বছর পাঁচ আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন ভারতের পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। সেই সময় অনুরাগী-বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমে স্বাক্ষর করা অঙ্গীকারপত্রের ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন জনপ্রিয় এই গায়ক। জানালেন, দেহদানের ইচ্ছে প্রত্যাহার করেছেন তিনি। আর তার দেহ যেন ইসলামী রীতিতে কলকাতায় দাফন করা হয়।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে কবীর সুমন বলেন, ‘রমজান মোবারক! সকলকে জানাতে চাই, কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম- আমি আমার দেহ দান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছে প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।’
সুমনের ইচ্ছে, ইসলামী রীতিতে যেন কলকাতার মাটিতে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। গায়কের কথায়, ‘আমি চাই আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামী রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম।’
সবশেষে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আমার এই ঘোষণার বিষয়ে কারোর কোনো মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা সংগীতের জগতে আত্মপ্রকাশ করেন কবীর সুমন। জীবনঘনিষ্ঠ লিরিক আর গায়কীতে নতুন ধারা চালু হয় তার হাত ধরে। এরপর তিনি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। গেল কয়েক বছর ধরে বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন এই শিল্পী।
সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে যেসব ইমাম-মুয়াজ্জিনরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদের ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, এই ট্রাস্ট থেকে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারাদেশে ৬০০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। একই অর্থবছরে ৪ হাজার ৬২০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা নির্বাচিতদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই দুই খাতে মোট ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে, আকস্মিকভাবেই মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনের জন্য ২০০১ সালে এই ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার হামজা চৌধুরী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায়।
ছবি : হামজা চৌধুরী।
প্রবাসী এই ফুটবলারকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মনে করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। হামজার মতো আরও প্রবাসী ফুটবলার দলে চান জামাল।
হামজাকে নিয়ে ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচটা জিততে চায় বাংলাদেশ। হামজা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ফুটবলার, এমনটাই মনে করেন জামাল। এই বিষয়ে জামাল বলেন, ‘আমি মনে করি, হামজা চৌধুরী কেবল আমাদের দলেরই সেরা খেলোয়াড় নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়াতে সেরা। তার মতো খেলোয়াড় যোগ দিলে দল আরো উজ্জীবিত হবে। এই ম্যাচে অবশ্যই আমরা ভালো কিছু আশা করি। যদি হেড টু হেড হিসাব করি তাহলে মনে করি, ভারতের সাথে আমাদের অনেক বড় পার্থক্য আছে। তবে, আমরা প্রত্যাশা করছি একটা ইতিবাচক ফল। অবশ্যই আমরা ভারত থেকে তিন পয়েন্ট নিতে চাই।’
প্রবাসী ফুটবলার ফাহমেদুল প্রসঙ্গে জামাল বলেন, ‘তাকে দলের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। আমি আসলেই তাকে চিনি না। তাই তার সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবো না। কোচ তাকে পছন্দ করেছেন। অবশ্যই সে ভালো খেলোয়াড়। তাকে আগে আমাদের সাথে মানিয়ে নিতে হবে, তারপর আমরা দেখবো কী হয়।’
প্রবাসী ফুটবলারদের প্রসঙ্গে জামাল বলেন, ‘প্রবাসী খেলোয়াড়দের আসা একটা ইতিবাচক দিক। বিদেশ থেকে অনেক খেলোয়াড় আসছেন। যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান, বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। এটা ইতিবাচক দিক। আমি চাই আরও বেশি প্রবাসী এলে ভালো। কারণ, অন্যান্য দেশ একই কাজ করছে। যদি দেখেন ফরাসি দলের দিকে, ওরা কিন্তু অনেক বিদেশি নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেন্টার সেক্রেটারি কাজী হাবীব ও এসিসটেন্ট সেক্রেটারি নুরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম. তালহা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অত্র মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থী নাফিন বিন হারুন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিলের শুভ সূচনা হয়। স্থানীয় শিশু শিল্পী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় ইসলামি সঙ্গীত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
বিশেষ অতিথি স্থানীয় মেয়র আজেদিন তাইবি বাংলাদেশি কমিউনিটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জালাল আহমদ, এফএমসি প্রেসিডেন্ট শেখ ওকাসা বেন আহমেদ দাহো, এফএমসি জেনারেল সেক্রেটারি হাজদা মারেকার, ফ্রান্স বিএনপি নেতা এম এ তাহের, স্থানীয় এডজোয়া মেয়র আবদুল হক, স্যুর ম্যাডাম এলুদি, ফাদার ফ্রেডরিক, ফাদার ডমিনিক পেল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা বলেন, ইসলামের একসময় গৌরবময় অধ্যায় ছিল, যখন আমরা ধর্মীয় অনুশীলন ও শিক্ষায় শীর্ষে ছিলাম। সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে সচেতন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যারিসের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ইফতার মাহফিলটি ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
প্রথম সিজনের অসাধারণ সফলতার পর শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে সিজন ২ নিয়ে। যা কিনা উদ্যোক্তাদের জন্য চমৎকার খবর! এরমধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদি আপনার কাছে একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া থাকে অথবা এমন একটি ব্যবসা থাকে যা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রয়োজন, তাহলে এটি আপনার সুযোগ।
বাংলাদেশে প্রভাবশালী বিনিয়োগকারীদের- যাদের আমরা "শার্ক" বলে জানি- তাদের সামনে আপনার আইডিয়া উপস্থাপন করুন এবং প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পেয়ে আপনার ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যান।
শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশে আবেদন করা খুবই সহজ, এবং আপনি সরাসরি https://apply.bongobd.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আপনি মোবাইল অথবা ডেস্কটপ, যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করেই আবেদন শুরু করতে পারবেন।
সহায়তার প্রয়োজন হলে, যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে অথবা আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে যোগাযোগ করুন sharktank@bongobd.com ইমেইল ঠিকানায়।
ইনজেকশন দিয়ে মেরে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হয় বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে। সাবেক সেনা কমকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।
আজ নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। পোস্টে ঢাকা মহানগর ৩৮ (বর্তমান ২৫) নং ওয়ার্ড এর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনকে বন্ধু বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
২০১৩ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন সুমন।