0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

টেনিস


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।  

মুম্বাইয়ে গতকাল বিসিসিআইয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাকে সিকে নাইডু আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ভারতের প্রথম অধিনায়ক সিকে নাইডুর নামে এই পুরস্কার ১৯৯৪ সাল থেকে দিচ্ছে বিসিসিআই। ৩১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন শচীন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে অভিষেক হওয়া  খেলেছেন ২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ টি ওয়ানডে, যা দুই সংস্করণেই সর্বোচ্চ। এই দুই সংস্করণে সর্বোচ্চ রানও তার। তিনি ওয়ানডেতে করেছেন ১৮৪২৬ রান আর টেস্টে ১৫৯২১ রান। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি আছে টেন্ডুলকারের। তিনি অবসর নেন ২০১৩ সালে।

শচীনের সঙ্গে গত রাতে পুরস্কার পেয়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ, স্মৃতি মান্ধানা, রবীচন্দ্রন অশ্বিনের মতো তারকারাও। ২০২৩-২৪ মৌসুমে সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়ে পলি উমরিগড় পুরস্কার জেতেন বুমরা। মেয়েদের ক্রিকেটে এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন মান্ধানা। অশ্বিন পেয়েছেন বিশেষ এক পুরস্কার।

এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ফিফটি করা সরফরাজ খান পেয়েছেন সেরা আন্তর্জাতিক অভিষেকের পুরস্কার।


এমন অভিযোগ পুরোনো নয়। ভারতে টেনিস খেলতে এসে অসুস্থ হয়ে যাওয়া, সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া এবং কোর্ট নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকার কথা আগেও একাধিক টেনিস তারকা শুনিয়েছেন।
 

ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থার দিকে এবার আঙুল তুলেছেন মিয়া ব্লিচফিল্ড। ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে এসেছিলেন। আগেরবারের মতো এবারও হয়ে পড়েছেন অসুস্থ।

ভারতের দিল্লিতে বসা ‘ইন্ডিয়া ওপেন সুপার ৭৫০’ প্রতিযোগিতায় লড়েন মিয়া। বিশ্বের ২৩ নম্বর বাছাই ড্যানিশ তারকা আসরে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত গিয়ে থামেন। দেশে ফিরে দিল্লির আবহাওয়া এবং আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মিয়ার দাবি, টেনিস কোর্টেও পাখির বিষ্ঠা পড়ে ছিল, দিল্লির দূষণের কারণে ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারেননি।

ড্যানিশ এই তারকা ভারতে থাকাবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইনস্টাগ্রামে সেই ভুলে যেতে চাওয়া স্মৃতি লিখেছেন মিয়া, ‘অত্যন্ত দীর্ঘ এবং পরিশ্রমের সপ্তাহ ভারতে কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ঘরে ফিরলাম। এ নিয়ে টানা দুবছর আমি ইন্ডিয়া ওপেন খেলে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন, এতদিনের পরিশ্রম প্রস্তুতি সবই নষ্ট হয়ে যায় খারাপ পরিবেশের জন্য। এরপরই মিয়া অভিযোগ তোলেন টুর্নামেন্ট আয়োজকদের দিকে, ‘এটা একদমই ঠিক নয় যে একজনকে ধোঁয়াশার মধ্যেই খেলতে বাধ্য করা হবে। এদিকে ওদিকে পাখির বিষ্ঠা পড়ে থাকবে। সারা জায়গাটা পুরো নোংরা হয়ে থাকবে। এমন পরিবেশ খেলার জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।’

মিয়ার মতো আরও কয়েকজন টেনিস তারকা তুলেছেন টুর্নামেন্টের মান নিয়ে প্রশ্ন। ফরাসি মিক্সড ডাবলস জুটি থম জিকুয়েল এবং ডেলফিন ডেলরু টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভেন্যু নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। এরআগে, বিদেশি খেলোয়াড়রা নিন্দা করেছিল ভারতের কোর্টগুলোর। গুয়াহাটিতে মালেশিয়ার সুং জো ভেন দাবি করেছিলেন তার হোটেলের বেসিন থেকে নোংরা পানি পড়েছে। বিশ্বের ১ নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা (সাবেক) নোজোমি ওকুহারাও দাবি করেছিলেন, তিনি ওড়িশা ওপেন খেলতে এসে অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছিলেন। এবার অভিযোগ করলেন মিয়া।

কোর্টের এমন দুরবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের ব্যাডমিন্টন সংস্থা। তাদের দাবি, প্রতিযোগিতা শুরুর মাত্র চারদিন আগে হাতে স্টেডিয়াম। ফলে লজিস্টিক বেশকিছু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পরবর্তী সময় এই প্রতিযোগিতা আরও ভালো কোথাও আয়োজন করতে চায় ভারত। ব্যাডমিন্টন ওয়াল্ড ফেডারেশন (বিডব্লিউএফ) সঙ্গে যোগাযোগও আগে ভাগে বাড়িয়েছে তারা।