0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

বাংলাদেশ


কেন পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস বলেছেন, এটা আমি ডিসাইড করিনি, আমাদেরকে এই কাজ দেয়া হয়েছে। যারা আমাকে এই দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা মূলত তিনটি দায়িত্ব আমাদেরকে অর্পণ করেন। আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।

বুধবার (১১ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সারাবিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামাল দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা মূলত আমাদের জন্য অনেক কঠিন একটা কাজ। সারা বিশ্ব এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমরাও যাচ্ছি। আমাদের ইকোনমির বর্তমান অবস্থা নেগেটিভ। প্রতিনিয়ত বিগত সরকারের গ্রহণ করা ঋণ এবং মেগা প্রোজেক্টের জন্য অনেক বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে, এটা একটা বড় সমস্যা।

ড. ইউনুস আরও বলেন, আমাদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বিগত সরকারের দুর্নীতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয় বিগত ১৭ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এভাবেই মূলত আমাদের রিসোর্সগুলো পাচার হয়ে গিয়েছে।

বিগত সরকারের ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নিজেদের লোক ঢুকিয়েছিল। এরপর তাদের পরিচিতজনদের লোন দেওয়া শুরু করে। এটা ছিল গিফটের মতো, কোন ধরনের চুক্তি ছিল না। এভাবে তারা ইচ্ছেমতো টাকা পাচার করেছিল। আর এখন আমাদেরকে সেই লোনগুলো পরিশোধ করতে হচ্ছে।

তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল, বিদেশে যেসব মানুষ রয়েছে অর্থাৎ আমাদের ওভারসিজ বাংলাদেশিরা, তারা আমাদের বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। এটাই মূলত আমাদের অর্থনীতিকে রক্ষা করছে। আর এই রেমিটেন্স প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে, যেটা আমাদের ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্টে’-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এর আগে, সকালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর আলোকপাত করা হয়। সেইসাথে, বাংলাদেশের চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের মতো বিষয়গুলোও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
 


তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার বিষয়ে সরকারের কোনো ধরনের বাধা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি চাইলে যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তাঁর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’

বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা ও ব্যারাক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ভারত থেকে বাংলাদেশিদের পুশ-ইন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত থেকে যাদের বাংলাদেশে ঢোকানো হচ্ছে, তারা সঠিক চ্যানেল অনুসরণ করছে না। অমানবিকভাবে তাদের বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা ভারতের হাইকমিশনারকে জানিয়েছি এবং আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ ব্যাপারে কথা বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক যারা ভারতসহ বাইরের দেশে অবস্থান করছেন, তাদের অবশ্যই দেশে ফিরতে দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারা জঙ্গলের পথ বা অননুমোদিত রাস্তা ব্যবহার করছে। যা খুবই অমানবিক।’

কোভিড প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও বিমানবন্দরসমূহে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

এ সময় তাঁর সঙ্গে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে তিনি বিজিবির গাজীপুর ব্যাটালিয়ন ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখার কথা রয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘খণ্ডিত নয়, সম্পূর্ণ তথ্য প্রচার করুন। খণ্ডিত সংবাদ প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।’


রাজধানীতে মধ্যরাতে বাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে কোটি টাকা চাঁদা দাবির করার অভিযোগে কলাবাগান থানার ওসি ও এক এসআইকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- কলাবাগান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান ও উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন।

সোমবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত ২ মে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.আব্দুল ওয়াদুদ। পরে গতকাল রোববার অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পুলিশ।

অভিযোগে আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গত ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ ও ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। আমার ম্যানেজার ৯৯৯ এ টেলিফোন করলে শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমের দুটি গাড়ি এসে বাড়ির সামনে মেইন রোডে থামে। ম্যানেজার তখন দেখতে পান কলাবাগান থানার ওসি মোক্তার হোসেন নিউমার্কেট ও শাহবাগের টহল টিমকে চলে যেতে বলেন। তখন এক ভাড়াটিয়া ও নাইট গার্ড ওই টহল টিমকে বিষয়টি জানাতে চাইলে কলাবাগান থানার ওসি তাদের দুজনকে পুলিশের গাড়িতে তোলার নির্দেশ দেন, যা বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে।

জানা গেছে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে কয়েকজন পুলিশ ড. আব্দুল ওয়াদুদের ঘরের তৃতীয় তলার দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। গভীর রাতে সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও দরজা ভাঙার শব্দে আশপাশের লোকজনদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়। একটি দরজা ভাঙার পর দ্বিতীয় দরজা ভাঙার সময় তিনি কলাবাগান থানার ওসিকে সাহায্যের জন্য ফোন দেন। ওই সময় ওসি তাকে পুলিশের সঙ্গে বের হয়ে আসতে বলেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডিবির লোক এসেছে তাদেরকে সহযোগিতা করতে।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, কোনো উপায় না দেখে পুলিশের সঙ্গে থানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং দরজা খুলে দেই। কিন্তু দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই বেলাল ও মান্নান আমাকে ধাক্কা মেরে আবার ঘরের ভেতরে টেনে নেয় এবং উগ্রভাবে আমার কাছে কী কী অস্ত্র আছে তা জানতে চায়।

কিছুক্ষণ পর মান্নান নামের একজন পুলিশ সদস্য আমাকে একটু আড়ালে নিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে ১ কোটি টাকা দিতে পারলে আমার থানায় যেতে হবে না। বাড়িতে রেখে যাবে। কী মামলা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কোনো মামলা হয়নি; তারা টাকার জন্য এসেছে। যদি টাকা না দেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দেওয়া হবে।

ভুক্তভোগী বলেন, উপায় না পেয়ে দুই লাখ টাকা পুলিশ সদস্য বেলাল ও মান্নানের হাতে দেই। ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে তিন জন সিভিল ড্রেস পরা ব্যক্তিকে আমার পাহারায় রেখে যায়। তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়েছে। এমনকি যাওয়ার সময় এসআই বেলাল বাড়িতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এ রকম একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নিয়েছে ভিডিও ধারণ করে।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ডিএমপি তাদের সাময়িক প্রত্যাহার করেন।
 


পৃথিবীতে সব চেয়ে মধুর সম্পর্ক হলো বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক। সন্তানের জন্য বাবা-মা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে দ্বিধা করেন না। সেই মধুর সম্পর্ক কতোটা তিক্ত হলে বাবা সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন একজন বাবা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা আদালতে হাজির হন উপজেলার নগরপাড় গ্রামের মো. মফিজুল ইসলাম ও তাহমিনা বেগম দম্পতি।

তাদের সংসারে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের মধ্যে ছোট ছেলে নাঈম সরকারকে নিয়ে তারা খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে নাঈম দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত মদ-গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবাসহ নানান মাদক সেবন করে আসছে। প্রতিনিয়ত মা, বাবাসহ পরিবারের সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তার এ আচরণে মা বাবাসহ পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ।

এ অবস্থায় পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা কুমিল্লা আদালতে এসে উকিলের মাধ্যমে হলফনামা করে ছেলে নাঈম সরকারের সঙ্গে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

মফিজুল ইসলাম বলেন, একজন জন্মদাতা বাবা কতটা নিরুপায় হলে তার আদরের সন্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আপনারা তা বুঝে নেন। আমি মানসিকভাবে খুব বিধ্বস্ত, এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।

নাঈম সরকারের বক্তব্য জানার জন্য তাকে কল দিলে পাওয়া যায়নি।

হরফনামায় মফিজুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ‘সে (মো. নাঈম সরকার) আমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তাকে আমি আদর যত্ন করে লালন করেছি। বর্তমানে সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বর্তমানে সে আমার কোনো কথা শুনতে চায় না। তার আচরণ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক সেবন করে। বাসায় গভীর রাতে ফিরে আর আমাদের সঙ্গে অমানবিক নির্যাতন ‍ও গালিগালাজ করে। এ ছাড়া ভিন্ন ধর্মের এক নারীর প্রতি আসক্ত। বর্তমানে সে এমন কিছু কাজ করেছে যা আমাদের পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
হরফনামায় আরও উল্লেখ আছে, ‘আমি তার সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, দালিলিক, যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতি থেকে অধিকার ছিন্ন করার অর্থাৎ সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
 


রূপগঞ্জে অহরহ মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলায় ৩টি সিন্ডিকেট চক্রের প্রায় ৩০ জন সদস্য মোটরসাইকেল চুরিতে সক্রিয় রয়েছে।

চুরি হওয়া মোটরসাইকেল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, কাঁচপুর ও মদনপুরের বিভিন্ন গ্যারেজে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার রায়েরবাগ, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, ধলপুর ও ধোলাইখালের গ্যারেজগুলোতে বিক্রি করা হয়।অভিযোগ উঠেছে, গ্যারেজ মালিকদের সঙ্গে সিন্ডিকেট চক্রের রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক।

জানা গেছে, গত ছয় মাসে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ রবিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে ২টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। 
 
চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল মালিকদের থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ, স্থানীয় পত্রিকা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জে অহরহ মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে।

ভুলতা-গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়া, তারাব, কাঞ্চন, পূর্বাচল থেকে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। গত এক সপ্তাহে খোদ উপজেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। গত দুই মাসে চনপাড়া বটতলা এলাকার ২০০ গজের মধ্যে থেকে ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোরের দল রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া, তারাব, রূপসী, গন্ধবপুর, বরপা, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়া ভূমি অফিস, ইউএনও অফিস, কাঞ্চন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওঁৎপেতে থাকে।আর সুযোগ বুঝে ছোঁ-মেরে নিয়ে যায় মোটরসাইকেল।

গ্রেপ্তার একজনের বরাত দিয়ে এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘রূপগঞ্জে মোটরসাইকেল চক্রের ৩টি সিন্ডিকেট চক্রের ৩০ জন সদস্য সক্রিয় রয়েছে। একটি মোটরসাইকেল চুরিতে ৩ জন্য সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন পাহারার দায়িত্বে থাকে। আরেকজন মালিক থাকলে তার সঙ্গে খোশগল্পে মত্ত থাকে।
আরেকজন মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেয়। পরে বাকি দুজন ধীরে ধীরে সটকে পড়ে। সব ধরনের মোটরসাইকেলের লক খোলার মতো কৌশল তাদের আয়ত্তে রয়েছে। যারা চুরি করে নিয়ে যায় তারা কামলা হিসাবে পরিচিত। একটি মোটরসাইকেল চুরিতে কামলাদের দেওয়া হয় মাত্র ৩ হাজার টাকা।’

সূত্রটি আরো জানায়, চুরি করার আগেই মনোনীত গ্যারেজের সঙ্গে চুক্তি করা থাকে। চুরির সঙ্গে সঙ্গেই ওই গ্যারেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেও তাৎক্ষণিক রং-চং করে পাল্টিয়ে দেওয়া হয় মোটরসাইকেলের চেহারা। পরে গ্যারেজ থেকে এসব মোটরবাইক কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হয় গ্রাহকদের কাছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঁচপুর এলাকার গ্যারেজ মালিক বলেন, ‘আমাগো কি দোষ। আমরা কম দামে পাই, কিনা রাহি।’ চোরদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেডায় চোর হেউডা কী জানি? আমরা তো মনে করি হোন্ডা যে বেচবার আয়ে তারই।’

কথা হয় গত কয়েকদিন আগে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল মালিক সোবহান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে তারাব বিশ্বরোড সংলগ্ন কবরস্থানের সামনে মোটরসাইকেল রেখে জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে দেখেন তার মোটরসাইকেল নেই। পরে স্থানীয় এক কারখানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখতে পান এক চোর তার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখন অবধি তার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি।

 গত দু’মাসে চনপাড়া বটতলা এলাকার সীমান্ত মিয়া, রিফাত সরদার ও সাইফুল ইসলামের ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। কথা হয় সীমান্ত মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে তার বাড়ির নিচ থেকে চক্র তার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।’

একই এলাকার সাইফুল ইসলাম ও রিফাত সরদার জানান, তাদের মোটরসাইকেল গত এক মাস আগে চুরি হয়ে গেছে।

ভুলতা আমলাবো এলাকার রাসেল মিয়া বলেন, ‘গত ১৪ নভেম্বর সংঘবদ্ধ চোরের দল তার বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এখনো তার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি।’

রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রূপগঞ্জ গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত ৮ নভেম্বর তার মোটরসাইকেল সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়।’

গাউসিয়া এলাকার আরিফ হোসেন বলেন, ‘গত ১২ জানুয়ারি গাউসিয়া মার্কেটের সামনে থেকে চোরের দল নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়নি।’

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।


বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল ব্যতীত) শব্দ দুটি পুনর্বহাল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।গত ১৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য’ বাক্যটি পুনরায় সংযোজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত। এতে দেশের মানুষের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি শুধু মুসলিম বিশ্বের ঐক্য দিয়ে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

শনিবার এফডিসিতে ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে গাজাকে রক্ষা করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদ আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

এদিন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছায়া সংসদে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।


সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা। স্বজ্ঞানে একটি জাতিকে নিধনের চেষ্টা। মার্কিনিরা চাইছে গাজাবাসীকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করতে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সক্ষমতা মুসলিম বিশ্বের নাই। তেলের প্রধান উৎপাদক এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ। মুসলিম বিশ্ব এখন এককভাবে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। 

এ সময় সাবেক এই রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়েও কথা বলেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ সংশোধনী বিল অহেতুক সমস্যা তৈরি করবে। যা না হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই আইনটি মুসলমানদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গভীর সংকটে আজ ফিলিস্তিন। রক্তে ভাসছে গাজা। ইসরাইলি গণহত্যার হাত থেকে নারী-শিশু, চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না। গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। জঘন্যতম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে গাজা এখন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুপুরী গাজায় খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসা নেই। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি। হাসপাতালে, পথে-ঘাটে লাশের সারি। চতুর্দিকে মরা মানুষের গন্ধ। গণকবরে পরিণত করা হয়েছে গাজাকে।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপে যতটুকু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে গাজায়, তার চেয়েও বেশি অশ্রু ও রক্ত ঝরেছে। কিন্তু যে যৎসামান্য মানবিক ত্রাণসহায়তা দেওয়া হতো তা-ও এখন বন্ধ রেখেছে ইসরাইল। বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ফিলিস্তিনবাসীর এই লড়াই একার কোনো লড়াই নয়। গাজার মানুষের সমর্থনে বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’ প্রমাণ করেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ লড়াই আমাদেরও লড়াই।
 


ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে দলটি আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশকালে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নতুন এই দলের আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন।

তিনি ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপক। তার নতুন দলের সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম।
আত্মপ্রকাশকালে রফিকুল আমীন বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি বৈষম্যহীন সার্বভৌম জাতি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং বৈষম্যহীন সামাজিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ সময়ে বৈষম্যহীন জাতি গঠন, কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বা সামাজিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।

যেহেতু, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে আপামর জনসাধারণের সকল বঞ্চনার অবসান করা যায়নি এবং এ লক্ষ্যে ২০২৪ এ জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় যেখানে সাধারণ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং জুলাই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বাংলাদেশের জনগণের সাধারণ অভিপ্রায়কে ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আপামর জনতা ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)’ নামে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছে। যা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএজিপি’র এই আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি ক্ষমতা কুক্ষিগত করা নয়, বরং সুযোগ্য নাগরিক ও ভোটার তৈরির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করণের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার গ্রহণে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, গ্রামীণ জীবনভিত্তিক উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীতে অগ্রাধিকার প্রদান এবং খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার চাহিদা পূরণে এ ধরণের কর্মসূচীর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে। বহুদলীয় রাজনীতির অবাধ সুযোগ, গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদীয় সরকার পদ্ধতির মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি কাজ করবে। 

তিনি আরো বলেন, দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিবারভিত্তিক অগ্রাধিকার বিলোপ করার মাধ্যমে দলের মধ্যে গণতন্ত্রের ধারা সৃষ্টি ও এই চর্চা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি কোনোরূপ সমঝোতা করবে না মর্মে স্থির সিদ্ধান্তে অটুট থাকবে। সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রণীত পবিত্র সংবিধানে মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা বলবৎকরণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করতে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি অবিচল থাকবে। 

দলটির সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক সচেতনতা না থাকলে দেশে আবার স্বৈরাচার সরকার গঠন হবে।

আমরা আওয়ামী স্বৈরাচার দলকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। সামনেও আমরা কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।
‘শিক্ষা-সমতা সু-বিচার যেখানে, আ-আম জনতা হাঁটবে সেখানে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি। আত্মপ্রকাশকালে দলটি ২৯৭ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।

 অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জনতার দলের সদস্য সচিব আজম খান ও এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) দিদারুল আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার ৩০০ শিশু-কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেরাত প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করা বিজয়ীদের মধ্যেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 বুধবার বিকেলে আমিরাবাদ বিসি লাহা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সবার উপস্থিতিতে শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। 

৪০ দিনের নামাজের এই কর্মসূচীতে নবাবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩০০ শিশু-কিশোর পেয়েছে সাইকেল ও আরও বেশ কয়েকজনকে গাছসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আর কেরাত প্রতিযোগীদের মধ্যেও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তছলিম হুসাইন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার লুবনা, হোসাফ গ্রুপের পরিচালক মাবরুর হোসাইন,ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন,যুবদল নেতা আবদুল হালিম,আজিম উদ্দিন প্রমূখ। এ সময় মসজিদের ইমাম, খতিব,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল আলম বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন। আমরা শিশু-কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। শুধু নবাবপুর ইউনিয়ন নয়, আশপাশের গ্রাম ও শহরেও এটা ছড়িয়ে যাক। তাতে কোমলমতি শিশু-কিশোরেরা মুঠোফোনের আসক্তি, মাদক, ইভটিজিং ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকবে। ভবিষ্যতেও এমন মহৎ কাজ অব্যাহত রাখা হবে।’ 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কিছু দিন আগে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৮-১৮ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের মসজিদ ও নামাজমুখী করতে টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করলে প্রত্যেককে সাইকেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত টানা ৪০ দিন নামাজ আদায়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এতে নবাবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাত শতাধিক জন শিশু-কিশোর তাদের নাম নিবন্ধন করে অংশ নেয়। টানা ৪০ দিন (২০০ ওয়াক্ত) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ৩০০ শিশু-কিশোর। বাকিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করলেও মাঝেমধ্যে জামাতে আদায় করতে পারেনি। ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০০ শিশু-কিশোরকে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে এবং বাকি শিশু-কিশোরকে দেওয়া হয় উপহারসামগ্রী। তবে প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট। 

২৯৪ শিশু- কিশোর পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল পেয়ে আনন্দে উচ্চসিত হয়ে বলে, আমরা আগামী দিনগুলোতে একইভাবে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করব। 

সাইকেল পুরস্কার পাওয়া কিশোর আবদুর রহমান বলে, ‘টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু পুরস্কার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি।’ 

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহায়তায় এমন উদ্যোগে তিনি খুব আনন্দিত হয়েছেন। সবার উদ্যোগে ও পরিষদের আয়োজনে কিশোরদের নামাজে উদ্বুদ্ধ করতে এই আয়োজন। শিশু-কিশোরেরা যেন মুঠোফোনে আসক্তি, মাদক, ইভটিজিং ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে দূরে থাকে, এ জন্য এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।’
 


কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শিশু ছিনতাইকারী সন্দেহে সন্তানের সামনে বাবাকে বেধড়ক পিটিয়েছে অতি উৎসাহী জনতা।পরে আহত ইলিয়াস হোসেন সোহেল মিয়াকে (৩০) উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে থানা পুলিশ।

রবিবার বিকেলে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের তাতারকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর পৌর শহরের হারুয়া সওদাগর পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে।

ঘটনার সময় তিনি তার ৩ বছরের শিশু সন্তান লাইসা মণিকে নিয়ে সরারচর রেলওয়ে স্টেশন হতে অটোরিকশা নিয়ে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। এ সময় শিশু লাইসা মণিকে কান্না করতে দেখে স্থানীয় লোকজন শিশু ছিনতাইকারী সন্দেহে অটোরিকশার গতিরোধ করে সোহেল মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে। অটোরিকশায় থাকা অপর এক যাত্রীকেও ছিনতাইকারী বলে মারধর করে জনতা। পরে খবর পেয়ে তাদের ২ জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

আহত সোহেল জানান, প্রায় ১০ বছর পূর্বে তিনি তার প্রতিবেশী লালন মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী নিখোঁজ। শিশুকে সাথে নিয়ে স্ত্রীকে খোঁজতে বের হন তিনি। 

কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারের পর সোহেলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সোহেলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভৈরবে তার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন স্ত্রীর খোঁজে। সেখানে কয়েকদিন ছিলেন তিনি। এরপর ভৈরব থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেল ও তার মেয়ে লাইসা মণিকে একইদিন রাতে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। লোকজন ভুল সন্দেহে তাকে মারধর করেছে বলেও জানান তিনি।
 


‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯’ এর সংশোধন করেছে সরকার। এর মাধ্যমে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতেও সম্পাদন করা যাবে। এই সংশোধনী এনে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে জানানো হয়, সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধন করল। অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি পরিশোধ করা যাবে।

নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন পদ্ধতি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালি বা অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পাদন করা যাবে।

এতে আরও জানানো হয়, অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ফরম ‘ঘ’ তে যেসব ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রয়োজন তারা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরাসরি স্বাক্ষর এবং নিরক্ষর ব্যক্তির ক্ষেত্রে টিপসই দেবেন।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পাদন করার বিষয়ে আইনি জটিলতা কেটেছে। এখন এ বিষয়ে সফটওয়্যার তৈরিসহ অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে। এরপর অনলাইন পদ্ধতি চালু হবে।


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের বাথরুমের গোপন ভিডিও ধারণকালে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আবদুর রহিমকে (৩১) আটক করা হয়েছে।

 ছবি:অভিযুক্ত আবদুর রহিম(সংগৃহীত)।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওষি ) শাহীন মিয়া। এর আগে একই দিন দুপুরে আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়ার উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বুধবার সকাল থেকে সুবর্ণচর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিক্ষিকা, নারী অভিভাবক ও প্রতিযোগী ছাত্রীদের পোশাক পরিবর্তনসহ বাথরুম ব্যবহারের জন্য পার্শ্ববর্তী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হয়।

সূত্র আরও জানা যায়, সকাল থেকে ওই ব্যাংকের অফিস সহায়ক আবদুর রহিম নিজের মোবাইল দিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে অভিভাবক, শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণ করেন। দুপুর ১টার দিকে মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী অভিভাবক বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিডিও রেকর্ডিং অবস্থায় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন। পরে শিক্ষকরা মোবাইলের মালিক অফিস সহায়ক আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত আবদুর রহিম উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের মধ্য চরবাটা গ্রামের বাসিন্দা। তার বড় ভাই আবদুল আলিম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। এ জন্য গুরুতর অপরাধ প্রমাণ থাকার পরও আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির করছে স্থানীয় একটি মহল।

রিয়াজ উদ্দিন নামে এক শিক্ষক বলেন, মোবাইলটি আমাদের হাতে আসার পর ছড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষকরা আপত্তিকর সব ভিডিও মুছে দেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আলেয়া খাতুন বলেন, অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে অফিস সহায়ক আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

সুবনচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মোবাইলফোনটি জব্দ করে নিয়ে আসে। লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 


ভারতের কেন্দ্রীয় শুল্ক বোর্ড সিবিআইসি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য ভারতীয় স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করেছে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সিবিআইসি জানায়, ২০২০ সালের ২৯ জুনে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যে সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছিল- তা বাতিল করা হয়েছে। ​

২০২০ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার রপ্তানি পণ্য ভারতের স্থল কাস্টমস স্টেশন এলসিএস ব্যবহার করে ভারতের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর হয়ে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এর আওতায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় অনেক কমে আসত। ​

প্রতিবেদনে ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের স্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মনে করছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে দেওয়া কিছু মন্তব্য ভারতের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সে সময় বলেছিলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভূমিবেষ্টিত। আমরা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সুযোগের দ্বার উন্মেচিত করেছে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হয়ে উঠতে পারে।”

এই মন্তব্য ভারতের কূটনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একে ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ এবং ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ​

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে যখন ঢাকার সম্পর্কের অবস্থা ভঙ্গুর- তখন চীনকে নতুন কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চিত্রিত করাও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে।

ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ভুটান ও নেপালের মতো ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য দেশগুলোকে ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য অবাধ ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়। ১৯৯৪ সালে সংস্থাটির জারি করা জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড ( জিএটিটি) এর অনুচ্ছেদ পাঁচ অনুসারে, সব সদস্যকে স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট প্রদান করতে হবে। এতে কোনো নির্দিষ্ট সীমা দেওয়া যাবে না এবং পরিবহন শুল্কের আওতায় ফেলা যাবে না।

ফলে ভারতের এই সিদ্ধান্ত নেপাল ও ভুটানের ক্ষেত্রে ডব্লিওটিও’র নিয়মাবলীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
 


কিশোরগঞ্জ ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস ঐতিহ্য। প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এ জেলায়।

প্রায় আড়াইশ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যের নাম কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ। পাগলা মসজিদের ইমরাত খুবই সুন্দর এবং নির্মাণশৈলীও বেশ চমৎকার। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে  পরিচিত। তবে দেশজুড়ে এর পরিচিতি অন্য কারণে।

পাগলা মসজিদ নাম শুনলেই বর্তমানে যেটি মাথায় আসে সেটি হলো মসজিদের দানবাক্স খুলেলই মেলে কোটি কোটি টাকা, বৈদেশিক মূদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। এ মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। দেশের মানুষের মাঝেও রয়েছে নানা কৌতুহল। কারা দেন এসব টাকা, কেন এই কোটি টাকার দান আর কি হয় দানের টাকায় ? 
 
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হয়বত নগর এলাকার প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান হয়বত খানের অধীনস্ত তৃতীয় পুরুষ জুলকরণ খানের বিবি সাহেবা মূলত একদিন স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে দেওয়ানবাড়ির অদূরে নরসুন্দার তীরে এই পাগলা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই তথ্য হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ি থেকে পাওয়া। মসজিদের প্রতিষ্ঠাকালে এর ভূমির পরিমাণ ১০ শতাংশ থাকলেও, এখন তা সম্প্রসারিত হয়ে এর মোট ভুমির পরিমাণ প্রায় ৫ একরের উপরে রয়েছে। পাগলা মসজিদের সঠিক ইতিহাস কারো জানা নেই।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর পানিতে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে থেমে ছিলেন। তখন নদীর পানিতে মাদুর পেতে তার ভেসে আসা দেখে, তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। এরপর সেই পাগলবেশী আধ্যাত্মিক পুরুষ এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ইবাদত করতেন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। যা কালক্রমে পাগলা মসজিদ ’নামে পরিচিত।
এই মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে নয়, দেশের সবকটি জেলার সকল ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবেও বিবেচিত। এ মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। নারীরা মসজিদের পৃথক স্থানে নামাজ আদায় করেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে প্রচুর লোক সমাগম হয়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সেদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বেশি আশায় দান খয়রাত ও বেশি হয়।

সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু-ছাগল, হাস-মুরগীসহ মানতের বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন। তাই প্রতিমাসে শুধু দানের নগদ অর্থ আর বিভিন্ন দানসামগ্রী থেকেই এ মসজিদের আয় হয় কোটি টাকারও বেশি।
প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হয় এই মসজিদের ১০টি লোহার দানসিন্ধুক। মসজিদের দানসিন্ধুকগুলো খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ঐ মসজিদের দোতলায়। পরে, মসজিদের মেঝেতে বসে দিনব্যাপী টাকা গুনেন প্রায় দুইশতাধিক মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা।

গণনা শেষে মসজিদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে টাকা জমা রাখতে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপওায় দানের সব টাকা নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংকে। এছাড়াও মসাজিদে মানতের বিভিন্ন দানসামগ্রীগুলো প্রতিদিন আসরের নামাজের পর প্রকাশ্য নিলাম ডাকের মাধম্যে বিক্রয় করে প্রাপ্ত অর্থ পরদিন ব্যাংক আওয়ারে মসজিদের হিসাব নম্বরে জমা রাখা হয়। যা পরে প্রতিমাসে ব্যায় করা হয় কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মসজিদের বিভিন্ন রক্ষনাবেক্ষণের কাজে।

পাগলা মসজিদের টাকায় ২০০০ সালে মসজিদের পাশেই একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ১৩০ জন এতিম শিশু পড়াশোনা করছে। মসজিদের টাকায় তাদের যাবতীয় ভরণপোষণ করা হয়ে থাকে।

মসজিদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা রাখা দানের টাকা থেকে আশা লভ্যাংশ ব্যয় করা হয়, দুস্থ ও দূরারোগ্য রোগীদের মাঝে। এছাড়া মসজিদের মূল তহবিলের টাকা এখন আর কোথাও ব্যয় করা হচ্ছেনা বলেই জানিয়েছেন মসজিদ কতৃপক্ষ। কারন মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যেটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য হিসেবে নির্মিত হবে। এজন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক মানের এ কমপ্লেক্সটি নির্মিত হলে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। সেই সাথে ৫ হাজার নারীর নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থাসহ মুসুল্লিদের ২০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

প্রতি অর্থবছর ওয়াকফ স্টেটের অডিটর দ্বারা মসজিদের আয়-ব্যয়ের অডিট করা হয়। সবশেষ মসজিদের দানসিন্ধুক খুলে রের্কড পরিমান টাকা পাওয়া যায়। যা অন্যান্যবারের সকল রের্কড ভেঙ্গে তৈরি করেছে নতুন রের্কড। সর্বশেষ গেল বছরের ৩০ নভেম্বর গণনা শেষে ৮ কোটি ২১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। যা ৩ মাস ১৩দিনে মসজিদের ১১টি দানসিন্ধুকে জমা পরেছিলো। যা অতীতের সব রের্কড ছাড়িয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন মাস পর মসজিদের দানসিন্ধুক খোলার কথা থাকলেও সিয়াম সাধনার মাস উপলক্ষ্যে খোলা হয়নি। বরং মসজিদের ১০ টি দানসিন্ধুকের সাথে আরও অস্থায়ী দানসিন্ধুক যোগ করে ঈদুল ফিতরের পর দানসিন্ধুক খোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে মসজিদ কতৃপক্ষ। সেই সাথে তারা ধারণা করছে, পূর্বের সকল রের্কড ছাড়িয়ে এবার নতুন রের্কড তৈরি হবে।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ২০১৬ সালে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্সে নামকরণ করা হয়। মসজিদটি পরিচালনার জন্য ওয়াকফ প্রশাসন  অনুমোদনকৃত একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্য সচিব। এছাড়াও মসজিদের খতিবসহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা এই কমিটিতে মসজিদ পরিচালনার কাজে দায়িত্ব পালন করছেন।
 


মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি দেশে ভূমিকম্প মোকাবিলায় সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ৯টি বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। 

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটি’র মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। 

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ
(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
(৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার
(৪) ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত
(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা
(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা
(৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা
(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট বা কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পড়লে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং 
(৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। যেকোনো তথ্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এই নম্বর ০১৭২২৮৫৬৮৬৭, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগ এবং ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট www.fireservice.gov.bd থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়েছে।  
 


শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।

তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।

সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া জানান, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু দিন আগেও দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশ প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।


ঢাকা থেকে ট্রাকে ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে নওগাঁয় ৬ শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নওগাঁ শহরের বরুনকান্দি বাইপাস এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধারের পর নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

তবে এখনো তাদের জ্ঞান না ফেরায় নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এরা সবাই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আজ বুধবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শহরের বাইপাস এলাকার বরুনকান্দি এলাকার একটি গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। এরপর নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি।

তিনি অস্পষ্টভাবে জানান, তারা সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ট্রাকে উঠে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর তাদের কলা, পানি, রুটি আর পান খাওয়ানো হয়েছে। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে পারেনি।

ওসি জানান, বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছেন তারা। কখন এবং কিভাবে তাদের ট্রাক থেকে বাইপাস সড়কের গ্যাস পাম্পের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে এ বিষয় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। শহরের এবং শহরের বাইপাস এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আবু জার গাফফার জানান, হাসপাতালে আসার পরে তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তাদের দেখাশোনা করছেন।

তিনি বলেন, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া রোগীদের জ্ঞান ফিরতে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তাদের নাম, পরিচয় শনাক্ত এবং তারা কোথার থেকে কোথায় যাচ্ছিলেন তা জানার জন্য এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ছয় ব্যক্তিকে পান অথবা ডাবের পানির সঙ্গে চেতনা নাশক শক্তিশালী ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 


অবশেষে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মাত্র চারজন নিয়ে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম।

চার মাস আগে এই গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে গ্রামটি বিক্রি করেন। তবে আজ বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।

সিরাজুল ইসলাম সরকার জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রির পর কম দামে পাশের গ্রামে জমি কিনেছেন। সেখানে নতুন বাড়ি করে বসবাস করবেন।

বাড়ি তো নয়, পুরো গ্রাম বিক্রি করে দিলেন—এমন প্রশ্নে সিরাজ সরকার বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যাঁরা থাকবেন, তাঁরা ভাগ্যবান। প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’

বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। তার মোবাইলে কল দিলে ধরেন তার ছেলে মোস্তফা কামাল। তিনি ওই বাড়ি কেনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বাবা বাড়িটি কিনেছেন ১৫ লাখ টাকায়। রেজিস্ট্রিসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরদিন তিন ভাই, মা ও বাবাকে নিয়ে বাড়িতে উঠেছেন। এখন তাঁদের সদস্যসংখ্যা ৯ জন। বাড়িটি কিনতে পেরে তাঁরা খুশি। কারণ, এটা শুধু বাড়ি নয়, একটা গ্রামের পরিচয়।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের ঘটনা প্রকাশ পায় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এরপর এই গ্রাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ গ্রামের জমির পরিমাণ ২৫ শতক। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এ জমিতে মো. সিরাজুল সরকার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। যেখানে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, একটি ছোট পুকুর, একটি টয়লেট ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। অন্যের জমির আলপথ দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ গ্রাম।


সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে যেসব ইমাম-মুয়াজ্জিনরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদের ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, এই ট্রাস্ট থেকে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারাদেশে ৬০০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। একই অর্থবছরে ৪ হাজার ৬২০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা নির্বাচিতদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই দুই খাতে মোট ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে, আকস্মিকভাবেই মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনের জন্য ২০০১ সালে এই ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়।
 


বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে আইসিসিবির নবরাত্রী হলে বিশ্ববরেণ্য আলেম-ওলামার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 বিশ্বের ১৭ দেশ থেকে ১৭ জন এবং দেশের প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। তিনি পেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ। আর দেশসেরা হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ।

কুরআনের এ প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনজন এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা আটজন এ পুরস্কার জিতেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাংলাদেশসহ ১৭ দেশের হাফেজবৃন্দ। চ্যাম্পিয়ন ও দুই রানারআপকে নগদ অর্থ পুরস্কারসহ সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

চ্যাম্পিয়নকে ১৫ লাখ, প্রথম রানারআপকে ১০ লাখ এবং দ্বিতীয় রানারআপকে দেওয়া হয় ৭ লাখ টাকা। সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। দুজন রানারআপ হলেন ইয়েমেনের মোহাম্মদ বালিগ সায়্যিদ আবদুল গাফফার আলী ও বাংলাদেশের হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম। এ ছাড়া তাদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়েছে।

আর জাতীয়ভাবে দেশের ১১ জোনের প্রায় ১০ হাজার হাফেজকে পেছনে ফেলে সেরা ৮-এ উঠে আসেন কুরআনের আটজন খুদে পাখি। এর মধ্যে প্রথম হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।

দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী হাফেজ মো. জিহাদুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। আর তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ আবদুর রহমান বিন নূর। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন হাফেজ মো. জুবায়ের আহমদ এবং হাফেজ মো. শাহেদ আলম তারিফ। তারা পেয়েছেন ২ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। সেরা ৮-এর বাকি তিনজন হাফেজ আবদুর রাজ্জাক নোমান, হাফেজ মুহাম্মদ আফফান বিন সিরাজ ও হাফেজ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় তাদের। পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মোট ১১ জনকে। এর মধ্যে জাতীয়ভাবে আটজন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তিনজন। পরে তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতাসহ পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে এজন্য তাঁদের মুবারকবাদ জানাচ্ছি। এ আয়োজন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকুক সে কামনা করি।’

সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর, চরমোনাইয়ের মরহুম পীর (রহ.)-এর সাহেবজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসাদ্দিক বিল্লাহ মাদানি।

আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘বসুন্ধরা আয়োজিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর আপনাদের সালাম জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আল কুরআন হচ্ছে মানবতার মুক্তির দিশা। এটি আল্লাহর দেওয়া মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। কুরআনের অন্যতম অলৌকিক শক্তি হলো মানুষের অন্তরে সংরক্ষিত করা যায়। যারা এ কুরআন শেখে, চর্চা করে, গবেষণা করে এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ে তারা আল্লাহর বিশেষ বান্দায় পরিণত হয়।’

এ অনুষ্ঠান কেন্দ্র আইসিসিবির নবরাত্রী হল হয়ে ওঠে দেশবিদেশের বিখ্যাত ইসলামি স্কলার, আলেমের মিলনমেলা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নর ড. খলিলুর রহমান মাদানি।

আরও উপস্থিত ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি শায়খ আবদুল হক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, শায়খুল হাদিস মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, শায়খুল হাদিস এহসানুল হক জিলানী, শায়খুল হাদিস মুহিউদ্দীন কাসেম, কুরআনের নূর আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার চিফ কোঅর্ডিনেটর হায়দার আলী, ডেপুটি চিফ কোঅর্ডিনেটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, মিজানুর রহমান মানিক, গুলজার আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইসলামি সংগীতশিল্পী বদরুজ্জামান উজ্জল।

২০২৩ সালে সফলভাবে আয়োজিত প্রথম আসরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পরের বছর আরও বৃহদাকারে আয়োজন করে বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন হয় ‘আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’। তুরস্ক, জর্ডান, ওমান, ইয়েমেন, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭ দেশের হাফেজরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীরাও ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সি।

এবার জাতীয় পর্যায়ে পুরো দেশের মোট ১১ জোন থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সি ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।


জয়পুরহাটে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে ৫১৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুরের প্রাচীন দোলপূর্ণিমার মেলা।

এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘোড়া। নানা জাতের হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ঘোড়া বিক্রি জন্য আনা হয় এ মেলায়। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।

এ প্রতিযোগিতা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারও মানুষ। অন্যদিকে মণ্ডা-মিঠাই, নানা ধরনের আসবাবসহ শিশু-কিশোরদের নানা বিনোদনব্যবস্থা মেলাকে সাজিয়েছে ভিন্ন এক উৎসবে। 

জানা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুরে বসেছে ৫১৭ বছরের মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মেলা। প্রথম ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর মন্দির প্রাঙ্গণে বসে এই মেলা। এরপর থেকে এ এলাকায় মেলাটি আয়োজন করে আসছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। হিন্দু-মুসলিম মিলেই মেলাটি পরিচালনা করা হয়। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ থাকে ঘোড়া।

মেলাটি শুরু থেকেই ঘোড়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পরও মেলায় নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে উন্নত জাতের ঘোড়া আসত। একটা সময় মেলার পরিধি প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন তা ১ কিলোমিটারের মধ্যে ছোট হয়ে গেছে। বর্তমান দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঘোড়া ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসেন এখানে ঘোড়া কেনা-বেচা করতে।

এবার নজর কাড়ছে বাহাদুর, পঙ্খিরাজ, রানি, সুইটি, সোনার তরীসহ নানা বাহারী নামের ঘোড়া। এখানে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৯ লাখ টাকার পর্যন্ত ঘোড়া রয়েছে। এদিকে প্রতিদিন বিকেলে একটি মাঠে চলে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা। ঘোড়ার ক্ষিপ্রতা পরীক্ষা করার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া এখানে বড় বড় মহিষ-গরুসহ বিভিন্ন পশুও বিক্রি হয়।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামের গোলজার সরকার বলেন, ‘আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মেলায় ঘোড়া কেনা-বেচা করতে আসি। এবারও কিছু ঘোড়া বিক্রি হয়েছে, আরও কিছু বাকি আছে।’ জামালপুর জেলার রুহুল আমিন বলেন, ‘এবার মেলায় ৭০টি ঘোড়া নিয়ে এসেছি। সবচেয়ে বড় তাজি জাতের একটি ঘোড়া রয়েছে। এর দাম চাচ্ছি ৫ লাখ টাকা। কিন্তু দাম করছে ৩ লাখ ৭০ হাজার। ছোট কিছু ঘোড়া বিক্রি করেছি।’

বরিয়া গ্রামের তমাল হোসেন নামে বলেন, ‘মেলায় এসে অনেক বড় বড় ঘোড়া দেখেছি। এরপর মাঠে ঘোড়দৌড় দেখার জন্য এসেছি। অনেক ভাল লাগছে।’

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই মেলার মূল আকর্ষণ ঘোড়া ও ঘোড় দৌড়। পাশাপাশি নানা প্রজাতির মহিষ, গরুসহ বিভিন্ন পশুও পাওয়া যায়। এ ছাড়া বড় বড় মিষ্টি, কাঠের আসবাব, পোশাক, খেলনা, গৃহস্থালি সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায়। এটি দোলপূর্ণিমার মেলা হলেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সব ধর্মের মানুষ এখানে আসেন।’


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার মধ্যরাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত সংবাদকর্মীরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন ইরফান। তারা কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মাঝরাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আহত সাংবাদিকরা বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা। স্বজনদের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই রোগী মারা গেছেন। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বলে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, ছবি ও তথ্য নিতে সাংবাদিকরা নতুন ভবনের সপ্তম তলায় উঠার আগেই চতুর্থ তলায় অতর্কিত হামলা করে হাসপাতালের ভেতরে থাকা একদল যুবক। তারা সাধারণ পোশাকে মেডিকেল শিক্ষার্থী বা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কয়েকজন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।

আহত যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বলেন, হাসপাতালের চারতলায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা হয়। তাদেরকে মারধর করে ভবনের নিচে নিয়ে আসে। অপর একটি পক্ষ তাদেরকে নিরাপদে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তখন হাসপাতালের ভেতরে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে।

তিনি বলেন, “যারা হামলা করেছে সিসিটিভি ক্যামেরা বা মোবাইল ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের চিহ্নিত করা যাবে। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।”

যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব বলেন, “হাসপাতালে ক্যামেরা চালু করার আগেই আমাদের কয়েকজন যুবক মারধর শুরু করে। তাদের হাতে স্ট্যাম্প ও লাঠি ছিল। তারা দুই দফা হামলা করে। তখন অন্যরা মোবাইলে ভিডিও করছিল।”

সংবাদকর্মীদের দাবি, হামলাকারীরা হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট হতে পারেন। তারা কেউ ইউনিফর্মে ছিলেন না। হামলার সময় সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা ও ট্রাইপড।

এ ব্যাপারে জানতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয়ে কয়েকজন ঘটনার কথা বলেছেন। তাদের দাবি, এ সময় তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।”

এদিকে ঘটনার পর পরই সংবাদকর্মীরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হন। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানান।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, “এ ধরনের হামলা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
 


রাজনৈতিক দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) নোফেল সোসাইটি আয়োজিত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা জানান। 

জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে অন্তঃকোন্দলে ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এক থাকার আহ্বানও জানান তথ্য উপদেষ্টা।

নির্বাচনের আগে হত্যাকারীদের বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হবে বলে জানান এই উপদেষ্টা। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭২ ও ৭৫ সালে দিল্লী থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে এবং সেখান থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
 
অভ্যুত্থানের পর অন্তঃকোন্দলে ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
 


প্রকাশিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫’। এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা।

এ বছর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১৪৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪। গত বছর ১৪৩ দেশের মধ্যে ১২৯তম অবস্থানে ছিল দেশটি।

বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বরাবরের মতো, এবারও বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ফিনল্যান্ডের নাম। আর সবচেয়ে অসুখী দেশের অনাকাঙ্ক্ষিত তকমা অর্জন করেছে আফগানিস্তান।

সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ২৪ ধাপ পিছিয়ে ১১৮ নম্বরে বাংলাদেশ পরবর্তী অবস্থানগুলোতে আছে সিয়েরা লিয়ন, মালাউই, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও ইয়েমেন।  

ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ১১৮, ১০৯, ১২৬ ও ১৩৩তম অবস্থানগুলো দখল করেছে। অপরদিকে, নেপালের অবস্থান ৯২।

প্রতিবেদন মতে বিশ্বের সবচেয়ে ২০টি সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, কোস্টারিকা, নরওয়ে, ইসরায়েল, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র (চেকিয়া)। 

বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে গ্যালাপ বিশ্ব জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গ্যালাপ, দ্য অক্সফোর্ড ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টার ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) ও একটি সম্পাদকীয় বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
 


সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কুমিল্লায় দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বুড়িচংয়ের বালিখাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দোয়া ও ইফতার সভাপতিত্ব করেন দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।

সংগঠক রেজবাউল হক রানার পরিচলনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,  কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিকসহ প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও নিবাসীরা ।

মঙ্গলবার দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে দোয়া ও ইফতার মহফিলের আয়োজন করে সংগঠনগুলো।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বালিখাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুর রহমান ।


নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আমিন (২৩) ও বাশার (৩৫)। তারা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করেন তারা। পরে গত ৫ আগস্টের পর সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরে এসে সালাম মিয়ার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করেন।

 এ নিয়ে এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় উঠতে চায়। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র, দা, ছুরি, ককটেল ও অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে সালাম মিয়ার দুই সমর্থক ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়াও আহত হন উভয় পক্ষের ১০ জন। 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামসু মেম্বার ও সালাম মিয়ার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ওই এলাকাটি দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় পৌঁছাতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। 


প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছুদিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়ে থাকে। এই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়ে থাকে।

বিশ্বে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হল বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস। প্রতি বছর ২০ মার্চ সারা পৃথিবী জুড়ে বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস পালিত হয়।

ভারতে নেচার ফরএভার সোসাইটি (এনএফএস) বিশ্ব চড়ুই দিবস উদযাপনের জন্য একটি উদ্যোগ নেয়। তারপর এই সোসাইটি ফ্রান্সের ইকো-সিস অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় ২০১০ সালে ২০ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস হিসেবে পালন করে। তারপর থেকে প্রতি বছর ২০ মার্চ বিশ্বজুড়ে ক্রমশঃ কমতে থাকা চড়ুইপাখিদের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্বে চড়ুই একসময় বাড়ির কাছাকাছি সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যেত, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে, এই পাখিটির সংখ্যা শহর ও গ্রাম উভয় জায়গা থেকেই অনেকাংশে হ্রাস পাচ্ছে।

চড়ুই পাখির সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকার মূল কারণগুলি হলো, কৃষির জন্য ব্যাপক হারে কীটনাশকের প্রয়োগ, মোবাইল ও টিভি টাওয়ার থেকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন, গ্রীষ্মে প্রবল জলকষ্ট ইত্যাদি। 

চড়ুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া আমাদের জন্যও সতর্কতা। পরিবেশের কী মাত্রায় পরিবর্তন হলে একটা প্রজাতি ধীরে ধীরে কমে যায়, চড়ুইয়ের কমে যাওয়া সেদিকেই নির্দেশ করে। তাই বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস-এর উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে এই পাখিগুলিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো।

বিভিন্ন শিক্ষামূলক এবং প্রচারমূলক কাজের মাধ্যমে দিনটিকে পালন করা হয়। ছোটদের এই দিবস এবং চড়ুইপাখির গুরুত্ব বোঝানো হয় যাতে তারা আগামী দিনে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকে। পাশাপাশি সারাবছর ধরেই যেন পাখিদের জন্য কিছু করা হয় সেই শিক্ষা দেওয়া। যেমন প্রবল গ্রীষ্মে জলকষ্টে যাতে চড়ুই ও অন্যান্য পাখি মারা না যায় সে জন্যে ঘরের ছাদে বা বারান্দায় বাটিতে করে জল রাখলে পাখিদের কিছু সুরাহা হতে পারে, সঙ্গে পাখিদের উপযুক্ত কিছু খাবার রাখা। এই দিবসের একটি নির্দিষ্ট থিম বা প্রতিপাদ্য আছে।

প্রতিবছর সেই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। প্রতিপাদ্যটি হলো- ‘আমি চড়ুই ভালোবাসি’ (I LOVE Sparrows)। প্রতিপাদ্যটি মানুষ এবং চড়ুইয়ের মধ্যেকার সম্পর্ককে মনে করে বানানো হয়েছে। 


অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য এতদিন বাংলাদেশিদের ভারতের নয়াদিল্লি ভিসা সেন্টার যেতে হত। কিন্তু এখন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকরা ঢাকাতেই পাবেন অস্ট্রেলিয়ার ভিসা।

 বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে,  বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এক ফোন আলাপে বিষয়টি জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক।

ওই ফোন আলাপে টনি বার্ক বলেন, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় অবস্থিত তাদের হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রসেস করবে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্কের বাংলাদেশ সফরের সময় তার কাছে এই অনুরোধ করেছিলেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নয়াদিল্লি থেকে প্রসেস করতো।
 



বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবারই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এছাড়া, ৫ আসামিকের নিম্ন আদালতের দেয়া যাবজ্জীবনও বহাল রাখা হয়েছে।

আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু।

রায় ঘোষণার পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এ সময় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আবরার ফাহাদের ভাই ফাইয়াজ বলেন, হাইকোর্ট থেকে এই দ্রুত রায় পাব তা চিন্তায় ছিল না। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যদিও এখনও অনেকগুলো প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে মেনে নিতে পারছি না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আবরার ফাহাদের পরিবার এবং জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‍এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্দ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব। আশা করছি সেখানে ন্যায়বিচার পাব।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে হাইকোর্ট। পরে আজ রোববারের কার্যতালিকায় মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় হয়।রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন: বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়।


যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে সারা দেশের ২৩ জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব এলাকায় দায়িত্ব পালনকারীদের ভাতা নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি দেওয়া হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত লোকবলের ভাতা নির্ধারণের জন্য দুর্গম এলাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ওই সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে ২৩টি জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে উপজেলাগুলো তথ্য সংগ্রহকারী ও অন্যদের জন্য ভাতা/সম্মানী এবং অন্যান্য খাতে অর্থ বরাদ্দ নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ করা হয়েছে।

দুর্গম এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা; বরগুনার বেতাগী, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা; বাগেরহাটের রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা; খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা উপজেলা; নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা; কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলা; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলা; কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা।

বরিশালের হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা; সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা; নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও খালিয়াজুরী উপজেলা; পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা উপজেলা; সাতক্ষীরার আশাশুনী ও শ্যামনগর উপজেলা; পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা; কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা; মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা; মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষীছড়ি; খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা উপজেলা; বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলা।

ইসি কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল, হাওর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চল ও সমতল ভূমিকে যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট ও দুর্গমতার ব্যাপকতা বিবেচনায় ভবিষ্যতে দুর্গম এলাকার তালিকা শ্রেণিভিত্তিক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।


হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আসামপাড়ায় স্কুলশিক্ষক বাবার সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়েছেন তিন ব্যবসায়ী।

 বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। 

স্থানীয়রা জানান, আসামপাড়া বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মোতালিব মাস্টারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই নির্যাতিত ব্যক্তির।


এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোতালিব মাস্টারের তিন ছেলে বকুল, মুকুল ও শেকুল লাঠি দিয়ে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। 

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুর আলম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ভারসাম্যহীন কোনো মানুষের সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না।

কিন্তু কেন এমনটি হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
 



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন। সেইসঙ্গে এসব শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয়ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল দশম গ্রেড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।

পরে একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ কেন সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করে আদালতকে অবজ্ঞা করার অপরাধে বিবাদীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, মর্মে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে দুই দিন আগের তারিখে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করে মন্ত্রণালয়।

পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। এর ফলে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না। এদিকে, এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিটকারী প্রধান শিক্ষকেরা।
 


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মন্তব্য করেছেন, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ( ১০ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।এসময় পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন,গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা কন্ট্রোল রুম থেকে সে যুদ্ধের প্রতি সপ্তাহ ও দিনের কর্মসূচি চালু করা হয় ও মনিটর করা হয়। আমাদের সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে। 

উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, গতকাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও সহিংসতা নিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার চলমান এবং বিচারের কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ও সরকার তৎপর।

তিনি লিখেছেন, ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও তরুণদের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় ও গতকালের আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদেক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। 

মাহফুজ আলম লিখেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা, জুলাই শহিদ ও আহতদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার সক্রিয় ও সফল। কিন্তু, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার মধ্যকার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিরোধ, স্বার্থান্বেষা ও মতান্ধতা, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রমশ উত্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। 

তিনি লিখেছেন, সরকার যুদ্ধ লড়ছে গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিশালী দেশি-বিদেশি জোটের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের মধ্যকার অভ্যুত্থানের ঐক্যকে নস্যাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সফল ও হচ্ছে। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তিকে মুখোমুখী না করাই আমাদের জন্য আখেরে ভালো হবে। 

মাহফুজ আলম লিখেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনরুজ্জীবন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর সহ নানা বিষয় আমাদের লক্ষ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। 


আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দেশের অদম্য নারীদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান তিনি এ পুরস্কার তুলে দেন।

সম্মাননা পুরস্কারপ্রাপ্ত অদম্য নারীরা হলেন— অর্থনীতিতে অবদানে শরিফা সুলতানা, শিক্ষা ও চাকরিতে অবদানে হালিমা বেগম, সফল জননী নারী মেরিনা বেসরা, জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী লিপি বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানে মো. মুহিন (মোহনা) ও বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি।


সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টগুলো ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এসময় তিনি তার মূল্যবান দিক-নির্দেশনা দেন।

সেনাপ্রধান Special Representative of the Secretary General (SRSG) Ms. Valentine Rugwabiza এবং ফোর্স কমান্ডার Lieutenant General Humphrey Nyone এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান Central African Republic Armed Forces (FACA) এর প্রধান General Mamadou Zephirin এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

পরবর্তী সময়ে, প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন।

এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট Faustin-Archange Touadéra এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষত চিকিৎসাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টগুলো পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে গিয়েছিলেন। 


টাকার বর্তমান মান অনুযায়ী অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতির তারতম্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেনমোহর পরিশোধের রায় দিয়েছেন কুমিল্লার পারিবারিক আদালত।

একই সঙ্গে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট টাকা পরিশোধের কথাও রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। দেনমোহর নিয়ে এমন ব্যতিক্রমধর্মী রায় দেশে এই প্রথম করা হলো বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা আদালতের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার পারিবারিক আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ শেখ সাদী রহমান এই ‘ব্যতিক্রমধর্মী’ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজাদ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের বিয়ে হয়।বিয়েতে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উসুল দেখিয়ে দুই লাখ টাকা বাকি রাখা হয়। পরে ২০২৩ সালের জুনে ইব্রাহিম খলিল তালাক দিলে দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের প্রার্থনা করে সুমাইয়া পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত বাদীর পক্ষে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, বাদী ও বিবাদীর বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালে, এখন ২০২৫ সাল। প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার মানের তারতম্য ঘটে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে স্পষ্ট। এ অবস্থায়, দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারা প্রয়োগ করে মুদ্রাস্ফীতির তারতম্য অনুসারে বাদীর দেনমোহরের প্রকৃত মূল্য দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো এবং বাদী ওই টাকা পাওয়ার হকদার। বাদীর প্রার্থিতা মতে ছয় মাসের ভরণ-পোষণ ‘খোরপোশ’ বাবদ ৪২ হাজার টাকা এবং ইদ্দতকালীন তিন মাসের ভরণ-পোষণ বাবদ ২১ হাজার টাকার হকদার।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন বলেন, ‘এ রায়কে অবহেলিত নারীসমাজের জন্য যুগান্তকারী রায় বলে মনে করছি। কারণ, আমাদের মুসলিম রীতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহর নিয়ে নারীদের অনেক বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হতে হয়। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক বাস্তবতা উপলব্ধি করে যে রায় দিলেন তা অবশ্যই ব্যতিক্রম ও যুগান্তকারী।’

 


 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাটি কাটায় বাধা দেয়ায় সমন্বয়ক শাহাদাত তানভির রাফি ও তাঁর সহযোগীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান অনি আহত হয়েছে।

বুধবার রাত আনুমানিক বারটার সময় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা(সালুকিয়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।

ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান অনি অভিযোগ করেন, কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব শাহাদাত তানভির রাফি, মাদক ব্যবসায়ী গোলাম রসুল, মোঃ ওয়াসিম ও যুবলীগ নেতা আল রায়হান আলকাছের নেতৃত্বে ভারত সীমান্ত এলাকায় প্রতিরাতেই ভেকু দিয়ে মাটি কাটা চলছে।

বুধবার রাতে সাইদুর রহমানের মালিকানাধীন ফসলি জমির পাশে গভীরভাবে মাটি কাটার কারণে জমির ক্ষতি হয়। রাত আনুমানিক বারটার সময় সাইদুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল নেতা অনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটতে বাধা দেয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সমন্বয় পরিচয় দেয়া শাহাদাত তানভীর রাফি, তাঁর পিতা বাবুল রহমান ছাত্রদল নেতা অনির উপর হামলা চালায়। তার চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রদল নেতা অনিকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর মাথায় নয়টি সেলাই করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, শাহাদাত তানভির রাফি গত ৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতো। বর্তমানে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমানগন্ডা সালুকিয়া এলাকায় ভারত সীমানায় ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। যে কেউ দেখলে এটা পাহাড়ি এলাকা না বলে ‘পুকুর’ বলবে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন, বন ও কৃষি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এছাড়া সমন্বয়ক রাফির বিরুদ্ধে এলাকায় স্বৈরাচারের দোসরদের পূনবার্সন করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সমন্বয়ক শাহাদাত তানভির রাফি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ঘটনা ঘটেছে’।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’


রাজধানীতে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন কয়েশ নারী। এতে স্থানীয় বাসিন্দারাও সংহতি জানিয়ে যোগ দেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে লালমাটিয়ায় এ মিছিল করেন তারা।

মিছিলে ‘নেশাখোরদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধূমপান নিষিদ্ধ কর, করতে হবে’ প্রভূতি স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

এ সময় স্থানীয়রা বলেন, কয়েকদিন আগে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

তারা বলেন, লালমাটিয়া এলাকাটি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে।তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এই মশাল মিছিল বের করা হয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া সামিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ধূমপানের কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান শিশুসহ অধূমপায়ীদের বেশি ক্ষতি করছে।আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সারাদেশে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করা হোক।’

মিছিলে অংশ নেওয়া সুমাইয়া ঐশী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধূমপান ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ 

 


অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে সি আর আবরারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ। সি আর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজ বানাই, যেখানে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাজ আর নেই।এটাই আমাদের লক্ষ্য। কারও লাশ যেন বেওয়ারিশ হিসেবে না থাকে।

 

ছবি: আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নতুন ভবন ‘আঞ্জুমান জে আর টাওয়ার--এর উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যার যার জায়গা থেকে আমরা বেওয়ারিশ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারি, যাতে যার লাশ তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাছে থাকে। তাকে যেন সম্মানজনকভাবে দাফন করা যায়। এতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কর্মকাণ্ডের কোনো ব্যাঘাত হবে না। বরং আমরা তাদের সম্মান জানাব, এই জিনিসগুলো তুলে ধরার জন্য।’

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন এবং সেবা প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে। আঞ্জুমান মুফিদুলে উপস্থিত থাকাকে সৌভাগ্য মনে করছি। ছোটবেলা থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের নাম শুনে আসছি। অদ্ভুত এক নাম, এই নামের কোনো ব্যাখ্যা জানতাম না—তার সঙ্গে একটা জিনিস জড়িত, শুধু জানি ‘‘বেওয়ারিশ লাশ’’।’ 

তিনি বলেন, ‘এরা (আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম) কারা কোনো দিন জানিনি, আজকে চাক্ষুস দেখলাম। এরা এমন এক জগৎ থেকে ভেসে আসে, একটা লাশ পড়ে থাকলে উঠায়ে নিয়ে যায়। স্বপ্নিল একটা জিনিস। যত দুর্গম হোক, যত কঠিন পরিস্থিতি হোক, ওই নামটি আসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। এটা আমার কাছে খুব অবাক লাগত।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যার পরিচয় জানা নেই, কিন্তু প্রতিদিন খবর আসছে। এখন জানলাম সারা দেশজুড়ে আছে। তাদের কোনো বক্তব্য কখনো কোনোও পত্রিকায় দেখিনি।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, আঞ্জুমান মুফিদুলের সভাপতি মুফলেহ আর ওসমানী ও সহসভাপতি গোলাম রহমান।


তরুণ আলেম প্রজন্ম-২৪ এর কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

নির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবনা মোতাবেক এই কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে। ২ তারিখ রোববার কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এহসানুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই হাজার চব্বিশ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশ দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি লাভ করেছে। অভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্র সমাজের পাশাপাশি এই দেশের মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে আত্মত্যাগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। হাজারখানেক আলেম-শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৯০ জন আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, অভ্যুত্থানে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান কে সমুন্নত রাখতে অভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যহীন নতুন বাং লাদেশ বিনির্মাণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কে বেগবান করতে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৪৭ জনকে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সংগঠনের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাহী পরিষদ। নির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবনা মুতাবেক তরুণ আলেম প্রজন্ম-২৪ এর কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়। কার্যকরী পরিষদের সভাপতির পদে আছেন এহসানুল হক। সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ইবনে ওমর।

সভাপতি পরিষদে অন্যরা হলেন, এখলাছুর রহমান রিয়াদ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, বিলাল আহমাদ চৌধুরী, মাবরুরুল হক ও এহতেশামুল হক সাখী।

সাধারণ সম্পাদক পরিষদের অন্যরা হলেন, শরীফ হুসাইন, জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, শেখ সাদী।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল সিদ্দিকী, অর্থ সম্পাদক সানাউল্লাহ খাঁন, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল করীম নোমানী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নাজমুল হাসান,  ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আইনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কে এম তাহমীদ হাসান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক যিমামুল হক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক কালিম মাহফুজ, সহ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ইলিয়াস নোমান,  তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লাহ তামিম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সাগর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নুহ বিন হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক রশিদ আহমদ তকি।


 

কুমিল্লার তিতাসে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার মৌটুপী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর মিয়া ও একই ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের রুকন উদ্দিনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী সুজন।

তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌটুপী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে


রাজধানীর ভাটারা থানাধীন শাহজাদপুর এলাকায় সৌদিয়া নামের একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (৩ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া অফিসার তালহা বিন জাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "আজ দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ভাটারার সৌদিয়া হোটেলে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর বারিধারার দুটি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।" 

ছয়তলা হোটেল ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

সর্বশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। 

নিহতদের মরদেহ ভবনের ছয় তলায় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে, একটি মরদেহ বাথরুমের ভেতরে এবং বাকি তিনটি সিঁড়ির গোড়ায় পাওয়া গেছে। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালা মারা ছিল বলে জানা গেছে।

নিহতদের সবাই পুরুষ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দুপুর ১টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

এদিকে, আগুনের ঘটনায় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকায় চলাচলরত সাধারণ মানুষ।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।

রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সিইসি। 

এবারের প্রতিপাদ্য ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’। ভোটার দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করেছে ইসি। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। 

‎২ জানুয়ারি ‎খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই তালিকায় ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন অন্তর্ভুক্ত হন। সেই অনুযায়ী, দেশের ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ এবং হিজড়া ভোটার ৯৯৪ জন।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে নতুন ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

ইসি কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী এ বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজও এগিয়ে নিচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় মোট ৫১ লাখের মতো নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হলেও এখনো ভোটার হননি তাদেরকে এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে এ কাজ এগিয়ে রাখছে ইসি।

 


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল-আমীন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

ছবি: বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত(ফাইল ছবি)

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।আল-আমীন ভারতের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। এতে আহত হন আল-আমীন। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর লাশ এখন বিএসএফ ক্যাম্পে আছে।

বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে গুলি করেছে, সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। আল-আমীনের লাশ বর্তমানে বিএসএফ ক্যাম্পে আছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার যে এলাকায় থাকে, সেখানে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক কাজ করে না। সে জন্য তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। দক্ষিণ পুটিয়া একটি অপরাধপ্রবণ এলাকা। চোরাকারবারের কাজে এলাকাটি ব্যবহার করে অপরাধীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম বলেন, চোরাকারবারি মনে করে বিএসএফের সদস্যরা আল-আমীনকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে চিকিৎসা দেন। রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আজ শনিবার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা। পতাকা বৈঠকে আল-আমীনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা আছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার দাবি, সীমান্তের এই জায়গায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর দুই যুবক গুলিতে আহত এবং গত ২২ এপ্রিল মেহেদী হাসান নামের একজন নিহত হন।


২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা নিয়ে গেজেট ‘জুলাই যোদ্ধা’ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত গেজেটে সারাদেশের ৪৯৩ জন আহতদের নাম স্থান পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই গেজেটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) এর ক্রমিক নং ২৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার প্রকাশ করে।

গেজেটে অতি গুরুতর ৪৯৩ জন আহতকে ‘ক’ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহতদের ধরণভেদে পর্যায়ক্রমে ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির তালিকাও প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়।

গেজেটে অতি গুরুতর আহতদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, পিতা-মাতার নাম ও স্থায়ী ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাটি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গত ১৫ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

আহত জুলাই যোদ্ধারা তিনটি ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা পাবেন। যথা- ক্যাটাগরি এ, বি ও সি। আহত জুলাই যোদ্ধারা যেসব সুবিধাদি পাবেন তা হলো—ক্যাটাগরি ‘এ’ (অতি-গুরুতর আহত): ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত; যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের সহায়তা ব্যতীত জীবনযাপনে অক্ষম। ক্যাটাগরি এ শ্রেণির যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে। এছাড়া, মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন তারা। তাছাড়া উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন। পরিচয়পত্র প্রাপ্ত হবেন এবং পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

ক্যাটাগরি ‘বি’ (গুরুতর আহত): গুরুতর আহত ক্যাটাগরি ‘বি’তে ৯০৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত। যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবন যাপনে সক্ষম হবেন তারা আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আর্থিক অনুদান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। এর মধ্যে এককালীন ৩ লাখ টাকা, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা দেয়া হবে। তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন। পরিচয় পত্র প্রাপ্ত হবেন এবং পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। 

ক্যাটাগরি ‘সি’ (আহত): আহত ক্যাটাগরি ’সি’তে ১০ হাজার ৬৪৮ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত, যারা চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ। আহত জুলাই যোদ্ধারা এককালীন ১ লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন। এছাড়া পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র প্রাপ্ত হবেন এবং পরিচয় পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।


হোমনা উপজেলা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে বুধবার হোমনা প্রেসক্লাবের সামনে  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর থেকে  শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ও মেডিকেল ভাতা প্রদানসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে চলমান লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি  পালনরত শিক্ষকদের উপর  ফ্যাসিবাদি কায়দায় পুলিশী বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল  ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এতে  প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান, মো. শামসুল হক সরকার, অধ্যক্ষ কেএম আতিকুর রহমান, চান্দেরচর মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম.প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম,সুপার মাওলানা আবদুল কাদির,, রেহেনা মজিদ মহিলা কলেজের  প্রভাষক সুলতানা রাজিয়া আক্তার, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক আবদুল আলীম,আবদুল হক,আবুল কালাম আজাদ, কাজী মো. ইব্রাহীম,মো. মিজানুর রহমান,মো.ইসমাইল,সোহেল রানাসহ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অংশ গ্রহণ করেন।

এ সময়  বক্তারা বলেন, চাকরি জাতীয়করনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে   ঢাকায়  শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই ।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম পরিবর্তন করে ‘কর্ণফুলী টানেল’ ও বঙ্গবন্ধু সেতু নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা সেতু’ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত এই দুইটি স্থাপনা নাম পরিবর্তন করল সরকার। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার মো. নাহিদ ইসলাম এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় মাহফুজ আলম তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত। শিগ্গিরই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। 

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মো. নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার পদত্যাগের পর এ দুই মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি আলোচনা আসে।

সূত্র জানায়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কারণে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ জরুরি ছিল। ফলে পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা কে হচ্ছেন, তা আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম সবার আগে আলোচনায় আসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা তাকে ছাড়তে চাননি। এ কারণে সম্প্রতি শফিকুল আলমকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে মাহফুজ আলমের নাম চূড়ান্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

জানা যায়, মাহফুজ আলম ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পতিত হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তাকে এই আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।


যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য গ্রাহক সেবা উন্নত করতে ভিএফএস গ্লোবাল সম্প্রতি একটি নতুন জেনারেটিভ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন চ্যাটবট চালু করেছে।

বাংলাদেশসহ ১৪১ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য এআই চ্যাটবট চালু করা হয়।বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভিএফএস গ্লোবাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভিএফএস জানায়, এআই চ্যাটবট প্রযুক্তি জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের এআই সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। জেনারেটিভ এআই-চালিত চ্যাটবটটি কথোপকথনে পারদর্শী, যা মানবসদৃশ কথোপকথন সেবা দিয়ে থাকে।

এটি ভয়েস এবং টেক্সট ইনপুটের মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষম, যা নানা ধরনের সেবা গ্রহীতাকে কার্যকরভাবে সেবা দেয়। এটি টেক্সট ও ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেও কাজ করে।এটি যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারী গ্রাহকদের জন্য তাৎক্ষণিক, নির্ভুল এবং সহজলভ্য তথ্য সরবরাহ করে থাকে।

কাস্টমার সার্ভিসেস গ্রুপ, ইউকে ভিসা অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা জেন ভিডলার বলেছেন, ভিএফএস গ্লোবালের এআই-চালিত চ্যাটবটটি আমাদের ভিসা পরিষেবাগুলোকে আরও সহজ, কার্যকর এবং সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চালু করা হয়েছে।


সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘হানাহানি না করে দিনশেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোঁড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনা নিবাসে ফেরত আসব।’

তিনি বলেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র‍্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?’

নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্য হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।’


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেলখানা থেকে পালিয়েছেন। 

 

গত ৫ আগস্টের পরে এ ঘটনা ঘটলেও ৬ মাস পর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ও বুয়েট ছাত্র আবরার ফাইয়াজ।

এ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দি কারাগার হতে পলায়ন সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষে কারা কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার গাজিপুর হতে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে (৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দিসহ) কারাগারের দেয়াল ভেঙ্গে পলায়ন করে।

এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ১৫ আগস্টে কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের পূর্বক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। সকল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫জন মৃত্যুণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দিসহ ৫১ জন বন্দিকে গ্রেফতার পূর্বক কারাগারের প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দিকে গ্রেফতারের প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, আবরার হত্যা মামলায় কারাগারের আগত বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন বন্দি কারাগারে আটক আছে।


বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে যুক্তরাষ্ট্রের বা মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। বৈঠকে বাণিজ্য, অভিবাসনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা বৈঠকের পরই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দুই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপার্টমেন্ট স্টেট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকেও তা প্রমাণিত। তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?”

জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না।”

সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “অনেকেই হয়তো বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। ভারত এখানে শান্তির পক্ষ নিয়েছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আকর্ষণীয় বাণিজ্য-চুক্তি হতে চলেছে বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৈঠকে অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে বলে আশা করেন ট্রাম্প।



হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই শিশুসন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে উপজেলার আতিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুর রউফ এবং দুই মেয়ে খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী হাফিজার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুদিন আগে হাফিজা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনায় অভিমান করে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আব্দুর রউফ শিশুকন্যা আয়েশা আক্তার ও খাদিজা আক্তারকে বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করেন।

পরে শিশুদের চিৎকারে ঘরের লোকজন দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক আব্দুর রউফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার তিনিও মারা যান।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুর রউফ সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।


লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

ছবি : ইউএনবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এসব অভিবাসীদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ফেরত আসা এই অভিবাসীদের বেশীরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য প্রত্যেকের জন্য ৬ হাজার টাকা, খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে আইওএম। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। এই ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে।

 বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজীপুরে হামলায় শহিদ শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের জানাজা শেষে লাশের কফিন নিয়ে মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন
 
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে আয়নাঘর প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই অভ্যুত্থান বিষয়ক জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই আমাদের ভাই শহিদ হলেন। বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি

এ ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে। বিপ্লবীরা ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে এ দেশে থাকতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে সরকারকে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। ছয় মাস মেয়াদি এই কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।কমিশনের সহ-সভাপতি করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ৬ মাস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।
 


বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। স্কোর হিসাবে বিগত ১৩ বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন। 

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ২৩। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান। তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৫১তম অবস্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ধানমন্ডি টিআইবির কার্যালয়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২৪ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফেতারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিপিআই ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ২৩। যা বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বছর স্কোর বিবেচনায় উচ্চক্রম অনুসারে দুই ধাপ অবনতি হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫১তম এবং নিম্নক্রম অনুসারে ১৪তম। একই স্কোর নিয়ে তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১৫১তম অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান। দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সর্বনিম্ন স্কোর ও অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

ইফেতাখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের এ বছরের নিম্ন স্কোর ও অবস্থান প্রমাণ করে যে, বিগত ১৩ বছর কর্তৃত্ববাদী সরকার মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও, বাস্তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, লালন করেছে, এমনকি দুর্নীতি সংঘটনে সহায়তা ও অংশগ্রহণ করেছে। এর প্রভাবে যথেচ্ছ লুটপাট, দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয়ভাবে তোষণ, আইনের সঠিক প্রয়োগ না করা এবং সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রম অবনতি হয়েছে। অথচ দুর্নীতিবিরোধী বাগাড়ম্বর ব্যতীত এ নিয়ে পতিত আওয়ামী সরকারের কোনো বিকার বা চিন্তা দেখা যায়নি। এমনকি দুর্নীতি দমনে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম ছিল। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ২৪। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একইঅবস্থানে ছিল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইরান, লেবানন ও জিম্বাবুয়ে। আর ২০২৩ সালে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৫। 

টিআই এমন সময় সিপিআই সূচক প্রকাশ করেছে যখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করা হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। তখন এ তালিকায় মোট ৯১টি দেশ ঠাঁই পায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
 


নরসিংদীর শিবপুরে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে হাজতখানায় মোবাইলফোনে কথা বলতে না দেওয়ায় এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কস্টেবলকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে।

 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিবপুর থানা ভবনের হাজতখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবিদ হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি শিবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, একাধিক মামলার আসামি নাদিম সরকার  সোমবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনীর চালানো 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানে গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে ছাড়ানোর তদবির নিয়ে রাতে থানায় যান স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবিদ। এ সময় কয়েকবার হাজতখানার সামনে গিয়ে গ্রেপ্তার নাদিমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। একপর্যায়ে নাদিমকে নিজের মোবাইলফোন দিয়ে বাইরে কথা বলানোর চেষ্টা করলে কর্তব্যরত কনস্টেবল সবুজ মিয়া বাধা দেন। এতে চটে গিয়ে কনস্টেবলকে থাপ্পড় দেন আবিদ।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'মোবাইলে কথা বলানোর চেষ্টা করলে আবিদকে বাধা দিয়ে তাকে হাজতখানার সামনে থেকে চলে যেতে বলেন কনস্টেবল সবুজ। পরে আবিদ রেগে গিয়ে কনস্টেবলকে বলেন, "আমাকে চিনস?" "আপনাকে চেনার দরকার নেই, আপনি চলে যান"—এ কথা বলার পর সবুজকে থাপ্পড় মেরে আবিদ বলেন: "এখানে চাকরি করলে আমাকে চিনতে হবে, আমার কথা শুনতে হবে।"'

আফজাল হোসেন আরও বলেন, পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় আবিদকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
 


নাটোরের বড়াইগ্রামে থানার ভিতরে নেচে গেয়ে টিকটক ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে শিউলী খাতুন (৪২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিউলী খাতুন নাটোর জেলা শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। 

জানা যায়, সম্প্রতি শিউলী খাতুন থানার ভেতরে মুল ভবনের গেটের সামনে ‘বলি ও দারোগা, পেয়েছি মুখ, তোমার পুলিশ ফেঁসেছে-পরান আমার ভালবেসেছে’ গানের তালে তালে নেচে টিকটক ভিডিও ধারণ করেন। তবে এ সময় সেখানে কোনো পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। পরে সেই ভিডিও তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করেন এবং তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। থানার সামনে এমন ভিডিও ধারণ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নানা সমালোচনা শুরু হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের আগে আওয়ামী লীগ নেত্রী শিউলি খাতুন জানান, টিকটক করা আমার নেশা, সে কারণেই ভিডিওটি ধারণ করেছিলাম। তবে এখন বুঝতে পারছি থানার সামনে কাজটি করা ঠিক হয়নি।  

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমাদের সকলের অগোচরে ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি সংবাদকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 



পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বউ ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই ছেলের বউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।শনিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউপির গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত শাহ জামাল প্রামাণিক (৬৫) বর্তমানে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সে ঘোড়াঘাটের সিংড়া ইউপির বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে শ্বশুরের বড় ছেলে মনির প্রামাণিকের সাথে ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। গত শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্বশুর শাহজামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর তাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সে সময় আগে থেকে নিজের কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে শ্বশুর শাহজামালের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। পরে তার চিৎকারে লোকজন ওই ঘরে গিয়ে শাহজামালকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
 


মাছের প্রজনন বাড়াতে হাওরের পাশে কৃষিজমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

আজ রবিবার মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন উপদেষ্টা। পরে হাওরের পাশে হাজীপুরের বসবাসরত মৎস্য ও কৃষির সঙ্গে জড়িত শতাধিক উপকার ভোগীদের সমস্যা নিয়ে কথা শুনেন এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘হাওরে ধান ও মাছ উৎপাদনে দুই মন্ত্রণালয় সংঘাতের মধ্যে আছে। হাওরের মাছের প্রজনন বৃদ্ধি করতে হলে ইজারায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেইসঙ্গে হাওরের পাশে জমি চাষে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাইক্কা বিলের অন্যতম জাদুরি বিলটি খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য অভয়াশ্রমগুলো খনন করা হবে।’


পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন কারণে চাকরি হারানো ১ হাজার ৫২২ পুলিশ সদস্য চাকরি ফিরে পাচ্ছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২৫ জন কনস্টেবল, ৭৯ জন নায়েক, ১৮০ জন এএসআই/এটিএসআই, ২০০ জন এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই, ১০ জন ইন্সপেক্টর ও ২৮ জন 'নন-পুলিশ' সদস্য রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সদর দপ্তর থেকে বলা হয়, এসব সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদনসমূহ পর্যালোচনার জন্য ২০২৪ সালের আগস্টে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যে-সব সদস্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আপিল করে জয়ী হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি।

পুলিশ সদর দপ্তর আরও জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। 


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আবদুর রউফ (৯২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মগবাজারের ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  
তার একান্ত সহকারী তাওহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিচারপতি রউফ দীর্ঘ দুই মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। 


আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর ব্যাপারে আগামীকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।


রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে  গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন “নাশকতার উদ্দেশে আবদুস সামাদ পুঠিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছিলেন। গোপন খবর পেয়ে তার এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ তার বাড়ি ঘিরে ফেললে তিনি ছাগলের ঘরে লুকিয়ে থাকেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।


ধানমন্ডি ৩২'সহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে সবাইকে এখানেই থেমে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারি।

ছবি:মিজানুর রহমান আজহারি (সংগৃহীত)|

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, মবোক্রেসি দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। এখানেই থেমে যাওয়া উচিত। আসুন আমাদের জাতিকে পুনর্গঠন করি।

এর আগে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভাষণ দিলে ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের নানা পেজ থেকে। তবে ভাষণের আগেই সেখানে ভাঙচুর শুরু হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

পরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধাসদনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এসময় বিভিন্ন স্থানে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল এবং মুজিব পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ফলক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।


কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসকে পাবলিক টয়লেট করার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনের মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান। 

এছাড়া ওই ভবনের সামনের খালি স্থানটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাত থেকেই সেখানে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সংগঠনের কর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগের পাশের ভবনে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে স্থাপন করা নৌকার প্রতিকৃতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। পরে সেখানে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতারা। 

কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান বক্তব্যে বলেন, ‘অফিসের সামনের খালি স্থানটি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড এবং মহানগর আওয়ামী অফিসটি পাবলিক টয়লেট হিসেবে আমরা তৈরি করে দেব।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নাম নিশানা আর কুমিল্লার মানুষ আর দেখতে চায় না। তাই এ সংগঠনের অফিস আর কুমিল্লায় থাকবে না। জনগণের জন্য এ অফিস ‘পাবলিক টয়লেট’ হিসেবে আমরা আগামী সপ্তাহে তৈরি করে দেব।’ 

এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর অফিসের সামনে খালি স্থানে অটোরিকশা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। 


সুনামগঞ্জে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব’

বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় দুই দিনের ‘লোক উৎসব’ শুরু হওয়ার কথা আছে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁর জন্মস্থান উপজেলার উজানধল গ্রামের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।

আজ বিকেল চারটার দিকে শাহ আবদুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজীব সরকার ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। এবার উৎসবের সহযোগিতায় আছে বিকাশ।


উৎসবের আয়োজক শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও তাঁর ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল বলেন, এবারও উৎসবে বাউল করিমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি শাহ আবদুল করিমের শিষ্য, অনুরাগী ও স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর গান গাইবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।

শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টি জুড়ে মানুষ, সাম্য ও প্রেমের জয়গান আছে জানিয়ে নূর জালাল বলেন, কালনী নদীর তীরে বসেই মনের গভীর থেকে উঠে আসা মাটির সুরে সাদাসিধে কথা আর উপমা বসিয়ে তিনি তৈরি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। এই মরমি শিল্পীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন।

বাংলা লোকগানের এই বাউল সাধকের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে উজানধল গ্রামে উৎসবটি আয়োজিত হয়ে আসছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি সংগীতপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামটি।
 


৪ বছরের শিশু নাঈমা, সাড়ে ৫ বছরের আহমুদুল্লাহ আর ১০ বছরে পা রেখেছে আইরিন। কচি মায়াভরা তিনটি মুখজুড়ে রাজ্যের বিষাদ আর ভয়। না জানি কখন তাদের পুলিশে ধরে নিয়ে যায়। এতিম তিন শিশুই পিতার ঋণের দায়ে মামলার আসামি!

ওদের মা থেকেও যেন নেই। মৃত স্বামীর খেলাপী ঋণের মামলায় দুমাস ধরে জেলে। দুই বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর মায়ের আশ্রয়ে লালিত পালিত হলেও মা জেলে যাবার পর থেকে অবুঝ শিশু জান্নাতুল নাঈমা আর আহমাদুল্লাহর একমাত্র ভরসা দশ বছর বয়সী বড়বোন আইরিন। নানার আশ্রয়ে ছোট ভাইবোনের বাবা-মার দায়িত্ব পালন করছে আইরিন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরে অবস্থিত আইরিন পোল্ট্রি মুররি হাউজের স্বত্বাধিকারী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির নাবালক তিন শিশু। বাবা আমিন শেখের ঋণের দায়ে ৩টি শিশু একটি বেসরকারি ব্যাংকের দায়ের করা অর্থ ঋণের মামলার আসামি। বাবা মারা গেছেন আরও দুই বছর আগে।

আর এ মামলায় তাদের মা পপি খাতুন দুইমাস যাবত জেলহাজতে থাকায় শিশুদের জীবন এখন বিষাদে ভরা আর যন্ত্রণায় কাতর। বৃদ্ধ দিনমজুর নানা সিরাজ শেখ এতিম এই শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিকারের আশায়। তবে সমাধানের পথ এখনও পাননি তারা।

শিশুদের নানী বলেন, দুইমাস হলো আমাদের মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তিন শিশুকে আমরা পালছি। বুড়ো মানুষ আমরা, আয়-রোজগার নেই কীভাবে এই বাচ্চাদের দেখাশোনা করবো?

ছোট্ট শিশু নাঈমা বলে, আমার আম্মুকে এনে দাও। আমি আম্মুর কাছে যাব। আম্মুর জন্য আমার কষ্ট লাগে।

১০ বছরের শিশু আইরিন বলে, ভাইবোন দুটো ঘুমের ঘরেও পুলিশ-পুলিশ বলে কান্না করে। আমার আব্বার লোন মাফ করে আমার মারে ছাড়িয়ে এনে দেন।

তিন শিশুর নানার অভিযোগ, অভাগা নাতি-নাতনিরা এখনও ঠিকমতো টাকা, ঋণ, লেনদেনের অর্থই বোঝে না। তাদের বয়স লুকিয়ে তাদের আসামি করেছে ব্যাংকটি। নিজেরই সংসার চলে না তার ওপর যুক্ত হয়েছে কন্যার এতিম নাবালক তিন সন্তান।

তিনি বলেন, আমার মেয়েটারে দুই মাস আগে ধরে নিয়ে গেছে। টাকার অভাবে তাকে জামিন করে আনতে পারিনি। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। মামলার কারণে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। মামলা আর তিন শিশু বাচ্চাকে নিয়ে কিছুই করতে পারছি না।

শিশুদের মামলার আসামি করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও সাপ্তাহিক চন্দনার সম্পাদক কাজী হাসান ফিরোজ। তিনি বলেন, আমিন শেখের ঋণের মামলায় তার স্ত্রী কারাগারে। তিন শিশু সন্তানও মামলার আসামি। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘণ। আমরা আশা করছি, আদালত এবিষয়ে সুবিবেচনা করবেন।

শিশু তিনটির মা পপি খাতুনের মুক্তি ও মৃত আমিন শেখের ঋণ মওকুফ করে এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছে প্রতিবেশীরাও।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনির হায়দার।

ছবি:মনির হায়দার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস  (সংগৃহীত)|

 বুধবার সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার এই পদে তাকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বিশেষ সহকারী হিসাবে মনির হায়দার প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে লিয়াজোঁ এবং যোগাযোগ রক্ষায় ভূমিকা পালন করবেন।

মনির হায়দার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। অচিরেই দেশে ফিরে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে যোগ দেবেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

প্রায় তিন দশক দৈনিক পূর্বকোণ, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, যায় যায় দিন, ইত্তেফাক এবং মানবজমিন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন মনির হায়দার। বর্তমানে তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের উপদেষ্টা। এ ছাড়া, নাগরিক অধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসাবেও সুপরিচিত তিনি।


পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ছবি:প্রতীকী

আত্মহননকারী যুবকের নাম রুবায়েত রাজ হাসনাত অপূর্ব (২২)। সে গলাচিপা এলাকার ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সে ছাদে উঠা থেকে শুরু করে ছাদে কিছু সময় হাঁটাহাটি করা পর্যন্ত আশেপাশে কেউ ছিলনা। তার পরিবার থেকে জানিয়েছে, পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়াতে সে বিষন্নতায় ভুগছিলেন।


কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার সব এলাকায় আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) মনোহরদি গ্যাস মিটারিং স্টেশন মোডিফিকেশন কাজের উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য এ স্টেশন থেকে মনোহরদী ডিআরএস এবং কিশোরগঞ্জ ডিআরএসগামী পিএসআইজি গ্যাস লাইনে আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যার কারণে কিশোরগঞ্জ জেলা ও মনোহরদী উপজেলার পুরো এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া নরসিংদী, রূপগঞ্জ, ঢাকা মহানগরীর পূর্বাঞ্চল, কালিগঞ্জ, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়ও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।




ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় রেললাইনের ভাঙা অংশের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও ভাঙন দেখা দিলেও তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্বে রেললাইনের একটি অংশে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। প্রতিদিন এই পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের একাধিক ট্রেন চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা প্রতিদিন এই রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে দেখি। কিন্তু রেললাইনের এই ভাঙা অংশ দেখে আমরা খুবই আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।" 


গফরগাঁও রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় চার-পাঁচ স্থানে এ রকম ছোট ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) মশাখালী স্টেশন থেকে অব্যবহৃত লাইন কেটে ওই ক্ষত জোড়া লাগানো হবে। এ বিষয়ে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, "রেললাইনের ভাঙা অংশ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।" 

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রেললাইনের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে।


উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের অবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রেললাইনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। তাই রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রেলওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেললাইনের নিয়মিত পরিদর্শন ও দ্রুত মেরামতের কোনো বিকল্প নেই। এতে করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।


ভিসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। নতুন পদ্ধতি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হবে।

ছবি:ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস (সংগৃহীত)

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তায় বলা হয়েছে, দূতাবাস ভিসা পরিষেবার জন্য নতুন একটি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে। নতুন পদ্ধতি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হবে। এ কারণে আগামী ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে। নতুন পদ্ধতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়েবসাইটে ফের ভিসা পরিষেবা চালু করা হবে।
আবেদনকারীদের আগামী ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারিত, তাদের নির্দিষ্ট সময়েই উপস্থিত থাকতে হবে।

৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট প্রকাশ শুরু হবে। প্রতি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট পাওয়া যাবে।

ভিসাপ্রত্যাশীদের আবেদন এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য দূতাবাসে ওয়েবসাইটে ভিজিট করার অনু‌রোধ করা হ‌য়ে‌ছে।


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধান দিয়ে বানানো ২১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা। উপজেলার লালবাগ যুব কিশোর সংঘের মণ্ডপে ধান দিয়ে বানানো হয়েছে ২১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা।

এতে লেগেছে প্রায় ৫০ কেজি ধান। ব্যতিক্রমী এই প্রতিমা বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ দিন। ধান দিয়ে বানানো এত বড় প্রতিমা দেখতে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লালবাগ গোসাইবাড়ি সড়কে লালবাগ যুব কিশোর সংঘের পূজামণ্ডপে এই প্রতিমায় সরস্বতীপূজা হয়।

প্রতিমাটি তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পী উদয় পাল ও গৌর পাল। উদয় পাল বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে এই প্রথম আমরা ধান দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছি। প্রায় ৫০ কেজি ধান, খড়, গাম, ইত্যাদি দিয়ে এই প্রতিমা বানিয়েছি। টানা এক মাস আমরা কাজ করে প্রতিমাটি বানাতে পেরেছি।

লালবাগ যুব কিশোর সংঘের সভাপতি কৌশিক দত্ত  বলেন, ‘আমাদের সংঘের এ বছর ২৫তম আয়োজন। ২৫তম আয়োজনটি স্মরণীয় করে তুলতে আমরা প্রায় ৬ মাস আগে থেকে ব্যতিক্রম কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কমিটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, এ বছর আমরা ধানের প্রতিমা তৈরি করব। সেটা দেখতেও যেন অনেক উচ্চতার হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিমাশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলি। প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই প্রতিমা তৈরিতে।’


কুমিল্লার বিএনপির পূর্বের কমিটির বিলুপ্তির এক মাসের মাথায় (২ ফেব্রুযারি) সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমনকে আহ্বায়ক ও আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিটিতে ১ নং যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন আমিরুজ্জামান আমীর। এছাড়া সদস্য পদে রয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক হাজী আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

তবে এই কমিটি ঘোষণা পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রশংসা করছেন, আবার অনেকে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। কমিটি নিয়ে শীর্ষ নেতারাও কথা বলছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বিগত ১৫ বছর ধরে দলের নেতাকর্মীদের ছায়া দিয়ে রেখেছেন। মামলা পরিচালনা করতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। তাঁর নামে চাদাঁবাজির কোন একটি অভিযোগও নেই। হাজী ইয়াছিনের মত ক্লিন ইমেজের লোককে সদস্য করে উনার সাথে উপহাস করা হয়েছে। এখানে সদস্য করে উনার মহানগর কমিটিতে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হল। উনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

এদিকে একাধিক নেতাকর্মী জানান, এই কমিটি ৩১ বা ৪১ সদস্য বিশিষ্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কি কারণে আবার ৫ সদস্য বিশিষ্ট করা হল, তা বোধগম্য নয়। 


কুমিল্লায় পৃথক স্থান থেকে এক শিশু ও বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ছবি : লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড় |

সোমবার সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড়ে এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমান গন্ডার ধনুসরা এলাকায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বরুড়া উপজেলার জসীমউদ্দীনের নয় বছরের ছেলে রিফাত এবং চৌদ্দগ্রাম  উপজেলার ধনুসরা জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মুমিনের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬৫)।

সদর দক্ষিণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড়ের উপর অজ্ঞাত এক শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি থানায় নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, রিফাত ১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তার পরের দিন ২ ফেব্রুয়ারি বরুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

রিফাতের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত চিহ্ন রয়েছে বলে জানানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে নিহত সাহিদা বেগমের স্বামী আব্দুল মুমিন জানান, ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তিনি এবং তার স্ত্রী এক সঙ্গে ঘুম থেকে উঠেন। পরে তিনি মসজিদে চলে যান। মসজিদ থেকে ফিরে সাহিদাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঘরের পাশে সেপটিক ট্যাংকের সামনে সাহিদা বেগমের জুতা ও জামা দেখতে পান।

পরে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর দিল পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।”


গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে সাঁজোয়া যান নিয়ে সারা রাত টুঙ্গিপাড়া থানা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে অবস্থান করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক ব্যক্তিতে আটকের জেরে এ ঘটনা ঘটে। টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশ বলছে, হামলাকারী সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক। হামলায় টুঙ্গিপাড়া থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে স্থানীয় আ. লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সাফায়েত গাজীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ সময় পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করাসহ একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে তাদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। পরে থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারাও তোপের মুখে পরেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারা রাত অবস্থান করছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের থানাসহ সকল পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানার চারপাশে অবস্থান করেছে। হামলায় ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে সেই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে ওসির কাছে পৌঁছে দেই। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। এরপর আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। এরপর আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে মিরপুর রোডের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। রোববার তারা দিনভর আগারগাঁও ও শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। 

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ- তাদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা পাওয়ার ধীরগতি নিয়েও বিক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি দ্রুত সুচিকিৎসা দিতে হবে, প্রয়োজনে বিদেশে পাঠাতে হবে।

এসব দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাস্তার মাঝে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন। রাস্তার মাঝে বেঞ্চ পেতেও বসে আছেন অনেকে।

আহতরা বলছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। তারা কেউ পুলিশের গুলি খেয়েছে, কেউ টিয়ারশেলে অন্ধ হয়েছেন। আবার কেউ পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের কারণে যে স্বাধীনতা সরকার ভোগ করছে, সেই তাদেরই চিকিৎসা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে অবহেলা করা হচ্ছে।

মো. আইয়ুব হোসেন নামে এক আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়কে অবস্থান করব। যদি উপদেষ্টারা কেউ এসে আমাদের আশ্বস্ত করেন তবুও আমরা রাস্তা ছাড়ব না। তাদের ওপর থেকে আমাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। এখন আর আশ্বাসে চলবে না। বিকেল ৪টার মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করব।

পরবর্তী সময়ে আলটিমেটামের মেয়াদ আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা হয়।



সিলেটের ওসমানীনগরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমাননীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোনায়েম মিয়া। তিনি জানান, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ওসমানীনগর উপজেলার উনিশ মাইল এলাকায় ঢাকাগামী ট্রাক ও সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়। 

নিহতরা হলেন- সায়মা আক্তার ইতি, শামীমা ইয়াসমিন, সোহেল ভূঁইয়া, ও শিশু আয়ান। তারা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। প্রাইভেটকার যোগে ঢাকার ডেমরা থেকে সিলেট ঘুরতে যাচ্ছিলেন।  এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাককে জব্দ করা হলেও চালক পলাতক বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


কুমিল্লায় প্রস্তুতি চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার। পূজার উপকরণ ও প্রসাদ বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে সাদা কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে মণ্ডপ গুলোতে। শহরের রাজেশ্বরী কালী মন্দিরে বসেছে প্রতিমা বিক্রির হাট। এছাড়াও কুমিল্লা নগরজুড়ে ৪-৫ টি স্থানে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে। ছোট প্রতিমার মুল্য দুইশত টাকা বড় সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা।

শহরের রাজেশ্বরী কালী মন্দিরে বসেছে প্রতিমা বিক্রির হাট
কাল ও পরশু সরস্বতী পুজার আয়োজন হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ রাজেশ্বরী কালী মন্দির, কুমিল্লা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন মন্দির ও বাড়িতে প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্দিরের মোড়ে মুড়ি, বাতাসা, জিলাপি, খই, নানা ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে। এসব খাদ্য পূজার প্রসাদ।

কাল ও পরশু সরস্বতী পুজার আয়োজন হবে
শিক্ষার্থী শুক্লা মল্লিক বলেন, গত জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আমরা বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার এক মহান প্রত্যয় গ্রহণ করেছি। এবারের সরস্বতী পূজা তাই এক ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজিত হতে চলেছে। দুদিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরে চিত্তবিনোদন উপযোগী বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও বিশুদ্ধ খাবার দোকানের থাকবে। আমরা সব সময় পূজাতে আনন্দ করি। পূজা আসলে আমার কাছে ভালো লাগে।

কুমিল্লা নগরজুড়ে ৪-৫ টি স্থানে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে
নিরাপত্তার বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, পূজার আনন্দ যেন কোন অপশক্তি ম্লান করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সদস্যরা মাঠে সর্বোচ্চ নজরদারি চালাচ্ছেন। কোন মহল ষড়যন্ত্র করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহম্মেদ টুটুল এবং সদস্য হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন রয়েছেন।


জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কমিটি আসছে।


এই অবস্থায় দলের মধ্যে কোনো বৈরিতা না রেখে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুই সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন গোলাম ফারুক খোকন।

তার আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।


আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সকাল ৯টার পরই শুরু হয় মোনাজাত। এবারের মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাতে দেশ ও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মহান আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের আশায়, ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ময়দানে জড়ো হয়েছেন ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লি। কেউ পায়ে হেটে; কেউ গণপরিবহনে, কেউবা ট্রেনে চেপে এসেছেন টঙ্গীর তুরাগ তীরে।

ভোরে ফজরের নামাজের পর থেকেই চলে হেদায়াতি বয়ান। মূলত, ইজতেমা শেষ হওয়ার পর ৩ থেকে ১০ দিনের চিল্লায় যান, তাবলিগের সাথীরা। সেসময়, কী কৌশলে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে সেই নসিহত করছেন মুরব্বিরা। সকালে বয়ান করেছেন ভারতীয় মাওলানা আবদুর রহমান। এরপর মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা তার বয়ানে ঈমান-আকিদা পালনের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের সেই বয়ান বাংলায় ভাষান্তর করে শোনানো হয় মুসল্লিদের।

মুসলিম উম্যাহ’র প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সবার। নিজের আত্মশুদ্ধি’সহ ইসলামের সুমহান বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় সবার চোখেমুখে। উল্লেখ্য, এ বছর মোট তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। শুরায়ে নেজাম বা জুবায়েরপন্থিদের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর, আগামী ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা।



যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ব্লু নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কিছুটা কমে আসবে জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘খালগুলো সংরক্ষণ করতে পারলে ঢাকা শহরের চিত্র ভিন্ন হত। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা এত দ্রুত শেষ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা কিছু পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি।’
 
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা নর্থ মডেল পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা হবে শহরের জন্য রোল মডেল।’
 
এছাড়া এদিন বর্ষার আগেই ছয়টি খালের খনন কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আগে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তবে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় এক হয়ে কাজ করছে। কাজটা শেষ করতে সময় লাগবে, তবে আমরা শুরু করে দিচ্ছি।’
 
প্রকল্পের অধীনে নয়, কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খাল খনন কাজ শুরু হবে আগে। এরপর পুনরুদ্ধার করা হবে। পুনরুদ্ধারের সময় অনেক বাধা আসবে, তা সবাইকে মিলে রুখতে হবে।
 
এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। তবে এখন থেকে আমরা তা পরিবর্তন করবো।’


এই প্রথম বাগেরহাট থেকে বিদেশে টমেটো রপ্তানি শুরু হয়েছে।এরই মধ্যে বাগেরহাটের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করে ৪০ মেট্রিক টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। দেশি বায়ারের মাধ্যমে এসব টমেটো রপ্তানি করা হয়।

আগামী চার দিনের মধ্যে আরো ২৬ মেট্রিক টন টমেটো রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। রপ্তানির খবরে চাষিরা টমেটো চাষে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার টমেটো চাষিদের যোগাযোগ করার কাজ চলছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি আগামী দিনে বাগেরহাট থেকে নানা ধরনের সবজি বিদেশে রপ্তানির হবে, এমন আশার কথা জানান তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ।
যেসব জাতের টমেটো বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বাহুবলী, বিউটিফুল-২, বিপুল প্লাস, পিএম-১২২০ ও মিন্টু সুপার। এসব টমেটো উচ্চ ফলনশীল জাতের ও সুস্বাদু।

বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় জমিতে এবং মৎস্যঘেরের পারে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা টমেটো ঝুলছে। হাটবাজারে টমেটোর ছড়াছড়ি। ভ্রাম্যমাণ রিকশা ভ্যানে হ্যান্ডমাইকিং করে টমেটো বিক্রি করা হচ্ছে।

হাটবাজারে খুচরায় কেজিপ্রতি টমেটো ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও পাইকারিতে এর অর্ধেক দামে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবছরই বাগেরহাটে শীত মৌসুমের এই পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে চাষিদের টমেটো বিক্রি করতে বেগ পেতে হয়। এ কারণে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট থেকে টমেটো রপ্তানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর দুই হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ৩৫ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে জেলায় এ বছর ৭৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদিত হওয়ার কথা। কিন্তু টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। হেক্টরপ্রতি ৪০ মেট্রিক টন পর্যন্ত টমেটো উৎপাদিত হয়েছে। এখনো গাছে গাছে টমেটো ঝুলছে।

চিতলমারীর চর বানিয়ারি গ্রামের শৈলেন নাথ জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করেছেন। তাঁর আট বিঘা জমিতে গাছে গাছে পাকা টমেটো ঝুলছে। এখন পাইকারি বাজারে তিন-চার টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে। যে দামে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে টমেটো তুলতে শ্রমিকের বেতনের টাকাও উঠছে না। এ কারণে টমেটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।

মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, এ বছর বিভিন্ন জাতের তিন হাজার টমেটোর চারা রোপণ করেছেন তিনি। টমেটোর খুব ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে ভালো দামে বিক্রি করলেও মাঝে পাঁচ-ছয় টাকা দরে টমেটো বিক্রি করেছেন। এতে তাঁর লোকসান হচ্ছিল। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি তাঁর টমেটো রপ্তানির জন্য উদ্যোক্তা ফয়সাল আহম্মেদের কাছে ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। টমেটো রপ্তানি হওয়ায় তিনি লাভবান হচ্ছেন। শুধু তাঁর একার নয়, আশপাশের অনেক চাষির টমেটো রপ্তানির জন্য ওই উদ্যোক্তা ক্রয় করছেন। এই প্রথম তাঁদের এলাকায় উৎপাদিত টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে। টমেটো রপ্তানির খবরে হেলাল উদ্দিনের মতো বাগেরহাটের অনেক চাষি খুশি।

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শীত মৌসুমের শেষ ভাগে বাজারে চাহিদা না থাকায় তাঁদের এলাকায় শত শত বিভাগ জমির টমেটো নষ্ট হয়। কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ার কারণে চাষিরা জমি থেকে টমেটো তুলতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে ওই টমেটো চাষিদের কথা চিন্তা করে বিদেশে যাঁরা টমেটো রপ্তানি করেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় দেশের দুজন বায়ারের মাধ্যমে টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি শুরু হয়েছে। তিনি উদ্যোগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে জেলার মোল্লাহাট, চিতলমারী ও ফকিরহাট উপজেলার চাষিদের কাছ থেকে টমেটো কিনে বায়ারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এখান থেকে প্যাকেজিং হয়ে গাড়িতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টমেটো। এরপর জাহাজে ফ্রিজিং কনটেইনারে করে টমেটো মালয়েশিয়ার বাজারে যাচ্ছে।

প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদের তথ্য মতে, ৪০ মেট্রিক টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে টমেটোর ওই চালান মালেশিয়ার বাজারে পৌঁছবে। আরো ২৬ টন টমেটোর অর্ডার রয়েছে। সে মোতাবেক তিনি চাষিদের কাছ থেকে টমেটো কিনছেন। আগামী বুধবারের মধ্যে টমেটোর দ্বিতীয় চালান রপ্তানির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। প্রথম ৪০ মেট্রিক টন টমেটো ছিল মিষ্টি জাতের এবং এখন যেসব টমেটো যাচ্ছে তা অনেকটা টকজাতীয় বলে তিনি জানান।


কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। যিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন।

শনিবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বাংঙ্গড্ডা ইউনিয়নের বাংঙ্গড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।

নিহত মো. সেলিম ভূঁইয়া (৪৫) উপজেলার হেঁসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বাংগড্ডা বাজারে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেখান দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া সমর্থিত একটি গাড়িবহর অতিক্রম করার সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে সেলিম ভূঁইয়া নিহত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিহত সেলিম সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার কর্মী ছিলেন বলে দাবি নেতাকর্মীদের।

ওসি ফজলুল হক বলেন, দুইপক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। তার মৃতদেহ হাসপাতালের রয়েছে।


 

ফেসবুক লাইভে এসে ওসিকে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পরদিন সন্ত্রাসীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। সেই সন্ত্রাসীর নাম মো. সাজ্জাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার নগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

ছবি: ধারালো অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন (সংগৃহীত)

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাজ্জাদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহায়তা করবে তাঁকে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে। তবে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক লাইভে নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে হুমকি দেন সাজ্জাদ। লাইভে তিনি কোনো অবস্থাতেই তাঁর হাত থেকে ওসি বাঁচতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের এই লাইভে ওসিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালও করেন। এ ঘটনায় ওসি বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অপরাধজগতে পা রেখে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাজ্জাদ। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি। সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ধরা না পড়ায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও হাটহাজারী থানার প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকায় তাঁর চাঁদা দাবির বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে। মূলত নির্মাণাধীন ভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তোলেন এই সন্ত্রাসী।

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন অনন্যা, শীতলঝরনা, কালারপুল, বায়েজিদ থানার সীমান্তবর্তী হাটহাজারীর কুয়াইশ, নগরের চান্দগাঁও হাজীরপুল ও পাঁচলাইশ এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালান সাজ্জাদ। পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদা না পেলেই সাজ্জাদ গুলি করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ কালারপুল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা না পেয়ে গুলি করেন। ৬০ জন মিলে ওই ভবনটি নির্মাণ করছেন।

স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, ভবনমালিকদের সাজ্জাদকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। এর আগে গত ৫ জুলাই বায়েজিদ থানার বুলিয়াপাড়া এলাকায় একটি বাসা লক্ষ্য করে গুলি করেন সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনার ভুক্তভোগী মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাজ্জাদ আমার বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করেন।’ এ ঘটনায় ইকবাল বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন। চাঁদা না পেয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় মো. হাছান নামের এক ঠিকাদারের বাসা লক্ষ্য করেও গুলি করেন সাজ্জাদ। এ ঘটনায় হাছান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।

গত ২১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁওয়ের শমসেরপাড়া এলাকায় আফতাব উদ্দিন নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও নিহত আফতাব উদ্দিনের পরিবার বলছে, সাজ্জাদ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় আফতাবের পরিবারের করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অনন্যা আবাসিক ও বায়েজিদ সীমানা-সংলগ্ন কুয়াইশ এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় মো. আনিস ও মাসুদ কায়সার নামের দুই যুবককে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয় বায়েজিদ ও হাটহাজারী থানায়।


ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে কিন্তু সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার প্রদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বইমেলাতে কেন্দ্র করে গত সরকারের আমলে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা এখন কারামুক্ত আছে। তাদের বিষয়ে কোনো নজরদারি থাকবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরকম যারা সন্দেহভাজন আছেন তাদের আমরা নজরদারিতে রাখছি।

প্রতিবছর বই মেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখক বা প্রকাশনী উসকানিমূলক কিছু বই বের করে এ বিষয়ে আপনাদের কোনো নজরদারি রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি যেন কোনো ধরনের উসকানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে।

ঢাকাতে যে যেভাবে পারছে আন্দোলন করছে। এর ফলে মহানগরীতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এখন আবার বই মেলা শুরু হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করবে, জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে। কারণ এই শরীরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি। যখন দেখি মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে বিশ জন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলব- আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকায়েন না। আপনারা ফুটপাতে অবস্থান করুন। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যেকোনো দাবি দেওয়ার মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ।

শিক্ষার্থীদের ঘটনার সময় লাঠিচার্জ করতে আপনি নিষেধ করেছেন কিন্তু শাহবাগে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর তাহলে কেন লাঠিচার্জ করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, আমরা এখানে লাঠিচার্জ করিনি শুধু জল কামান ছোড়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না যাতে জনগণের মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। আমরা আমাদের মেকানিজমে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি। অনেক মানুষের শহর ঢাকা।



গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিন আগেই এবার ব্যতিক্রমভাবে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হল।

ছবি :৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ছুটছে তাবলিগের সাথীরা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এই পর্বে অংশ গ্রহণ করছেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলিগের সাথিরা। ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

ইজতেমায় মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিগত বছরগুলোতে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হলেও এবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়েছে। নামাজের পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।

তিনি বলেন, আজ শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবাযর। ইজতেমায় প্রথম পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আগত মুসল্লিরা বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, পৌনে ১০ টায় তালিমের আগে মোজাকেরা (আলোচনা) করবেন মাওলানা জামাল সাহেব (ভারত) এছাড়া বিশেষ কিছু সুচি রয়েছে। সকাল ১০ টায় হবে শিক্ষকদের বয়ান। বয়ানের মিম্বারে বয়ান করবেন, ভারতের মাওলানা ফারাহিম। ছাত্রদের সঙ্গে নামাজের মিম্বারে বয়ান করবেন, ভারতের প্রফেসর আব্দুল মান্নান। খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করবেন, ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ। বাদ জুমা বয়ান করবেন, জর্ডানের শেখ উমর খাতিব, বাদ আসর বয়ান করবেন, মাওলানা জুবায়ের, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন, ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট।

শুরায়ে নেজামের শীর্ষ পর্যায়ের মুরব্বি মাহফুজুল হান্নান বলেন, আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা শুরু হয়ে গেছে। এবার দুই ধাপে ইজতেমা করায় মুসল্লিদের সুবিধা হয়েছে। রাস্তাঘাটে চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে।

অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ: টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এই নামাজে তাবলীগ জামাতের অনুসারী ছাড়াও টঙ্গী ও আশেপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। সকাল থেকে তারা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন। মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় ভিড় করছেন তারা।

এদিকে, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৪টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে রেলওয়ে। এ ছাড়া মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এ ছাড়া ইজতেমার নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। পুরো ময়দান ৫টি সেক্টরে ভাগ করে কাজ শুরু করেছে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এবারের ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।


বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই) ডাকা কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এবং স্টেশন চত্বরে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য ব্যাপক অসুবিধার কারণ হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা ট্রেন বন্ধের খবর না জেনে এসে বিপাকে পড়ছেন। অনেকে স্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

রানিং স্টাফদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। এতে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অচলাবস্থার মুখে পড়েছে।

 


জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইবতেদায়ি স্বতন্ত্র মাদরাসার শিক্ষকরা।

ছবি :জাতীয়করণের দাবিতে ঢাবির চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা(সংগৃহীত)।  

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নি‌য়ে শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন, ১৫ হাজার মাদরাসার ৭৫ হাজার শিক্ষক বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সারা দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগু‌লো জাতীয়করণের দাবি‌তে বছরের পর বছর আন্দোলন ক‌রে আসছেন শিক্ষকেরা। তাদের দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলেও কোনো ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব মাদরাসাগু‌লো জাতীয়করণ কর‌তে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, জাতীয়করণের দাবির অংশ হিসেবে রোববার (২৬ জানুয়ারি) ‌প্রেস ক্লাবের অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। ওই সময় তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ ছাড়াও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হ‌লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 

 


কুমিল্লায় প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ আ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর উদ্যোগে ‘উচ্চ মূল্যের নিরাপদ ফসল চাষাবাদ কৌশল এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ বিষয়ক আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী জেলার মেঘনা উপজেলার হরিপুরে শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহণে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. বকুল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মীর শহিদুল হক। এতে কৃষকদের আধুনিক কৃষি সম্পর্কিত নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন গার্ডেন ফ্রেশ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী অফিসার ইব্রাহিম মোশারফ। 

এ সময় কৃষকদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কৃষক ও প্রকৌশলী শেখ ফয়সল আহমেদ।

কর্মশালায় কৃষকরা রকমেলন, ক্যাপসিকাম, শসা, বড়ই, পেয়ারা চাষ এবং ফসল রোপন, ফলন উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে কৃষকরা প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ আ্যন্ড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিদর্শন করে।
 


খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত শিক্ষার্থীর নাম অর্ণব কুমার সরকার (২৬)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ-এর ছাত্র ছিলেন।

নিহত অর্নব কুমার সরকার। ছবি: সংগৃহীত।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯টায় খুলনা মহানগরীর কেডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের তেঁতুল তলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অর্ণব কুমার সরকার নগরীর বসুপাড়া কলেজিয়েট স্কুলের পাশের বাসিন্দা নীতিশ কুমার সরকারের ছেলে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব এই খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এডিসি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলের ওপর বসে চা খাচ্ছিলেন অর্ণব। এসময় ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে অর্নবকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেসরকারি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার চারজন ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৬ কর্মকর্তাসহ ২০ জনকে বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো.মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষারিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, পিবিআই, ডিএমপি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও আরআরএফসহ বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
 


চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী ঋভু মজুমদার ও যুবলীগ কর্মী মো.জামাল।

ছবি: গ্রেপ্তার দুই আসামি (সংগৃহীত)|

গতকাল সোমবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ঋভু মজুমদার ও মো.জামালকে শনাক্ত করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজন আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যার মামলায় আসামি।

গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম নগরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুলি ও হামলায় ১০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। এসব ঘটনায় নগর ও জেলায় ২১৯ টি মামলা হয়। ইতিমধ্যে সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে পলাতক রয়েছেন বেশির ভাগ আসামি।


দেশের ওয়ার্কশপ খাতের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। আগের মতোই ১০ শতাংশই থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে এনবিআর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এনবিআর জানায়, গত ৯ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করে ওয়ার্কশপ খাতে ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে সেটি আবারও আগের হারে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ওয়ার্কশপে ভ্যাট ১০ শতাংশই থাকছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।


কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, সরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা করার আবেদনও জানানো হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কিসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছে তার কোনো নীতিমালা নেই। যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরইমধ্যে এ ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছে। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান আব্দুল আজিজের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির অন্যতম।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, অনেক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে। এ ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন আবশ্যক।


বন্ধু দেশ চীনের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে উভয় পক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনকে ২৪ টি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে এসব প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেইজিং সফরে যাচ্ছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। সফরকালে আগামীকাল ২১ জানুয়ারি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই'য়ের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনকে ২৪ টি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো:

১. উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপদেষ্টা ও অন্যান্য মন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময়।

২. বাংলাদেশের তরুণ নেতাদের চীনে, চীনা তরুণ নেতাদের বাংলাদেশে সফর।

৩. বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী/নাগরিক সমাজের সদস্যদের চীন সফর বিনিময়।

৪. বাংলাদেশ ও চীনের মিডিয়া/থিঙ্কট্যাঙ্ক সদস্যদের সফর বিনিময়।

৫. বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ক্রীড়া দলের সফর বিনিময় ।

৬. বাংলাদেশ ও চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।  

৭. চীনা হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই।

৮. পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একে অপরের রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

৯. বাংলাদেশ এবং চীনা শহরগুলোর মধ্যে সিস্টার সিটি চুক্তি।

১০. বেইজিং, সাংহাই, কুনমিংয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী। বাংলাদেশ থেকে চীনে সাংস্কৃতিক দলের সফর।

১১. চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অনুষ্ঠানের আয়োজন।

১২.  আগামী ৪ অক্টোবর  ঢাকা এবং বেইজিং উভয় স্থানে একযোগে স্মারক ডাকটিকিট এবং খামের যৌথ প্রকাশ।

১৩. বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায়  সিম্পোজিয়াম আয়োজন।

১৪. চীনের জাতীয়  নারী  ক্রিকেট দলের সাথে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে  জাতীয় নারী  ক্রিকেট দলকে চীনে পাঠানো।

১৫. বেইজিং, কুনমিং, সাংহাই, হংকং'য়ে  খাদ্য উৎসব আয়োজন।

১৬. দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম  বার্ষিকীতে আগামী  ৪ অক্টোবর  চায়না ডেইলি বা অন্য কোনও চীনা সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা।

১৭. চীনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন।

১৮. মেঘনা/পদ্মা নদীতে নৌকা বাইচ আয়োজন।

১৯. ঢাকায় চীনা দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে ঘুড়ি উৎসব আয়োজন।

২০. বেইজিং/হংকংয়ে বাংলাদেশ সঙ্গীত উৎসব আয়োজন।

২১. বেইজিং এবং সাংহাইয়ে একক দেশের  বাণিজ্য মেলা আয়োজন।

২২. কুনমিং/সাংহাইয়ে বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজন।

২৩. চীনা বিনিয়োগকারী/তরুণ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো।

২৪. চীনা বিনিয়োগ বাংলাদেশে  আনতে   সাংহাইয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সেমিনার আয়োজন।

 


আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে 'সৈকত' ও 'প্রবাল' এক্সপ্রেস নামে দুই জোড়া নতুন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তে খুশি কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার যাত্রী এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ২ জোড়া ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি হলো ৮২১/৮২৪ (সৈকত এক্সপ্রেস) ও ৮২২/৮২৩ (প্রবাল এক্সপ্রেস)। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে সোমবার।

সৈকত এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে, ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, রামু হয়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে ৯টা ৫৫ মিনিটে। সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথের এই দুটি ট্রেন বিরতি দেবে ৪টি স্টেশনে।


পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ছবি: পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার।

জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপ খাকি, ডিপ ব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রংয়ের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রংয়ের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে ‘আয়রন’। র‌্যাবের পোশাক হচ্ছে 'জলপাই বা অলিভ' রংয়ের। আর আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’।

পোশাক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এসব সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তন করতেই পোশাকের পরিবর্তন করা হচ্ছে। মনোবল বৃদ্ধি ও দুর্নীতিরোধসহ নানান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’


আজ থেকে শুরু হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সাভারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম। তিনি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

নির্বাচন কমিশন জানায়, ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তোলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।

ভোটার হতে যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে-

১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩. নিকট আত্মীয়ের (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি।
৪. এসএসসি, দাখিল, সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)।

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-

১. নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
২. জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৪. কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।


পিলখানা হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রায় ২০০ আসামি। বিস্ফোরক মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও দণ্ডভোগ শেষ হওয়ায় তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করা হয়েছিল প্রায় ১০০ আসামিকে। সকালে কেরাণীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয় আসামিদের। প্রথমে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দেন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর ইউসুফ। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জামিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়া হয়। কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে হয় শুনানি। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।

আদালতের কার্যক্রম শুরুর খবর পেয়ে, ভোর থেকে বিডিআর জওয়ানদের জামিনের দাবিতে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন স্বজনরা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাভোগ করেন এসব আসামি।

হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকায় বন্দি ছিলেন অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যরা। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটিয়ে বিচারপ্রার্থীরা কারামুক্ত হওয়ায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন আসামিদের স্বজনরা।