত ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
 


আসছে রমজানে সিডনিতে ঈদ মেলার আয়োজন করবে অসি বাংলা সিস্টারহুড। বাংলাদেশী পোশাক আর মুখরোচক খাবারের সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য্য তুলে ধরতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নারী উদ্যোক্তাদের এই আয়োজন। 

আগামী ৯ মার্চ রবিবার, সিডনির লিভারপুলে অবস্থিত উইথল্যাম লেসার সেন্টারে বসবে এই মেলা। এই ঈদ মেলায় থাকছে ৬৫টিরও বেশি স্টল, যেখানে পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করবেন  নারী উদ্যোক্তারা। থাকছে বাহারি পোশাক, রকমারি গহনা, মেহেদি, ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিংসহ অনেক ধরনের হাতের তৈরি শিল্পকর্ম। পাশাপাশি, স্থানীয় সুস্বাদু মুখরোচক খাবারের স্টলও থাকবে, যা প্রবাসীদের জন্য দেশী স্বাদে ফিরে যাওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করবে।

মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট বা প্রবেশমূল্যের প্রয়োজন নেই। আয়োজন চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। 

অসি বাংলা সিস্টারহুড দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের জন্য একটি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে,  এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তারা সহজেই অনলাইনে তাদের পণ্য এবং সেবা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। তবে এই ঈদ মেলা একটি বিশেষ উদ্যোগ যেখানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারবেন।


মেলার আয়োজক জান্নাত বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধুই ব্যবসা বা ক্রয়-বিক্রয় নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারগুলোর জন্য একত্রিত হওয়ার সুযোগ। আমাদের দেশীয় যে ঐতিহ্য রয়েছে রমজান মাসে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের কেনাকাটা করা সেটাও পরবর্তী প্রজন্ম দেখতে পারবে।"



জার্মানির মিউনিখ শহরে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চাপার ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। 

ছবি: (সংগৃহীত)|

গাড়িটি একজন সন্দেহভাজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা। খবর রয়টার্সের।এ ঘটনার পর আগামী সপ্তাহের ফেডারেল নির্বাচনের আগে নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও জোরদার করা হয়েছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ আন্তর্জাতিক নেতারা দক্ষিণ জার্মান শহরে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে এই ঘটনা ঘটে।মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাদের দেশটিতে পৌঁছানোর কথা।

সর্বশেষ পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
 
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মঘটরত শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় একটি সাদা গাড়ি পুলিশের গাড়িকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে লোকজনকে চাপা দেয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালানো হয় কিন্তু তাতে সে আহত হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
 
ঘটনাস্থলে ১,০০০ জনেরও বেশি লোক উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
 
কর্মকর্তারা ২৪ বছর বয়সী গাড়ির চালককে আটক করেছে। কিন্তু এই ঘটনার মোটিভ তাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানায় তারা।
 
বাভারিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্কাস সোয়েডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সম্ভবত একটি হামলার ঘটনা।’
 
রয়টার্সের অনুরোধে, মিউনিখের জেনারেল প্রসিকিউটরের অফিসের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম ফরহাদ নূরী।

এদিকে বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মাদক ও চুরির অপরাধে পুলিশের কাছে পরিচিত ছিল। হারম্যান বলেন, তার আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে নিরাপত্তার কারণে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়নি।
 


ইসরাইলের কাছে আরও ৭৪০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র।স্থানীয় সময় শুক্রবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানায় পেন্টাগন।।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভ্যর্থনা জানানোর কয়েকদিন পর এবং গাজা যুদ্ধবিরতির মধ্যেই বিষয়টি সামনে এলো। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, দুটি আলাদা অস্ত্রের চালান অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি ৬৭৫ কোটি ডলারের চালান, যাতে থাকবে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র, নির্দেশিকা কিট এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে ১৬৬টি ছোট ব্যাসের বোমা, ৫০০ পাউন্ড ওজনের ২,৮০০টি বোমা এবং হাজার হাজার নির্দেশিকা কিট, ফিউজ এবং অন্যান্য বোমার উপাদান ও সহায়তা সরঞ্জাম। এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম চলতি বছরেই পাঠানো শুরু হবে।

অন্য অস্ত্র প্যাকেজের আওতায় রয়েছে ৩,০০০টি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যার আনুমানিক মূল্য ৬৬ কোটি ডলার। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সরবরাহ ২০২৮ সালে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বালুর ঢিবিটি ইসরাইলি সেনাবাহিনী তৈরি করেছিল। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো উত্তর গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তৈরি একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করেছে। 

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ‘ইসরাইলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা শহর এবং উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালুর ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা।’

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় ৩৭টি এবং গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে ২৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কবর এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, কারণ ইসরাইলি অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিরা সেসময় মৃতদের রাস্তায়, স্কোয়ার এবং পাবলিক পার্কে কবর দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স টিম এবং মেডিকেল ক্রুরা সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর ঢিবির নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’

গাজার এই বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় ঝোড়ো আবহাওয়া গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের কয়েক ডজন তাঁবু উড়িয়ে নিয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি অনেক তাঁবুকে প্লাবিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের থাকার জন্য গাজায় জরুরিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার তাঁবুর প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত গাজায় প্রবেশ করা তাঁবুগুলো সংখ্যাগত পরিমাণ বা মানের দিক থেকে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করছে না এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো মোকাবিলার জন্যও অনুপযুক্ত।’



অজানা কারণে রক্তের মতো লাল হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার একটি নদীর পানি।

দূর থেকে দেখলে যে কেউ ভাববে পানি নয়, বরং রক্তের প্রবাহ ছুটে চলেছে। নদীর পানি এতটাই লাল হয়ে গেছে যে, তাতে নামার সাহস দেখাচ্ছে না হাঁসও।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহত্তর বুয়েন্স আয়ার্সে দেখা মিলেছে এই লাল পানির নদী। স্থানীয়দের শঙ্কা, বিষাক্ত কোনো রাসায়নিকের কারণেই এমন বদলে গেছে নদীটির পানি। ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে।

ইতোমধ্যে, নদী থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিও ডি লা প্লাটা নদীতে প্রবাহিত হওয়া এই নদীর পানির রঙ প্বার্শবর্তী কোনো কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যের কারণে পাল্টে গেছে। সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, টেক্সটাইল রঞ্জক পদার্থ ফেলে দেয়ার কারণে অথবা কাছের কোনও ডিপো থেকে রাসায়নিক বর্জ্যের কারণে এই রঙটি হতে পারে।

দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে রঙ পরিবর্তনের কারণ নির্ধারণের জন্য পানির নমুনা নেয়া হয়েছে।

এএফপি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বিকেলের শেষের দিকে পানির রঙ কিছুটা তীব্রতা হারিয়ে ফেলেছিল।

বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে অনেক স্থানীয় কোম্পানি জলপথে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে, যা রাজধানীর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং টেক্সটাইল কারখানা থেকে নিসৃত।
 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যে চোরেরা এক মুদি দোকান থেকে ১ লাখের বেশি ডিম চুরি করে নিয়ে গেছে। যার মূল্য ৪০ হাজার ডলার।

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রিনক্যাসলে পিট অ্যান্ড গেরি'স অর্গানিক্সের একটি লরির পিছনে এই ডাকাতি চালানো হয়।বার্ড ফ্লু মহামারীর মধ্যে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ডিম অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যয়বহুল খাবারের তালিকায় পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্কিন সরকারের তথ্য অনুসারে, গত বছরে ডিমের দাম ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। 

দেশটির কৃষি বিভাগ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালে দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। মঙ্গলবার আমেরিকান চেইন রেস্তোরাঁ ‘ওয়াফেল হাউস’ ডিমেন দাম বাড়ার কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি দাম রাখছে। রেস্তোরাঁটি জানিয়েছে, ডিমের দামের অভূতপূর্ব বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকদের বাড়তি চার্জ দিতে হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের মতে, বার্ড ফ্লু মহামারী ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল এবং সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই দাম ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভাগের তথ্য থেকে আরো দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এক কার্টন ডিমের গড় দাম ছিল ২ দশমিক ৫১ ডলার এবং এক বছর পরে তা পৌঁছেছে ৪ দশমিক১৫ ডলারে। এই বৃদ্ধির ফলে কিছু দোকানের তাক খালি পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পাখি, গবাদি পশু এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু মহামারী দেখা দিয়েছে, যদিও মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ খুবই বিরল।
সূত্র: বিবিসি


সৌদি আরব বলেছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে না। সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছে রিয়াদ।

রয়টার্স ফাইল ছবি:সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবে। সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল বিষয়ে ‘সুস্পষ্টভাবে’ সৌদি আরবের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যাখ্যার কোনো দরকার নেই।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের অবস্থানের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ নেই বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে ইসরায়েল সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে এবং সফল হবে।

সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং দেশটিকে স্বীকৃতি দেওয়াতে কয়েক মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত এই তৎপরতা চলেছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর আরব দেশগুলোর ক্ষোভের মুখে বিষয়টি স্থগিত করে সৌদি আরব।


বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা, দানবীর প্রিন্স করিম আগা খান মারা গেছেন। তাঁর দাতব্য প্রতিষ্ঠান আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

ছবি:প্রিন্স করিম আগা খান|রয়টার্স

প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা আগা খান ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক; ফ্রান্সের একটি প্রাসাদে তিনি বসবাস করতেন। বুধবার পর্তুগালের লিসবনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি চিরবিদায় নেন।

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আগা খান।

বিবিসি লিখেছে, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধুর এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাজা চার্লস। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগা খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

আগা খান বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন; বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ছিল তার।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সম্পদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ব্যবসা, বিশেষ করে ঘোড়া পালন ও রেসিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগা খানের দাতব্য সংস্থা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শত শত হাসপাতাল পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

তিনি পাকিস্তানের করাচিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং হার্ভার্ড ও এমআইটির যৌথ উদ্যোগে আগা খান প্রোগ্রাম ফর ইসলামিক আর্কিটেকচার চালু করেন।

ভারতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বিশেষ করে দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির সংস্কারে।

তার নামে ব্রিটেনে চালু রয়েছে আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড। পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার নেশন মিডিয়া গ্রুপ তারই প্রতিষ্ঠিত।

আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বলেছে, "আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব, যাতে বিশ্বজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো যায়, ঠিক যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।”

আনুমানিক দেড় কোটি ইসমাইলি মুসলমানের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে আগা খান দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ লাখ ইসমাইলির বসবাস।এছাড়া ভারত, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।

ঘোড়া প্রতিপালনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতেও আগা খানের বিশাল বিনিয়োগ ছিল। বিশেষ করে, তিনি ইউরোপের অন্যতম সফল ঘোড়া প্রজননকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
 


দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গত বোরবার (২ ফেব্রুয়ারি) মক্কার মসজিদে হারামে আসারের নামাজের ইমামতি করেন শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস। তিনি সাধারণত মাগরিব, এশা ও জুমার নামাজের ইমামতি বেশি করেন। ওই দিন আসরের নামাজ পড়ানোর মধ্য দিয়ে কাবার ইমাম হিসেবে ৪২ বছর পূরণ করলেন।

ছবি:শায়খ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস (সংগৃহীত)|

১৪০৪ হিজরি অর্থাৎ ১৯৮৪ সালের তিনি মসজিদে হারামে প্রথমবারের মতো আসরের নামাজের ইমামতি করেন।

বিশ্বজুড়ে মসজিদে হারামের ইমামদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম শায়খ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস। পবিত্র কোরআনের সুললিত তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তিনি পরিচিত। সুদীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে ইসলামের প্রধান সম্মানিত এই স্থানের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

শায়খ সুদাইস মাত্র ২২ বয়সে ১৪০৪ হিজরি মোতাবেক ১৯৮৪ সালের মে মাসে মসজিদে হারামের খতিব ও ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি প্রধান ইমাম হন। সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের এক রাজকীয় নির্দেশনায় তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মসজিদে হারামের সবচেয়ে কম বয়সী ইমাম হিসেবে সর্বপ্রথম তিনি আসর নামাজের ইমামতি করেন।

২০১২ সাল মোতাবেক ১৪৩৩ হিজরিতে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। পবিত্র দুই মসজিদ পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে ২০১৪ সালে তিনি মসজিদে নববিতে প্রথম বার ইমামতি করেন। ২০২০ সালে মসজিদে হারামে তার ইমামতিতে তারাবির নামাজে কোরআন খতমের ৩০তম বছর পূর্ণ হয়। কোরআন খতম উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো তখনও সুন্দর কণ্ঠে দীর্ঘ সময় দোয়া করেন।

শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস ১৩৭৯ হিজরি মোতাবেক ১৯৬০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের কাসিম অঞ্চলের বুকাইরায় জন্মগ্রহণ করেন। বনু আসাদ বিন রবিয়া বিন নাজার গোত্রের আনজা শাখার সন্তান তিনি। তার বাবার নাম আবদুল আজিজ ও মায়ের নাম ফাহদা রউফ। কাসিমে বেড়ে উঠলেও পরবর্তীতে রিয়াদে পাড়ি জমান তিনি। শৈশব থেকেই উত্তম আচার-ব্যবহারের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি।

শায়খ সুদাইস বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় মাত্র ১২ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করেন। এরপর রিয়াদের মুসান্না বিন হারেসা ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মাহাদ আল-রিয়াদ আল-ইলমি থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।

১৯৮৭ সালে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুল ফিকাহ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে তিনি হজের খুতবা প্রদান করেন।
 


সংসারের অভাব-অনটন ঘোচাতে স্বামীকে কিডনি বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্ত্রী। স্ত্রীর পরামর্শে সেই কাজই করেন যুবক। পরে সেই টাকাই হাতিয়ে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন ওই যুবকের স্ত্রী।খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার সাঁকরাইলের ধুলাগড়ির হাটতলা এলাকায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পিন্টু বেজ নামে ৩৯ বছরের যুবক। 

তার অভিযোগ, ভবিষ্যতে নিজেদের নাবালিকা মেয়ের পড়াশুনা ও বিয়ের জন্য বারবার বলে স্বামীকে একটা কিডনি বেচতে অনুরোধ করেন স্ত্রী সুপর্ণা বেজ। স্ত্রীর এমন অনুরোধের পর স্বামী কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়।

এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তারা। ১০ লাখ রুপির বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন স্বামী। 
তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্য কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু স্বামীর কিডনি বিক্রির পর ফেসবুকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে ১০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়ে যান ওই স্ত্রী।

 তবে পিন্টু বেজ তার স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন এবং তারপর স্ত্রীকে খুঁজে পেতে হাইকোর্টে মামলা করেন। তবে তদন্তকারীদের কাছে ওই নারী লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তার প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন, কেউ তাকে জোর করে কিছু করায়নি। 

এরপর  স্ত্রীর কাছ থেকে নিজের টাকা পয়সা আদায় করতে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।  তবে এই ঘটনায় আইনজীবীদের বক্তব্য, গোটা ঘটনায় কিডনি বেচে টাকা পাওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে, যা আইনত দণ্ডনীয় এবং সে ক্ষেত্রে ৩৯ বছরের ওই ব্যক্তি বেআইনি কাজের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।

তবে আইনজীবীদের অন্য একটি অংশের অভিমত, মামলাকারীকে প্রথম থেকে ভুল বুঝিয়েছিলেন তার স্ত্রী। সুতরাং এখানে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা ওই ব্যক্তিকে ঘটনার শিকার বলে ধরে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

তবে ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী এইভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করায় যথারীতি পিন্টু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। দুজনে প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন। পিন্টু বাবু একটি কারখানায় কাজ করতেন। সেই টাকায় কোনোমতে সংসার চলছিল । এই মধ্যেই স্ত্রী সুপর্ণা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমে পড়েন ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনির বাসিন্দা এক যুবকের। পেশায় রং মিস্ত্রি । 

গত শুক্রবার পিন্টু বাবু তার মা কল্পনা বেজ ১২ বছরের মেয়ে কে নিয়ে ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনিতে স্ত্রীকে আনতে যান। স্ত্রী আসবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। টাকা প্রসঙ্গ তোলায় তার প্রেমিক জানান, আইনের মাধ্যমে যা হওয়ার হবে। পরে খালি হাতেই ফিরতে হয় পিন্টু বেজকে। এখন তিনি বুঝতে পারেন কিডনি বিক্রির জন্য তার স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছেন। 


অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে বহু ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 

ছবি : ইসরায়েলি হামলার ওপর জেনিনে কালো ধোঁয়া উড়ছে (সংগৃহীত)|

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, রোববার জেনিনে ২৩টি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনে সন্ত্রাসী স্থাপনা তৈরি ঠেকাতে ধ্বংস করা হয়। 

এ ছাড়া গত মাঝ জানুয়ারি থেকে পশ্চিম তীরে ৫০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হতা করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আল জাজিরার করেসপন্ডেন্টরা জানান, বিস্ফোরণে একটি আবাসিক ব্লকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের নিউজ এজেন্সি ওয়াফা জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতো বিকট ছিলে আশেপাশের এবং পুরো শহরজুড়ে শব্দ শোনা গেছে। 

জেনিনের বাসিন্দা হেন্না আল হাজ হাসান আল জাজিরাকে বলেছেন, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল ভয়াবহ। হাসান ও জেনিনের বাসিন্দারা জানান, তারা গত দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধের মুখোমুখি।   

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেনিনে ভবন ধ্বংসের নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে নৃশংস দৃশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর পশ্চিম তীরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 


পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে। এসময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং তা আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করেন, হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন।


মুক্তির জন্য আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মির নাম জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় আজ শনিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

কারিনা আরিয়েভ, নামা লেভি, দানিয়েলা গিলবোয়া ও লিরি আলবাগ। (ওপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুসারে) ফাইল ছবি: সংগৃহীত।

এই চারজন হলেন ইসরায়েলি সেনা কারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। তাঁরা সবাই ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে নজরদারির কাজে নিয়োজিত একটি ইউনিটের অংশ ছিলেন। 

গত এক বছরের বেশী সময় ধরে এই চার জন ইসরায়েলি সেনা হামাসের হাতে বন্দি। নারী সেনাদের দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে,  ইসরায়েলের কারাগারে আটক ১৮০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে এই ৪ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিচ্ছে হামাস।

আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে হামাস পর্যায়ক্রমে ২৬ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। 

 


ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই বেশ কিছু চমক দিয়েছেন তিনি। তার একটি হচ্ছে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল।

 ছবি :ডোনাল্ড ট্রাম্প (সংগৃহীত)|

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল সম্পর্কিত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। তবে বাবা-মায়ের কেউ আমেরিকান নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে। 

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।
 


মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির দায়ে ইরানের জনপ্রিয় পপ সংগীত শিল্পী আমির হোসেন মাগসোদলুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো।

ছবি :পপ সংগীত শিল্পী আমির হোসেন মাগসোদলু

সংস্কারবাদী সংবাদমাধ্যম ইতেমাদ বলেছে, “ধর্মীয় অবমাননাসহ অন্যান্য অপরাধে তাকে পাঁচ বছরের যে দণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেটিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটিররা। তাদের আপত্তির বিষয়টি গ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্ট। তার বিরুদ্ধে মামলাটি পুনরায় চালু করা হয়। এবং মহানবীকে কটূক্তির দায়ে অভিযুক্তকে এবার মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”তবে এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এই গায়ক।

৩৭ বছর বয়সী আমির হোসেন ২০১৮ সাল থেকে তুরস্কে বসবাস করছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাকে ইরানের হাতে তুলে দেয় তার্কিস পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন তিনি।

শরীরে অসংখ্য ট্যাটু থাকায় আমির হোসেন তার ভক্তদের মাঝে টাটালু নামেও পরিচিত। পতিতাবৃত্তি প্রচারের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া কূরুচিপূর্ণ কনটেন্ট প্রচার এবং ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

২০১৭ সালে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এই গায়ক। রাইসি গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।

২০১৫ সালের ইরানের পারমাণবিক চুক্তির পক্ষে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি। যেটি পরবর্তীতে ২০১৮ সালে বাতিল করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
 


যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় প্রবেশ করছে জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক। ইসরায়েলের দক্ষিণে কারেম শালম ও উত্তরের জিকিম সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করছে দুশ’রও বেশি ট্রাক, এমনটাই জানিয়েছে আরব নিউজ। 

ছবি: গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক (সংগৃহীত)।

জাতিসংঘের দেয়া এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ক্যানজাতীয় খাবার, আটা, জ্বালানিসহ জরুরি ওষুধপণ্য। ত্রাণ প্রবেশ করছে মিশর, জর্ডান ও ইসরায়েলের অন্যান্য সীমান্ত দিয়েও।যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ফিলিস্তিনে প্রবেশ করবে ত্রাণ সামগ্রী ভর্তি ৬০০টি ট্রাক। এর মাঝে ৫০টিতে থাকবে প্রয়োজনীয় জ্বালানি। এদিকে, সবচেয়ে বেশি মানবেতর সময় কাটানো গাজার উত্তরের এলাকাগুলোয় প্রতিদিন পৌঁছাবে ত্রাণভর্তি ৩০০ ট্রাক।


যুদ্ধবাজ বলে পরিচিত, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমান দেন তিনি।

ছবি: বেন গাভীর (ফাইল ছবি)।

যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকেও সরে যাচ্ছে বেন গাভীরের কট্টর ডানপন্থি দল- জিউইশ পাওয়ার পার্টি। একইসাথে, পদত্যাগ করবেন দলটির আরও কয়েকজন মন্ত্রী। রোববার, সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেয়ার কথা তাদের। হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জেরে এ সিদ্ধান্ত নেন উগ্র ডানপন্থি নেতা গাভী। বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন না দিতে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটকে হুমকি দেন তিনি।

তবে বেন গাভীর এবং তার দল জোট থেকে সরে গেলেই যে, খুব একটা বিপাকে পড়বে নেতানিয়াহু সরকার, ব্যাপারটা এমন নয়। কারণ জেপিপি’র অধীনে ছিল মাত্র ৬টি আসন। নেতানিয়াহুর জোট সরকারের আসন সংখ্যা ৬৮ থেকে কমে দাঁড়াবে ৬২-তে। যা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট।


জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক অ্যাপের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন অ্যাপল ও গুগল প্লে স্টোরেও অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে না। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যাপটি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কিন ইউজাররা আর টিকটকে ঢুকতে পারছেন না। তারা অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে চাইলে দেখানো হচ্ছে যে, টিকটকে একটি নিষেধাজ্ঞা চালু হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে আপনারা টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, টিকটকের মালিকানার অন্তত ৫০ শতাংশ আমেরিকানদের হাতে থাকতে হবে। 


গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম দিনে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও ওই তিন জিম্মির মুক্তির তথ্য জানিয়েছে।

ছবি: মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নাগরিকরা (সংগৃহীত)।

জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ওই তিনজন হলেন– ২৪ বছর বয়সী রোমি গোনেন ২৪, ডোরন স্টেইনব্রেচার (৩১) ও ২৮ বছর বয়সী এমিলি দামারি। এই জিম্মিদের ফেরত আনতে রেডক্রসের একটি দল দুপুরেই গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তাদের মাধ্যমেই ওই তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দিনে তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ছাড়া পাবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দি। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।


কারাগারে বন্দী থাকা ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার তাদের মুক্তি দেয়া হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিন চুক্তির শর্ত মেনে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা সবাই নারী ও শিশু।

ছবি: ইসরায়েলের কারাগারে দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন খালিদা জাররার।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন খালিদা জাররার। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) নেতা। খালিদা একসময় ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। নির্জন কারাকক্ষে রেখে তাকে নির্যাতন করত ইসরায়েল। মুক্তির পর খালিদা জাররার শীর্ণ চেহারা প্রমাণ করে কতটা বর্বর ইসরায়েল। যারা কিনা আন্তর্জাতিক আইনের কখনোই কোন তোয়াক্কা করে না। 


গত বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় সাইফ গুরুতর আহত হন।

তিন দিন পর, মুম্বাই পুলিশ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি বাংলাদেশি নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার কাছে কোনো ভারতীয় নথি পাওয়া যায়নি। আদালত শেহজাদকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, সাইফের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় শেহজাদ তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


সাইফ আলী খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। এই হামলার ঘটনায় বলিউডে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। 


নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবার গুলিতে প্রাণ হারালেন এক মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরের গোলা কা মন্দির এলাকায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতেই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেন তার বাবা মহেশ গুর্জার। নিহত মেয়ের নাম তনু গুর্জার।


পরিবারের পছন্দের ছেলের সঙ্গে চার দিন পর তনুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তনু এতে রাজি না হয়ে নিজের প্রেমিক ভিকিকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহেশ গুর্জার এই মর্মান্তিক কাজটি করেন।


ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে তনু একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘পরিবার আমাকে তাদের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করার জন্য জোর করছে। কিন্তু আমি ভিকি নামে একটি ছেলেকে ভালোবাসি এবং তাকে বিয়ে করতে চাই। পরিবার প্রথমে এটি মেনে নিলেও পরে অস্বীকার করে। তারা আমাকে প্রতিদিন মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার কিছু হলে এর জন্য আমার পরিবার দায়ী থাকবে।’

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ধর্মবীর সিংয়ের নেতৃত্বে কর্মকর্তারা তনুর বাড়িতে যান। সেখানে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য পঞ্চায়েতের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মহেশ গুর্জার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তনুর বুকে গুলি চালান। একই সময় তার চাচাতো ভাই রাহুল তনুর কপাল ও ঘাড়ে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তনুর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর মহেশ গুর্জারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র জব্দ করে। তবে রাহুল পালিয়ে গেছেন, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তনুর প্রেমিক ভিকি উত্তর প্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা। গত ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তনু চেয়েছিলেন এই সম্পর্ককে বৈধতা দিতে, কিন্তু পরিবারের আপত্তি তার জীবনের করুণ পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পুলিশ জানিয়েছে, তনুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা পারিবারিক সিদ্ধান্তের চাপ এবং সামাজিক বিধিনিষেধের ফলে ঘটে যাওয়া সহিংসতার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।