0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

অস্ট্রেলেশিয়া


অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম। 

ছবি: বক্তব্য দিচ্ছেন সিডনি কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন |

বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা ও সিডনি কনস্যুলেট জেনারেলের সমন্বয়ে এ সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৪ এপ্রিল সিডনি কনস্যুলেটে এক সচেতনতামূলক সভায় এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বসেই এখন প্রবাসীরা অনলাইনে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার কার্ড পাবেন। এ জন্য https://services.nidw.gov.bd পোর্টালে গিয়ে ফরম-২(ক) পূরণ করতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সব তথ্য গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।


সিডনি কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কারিগরি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রবাসীদের সুবিধার্থে খুব শিগগির আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে।’ তিনি জানান, বর্তমানে শুধু নতুন আবেদনকারীরাই এই সেবা পাবেন। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের জন্মসনদ ও মেয়াদোত্তীর্ণ নয়—এমন পাসপোর্ট আবশ্যক।

সিডনির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ গিয়ে পরিচয়পত্র করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এই সেবা চালু হওয়ায় আমরা অনেক স্বস্তি বোধ করছি।’ অপর প্রবাসী নুসরাত জাহান, যাঁর দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে, তিনি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের জন্য কীভাবে আবেদন করতে পারব, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনা চাই। আশা করি দ্রুতই সব তথ্য পাব।’

এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, যাঁদের মধ্যে অনেকই এই সেবা পাওয়ার যোগ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই সেবা চালু হওয়ায় সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যেই আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। কনস্যুলেট সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম ধাপের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা সম্ভব হবে।


অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। 

রোববার ক্যানবেরা ইসলামিক সেন্টার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন ক্যানবেরার আয়োজনে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এ মেলায় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির সমাগম ঘটে। মেলার দিনব্যাপী আয়োজনে নাচ, গান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।

মেলার আকর্ষণ ছিল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবারের স্টল। এ ছাড়া দেশি পণ্যের বিভিন্ন স্টলও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে। মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিল বাঙালি সংস্কৃতির নানা নিদর্শনে। মেলায় অন্যান্যদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মাইকেল পিটারসন এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনার এফ এম বোরহান উদ্দীন।

মেলা আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আবুল হাসান মেলার সফলতা সম্পর্কে বলেন, ‘এ আয়োজন সফল করতে আমাদের সংগঠনের সব সদস্যের নিরলস পরিশ্রম ছিল। তিনি সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।’
 


অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদমেলা। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন অসি বাংলা সিস্টারহুড এ মেলার আয়োজন করে। 

গত ৯ মার্চ (রবিবার) সিডনির লিভারপুলে ঈদমেলার আয়োজন করে সংগঠনটি। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকেই অতিথিদের পদচারণায় ভরে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।


ঈদ মেলায় ৭৫টিরও বেশি পোশাক, গহনা, মেহেদি, খেলনা ও সুস্বাদু দেশী খাবারের স্টল ছিলো। বাচ্চাদের জন্য ছিল ফেস পেইন্টিংসহ ছবি আকার সুযোগ। মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের বেশিরভাগই ছিলো বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তারা। রমজানের থিমে সাজানো রিবনস এন্ড রোজেজ এর ব্যানার সকল অতিথিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অসি বাংলা সিস্টারহুড এর প্রতিষ্ঠাতা জান্নাত ফেরদৌস বলেন, মেলার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে দেশীয় ঐতিহ্য এবং ঈদ পোশাক পৌঁছে দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।

মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বপরিবারে এবং স্ববান্ধবে প্রিয়জনদের জন্য পছন্দের ঈদ উপহার কেনায় ব্যস্ত সময় কাটান। সিডনির বাইরের শহরগুলো থেকেও অনেক অতিথি এই মেলায় উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের প্রশংসা করেন।


আসছে রমজানে সিডনিতে ঈদ মেলার আয়োজন করবে অসি বাংলা সিস্টারহুড। বাংলাদেশী পোশাক আর মুখরোচক খাবারের সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য্য তুলে ধরতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নারী উদ্যোক্তাদের এই আয়োজন। 

আগামী ৯ মার্চ রবিবার, সিডনির লিভারপুলে অবস্থিত উইথল্যাম লেসার সেন্টারে বসবে এই মেলা। এই ঈদ মেলায় থাকছে ৬৫টিরও বেশি স্টল, যেখানে পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করবেন  নারী উদ্যোক্তারা। থাকছে বাহারি পোশাক, রকমারি গহনা, মেহেদি, ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিংসহ অনেক ধরনের হাতের তৈরি শিল্পকর্ম। পাশাপাশি, স্থানীয় সুস্বাদু মুখরোচক খাবারের স্টলও থাকবে, যা প্রবাসীদের জন্য দেশী স্বাদে ফিরে যাওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করবে।

মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট বা প্রবেশমূল্যের প্রয়োজন নেই। আয়োজন চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। 

অসি বাংলা সিস্টারহুড দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের জন্য একটি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে,  এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তারা সহজেই অনলাইনে তাদের পণ্য এবং সেবা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। তবে এই ঈদ মেলা একটি বিশেষ উদ্যোগ যেখানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারবেন।


মেলার আয়োজক জান্নাত বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধুই ব্যবসা বা ক্রয়-বিক্রয় নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারগুলোর জন্য একত্রিত হওয়ার সুযোগ। আমাদের দেশীয় যে ঐতিহ্য রয়েছে রমজান মাসে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের কেনাকাটা করা সেটাও পরবর্তী প্রজন্ম দেখতে পারবে।"