0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

ইউরোপ


প্রথমদিকে আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে বট বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহযোগিতা, আর কূটনৈতিক সাপোর্ট—সবই ছিল ইউক্রেনের জন্য। কিন্তু এখন… সেই আগ্রহ কমে এসেছে। কেন? হঠাৎ কী হলো? যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইউক্রেন নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা এখনো সহায়তার পক্ষে, কিন্তু রিপাবলিকানদের অনেকেই বলছে — এই যুদ্ধ আমাদের না!

তারা বলছে, এত টাকা ইউক্রেনে না দিয়ে আমেরিকার স্কুল, হাসপাতাল আর ইনফ্রাস্ট্রাকচারে লাগাও। এমনকি কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা আটকে দিচ্ছে অনেক রিপাবলিকান। আর তাইতো কিছুদিন আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একপ্রকার ডেকে এনে অপমান করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে আমরা আর তোমার সাথে নেই। অবশ্য আমেরিকা এভাবে মাঝ পথে বিপদে ফেলে অনেকবার চলে এসেছে। এমন অনেক ইতিহাস রয়েছে।


 

গুঞ্জন হলেও অনেকটা ওপেন সিক্রেট এই যে, ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে রয়েছে ’গোপন’ সম্পর্ক।  
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিভিন্ন মিডিয়া এবং রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করেছে। এর মধ্যে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, হ্যাকিং এবং নির্বাচনী তথ্য ফাঁস করা। ট্রাম্প অনেকবার পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে একজন "শক্তিশালী নেতা" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। "পুতিন শক্তিশালী নেতা" এবং "আমি চাই পুতিনের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকুক" — এই ধরনের মন্তব্যগুলো ট্রাম্পের পুতিনের প্রতি নরম মনোভাবকে তুলে ধরে।


করোনা মহামারির পর আমেরিকার অর্থনীতি এমনিতেই চাপে। তার উপর ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনে কয়েক ডজন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে গেছে। এতে সাধারণ আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে—এই খরচ কি আদৌ দরকার ছিল? বিশ্বে এখন শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুই না। চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, ইরান প্রশ্ন—এসব জায়গাতেও আমেরিকার নজর দিতে হচ্ছে। তাই এককভাবে ইউক্রেনকে আর আগের মতো গুরুত্ব দেওয়া যাচ্ছে না।

 

যুদ্ধ দুই বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ইউক্রেন এখনও বড় কোনো জয় পায়নি। রাশিয়াও থামছে না। এমন অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলো ভাবছে—'এই যুদ্ধে যদি জয় নিশ্চিত না হয়, তাহলে এত রিসোর্স ঢেলে কী লাভ? তারা এখন আলোচনার দিকেও তাকাচ্ছে। অনেকেই চাচ্ছে যুদ্ধ একেবারে থেমে না গেলেও অন্তত স্থির হয়ে যাক। একটা ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট, যেন রাশিয়া-ইউক্রেন 'অফিসিয়ালি' না হলেও বাস্তবে যুদ্ধ থামিয়ে ফেলে। তাতে করে সবাই ধীরে ধীরে তাদের ফোকাস অন্য জায়গায় দিতে পারে।


সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কখনোই স্থায়ী বন্ধুত্ব বা শত্রুতার জায়গা না। সবার আগে আসে নিজেদের স্বার্থ।তাই যেসব দেশ একসময় ইউক্রেনের পাশে ছিল—তারা আজ হিসাব কষে দেখছে, এই সম্পর্ক কতটুকু কাজে দিচ্ছে। আর এখানেই বদলে যাচ্ছে খেলার নিয়ম দাদাগিরি স্বভাবের কারণে আমারিকা বর্তমানে অনেক আলচিত ও সমালোচিত, এদের বন্ধুকে বিপদে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেহায়েত কম নয়।







 

 





 


ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সেন্টার সেক্রেটারি কাজী হাবীব ও এসিসটেন্ট সেক্রেটারি নুরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম. তালহা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অত্র মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থী নাফিন বিন হারুন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিলের শুভ সূচনা হয়। স্থানীয় শিশু শিল্পী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় ইসলামি সঙ্গীত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

বিশেষ অতিথি স্থানীয় মেয়র আজেদিন তাইবি বাংলাদেশি কমিউনিটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব‍্যক্তিত্ব জালাল আহমদ, এফএমসি প্রেসিডেন্ট শেখ ওকাসা বেন আহমেদ দাহো, এফএমসি জেনারেল সেক্রেটারি হাজদা মারেকার, ফ্রান্স বিএনপি নেতা এম এ তাহের, স্থানীয় এডজোয়া মেয়র আবদুল হক, স‍্যুর ম‍্যাডাম এলুদি, ফাদার ফ্রেডরিক, ফাদার ডমিনিক পেল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা বলেন, ইসলামের একসময় গৌরবময় অধ্যায় ছিল, যখন আমরা ধর্মীয় অনুশীলন ও শিক্ষায় শীর্ষে ছিলাম। সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে, যাতে তারা সঠিকভাবে সচেতন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যারিসের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ইফতার মাহফিলটি ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।  


জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ট্রেড ইউনিয়ন ভ্যার্ডি। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ ধর্মঘট শুরু হবে।

ইন্টারন্যাশনলান এয়ারপোর্ট রিভিউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘটের কারণে অন্তত এক হাজার ৬০০টি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে জানা যায়। এরপর মিউনিখ বিমানবন্দর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের তালিকাভুক্ত সব ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করা শুরু করে।

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে কোলন-বন ও ডুসেলডর্ফ বিমানবন্দরেও কর্মবিরতি পালন করেছে ভ্যার্ডি।

বিমানবন্দরের কর্মীদের কর্মপরিবেশের মানোন্নয়ন, ৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত তিন দিন বেতনসহ ছুটির দাবি জানিয়ে আসছে ভ্যার্ডি। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনায় বসার পরেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে তাদের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে। এতে যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুালন করেছে ভ্যার্ডি।


জার্মানির মিউনিখ শহরে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চাপার ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। 

ছবি: (সংগৃহীত)|

গাড়িটি একজন সন্দেহভাজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা। খবর রয়টার্সের।এ ঘটনার পর আগামী সপ্তাহের ফেডারেল নির্বাচনের আগে নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও জোরদার করা হয়েছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ আন্তর্জাতিক নেতারা দক্ষিণ জার্মান শহরে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে এই ঘটনা ঘটে।মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাদের দেশটিতে পৌঁছানোর কথা।

সর্বশেষ পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
 
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মঘটরত শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় একটি সাদা গাড়ি পুলিশের গাড়িকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে লোকজনকে চাপা দেয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালানো হয় কিন্তু তাতে সে আহত হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
 
ঘটনাস্থলে ১,০০০ জনেরও বেশি লোক উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
 
কর্মকর্তারা ২৪ বছর বয়সী গাড়ির চালককে আটক করেছে। কিন্তু এই ঘটনার মোটিভ তাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানায় তারা।
 
বাভারিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্কাস সোয়েডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সম্ভবত একটি হামলার ঘটনা।’
 
রয়টার্সের অনুরোধে, মিউনিখের জেনারেল প্রসিকিউটরের অফিসের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম ফরহাদ নূরী।

এদিকে বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মাদক ও চুরির অপরাধে পুলিশের কাছে পরিচিত ছিল। হারম্যান বলেন, তার আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে নিরাপত্তার কারণে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়নি।
 


বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা, দানবীর প্রিন্স করিম আগা খান মারা গেছেন। তাঁর দাতব্য প্রতিষ্ঠান আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

ছবি:প্রিন্স করিম আগা খান|রয়টার্স

প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা আগা খান ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক; ফ্রান্সের একটি প্রাসাদে তিনি বসবাস করতেন। বুধবার পর্তুগালের লিসবনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি চিরবিদায় নেন।

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আগা খান।

বিবিসি লিখেছে, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধুর এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাজা চার্লস। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগা খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

আগা খান বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন; বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ছিল তার।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সম্পদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ব্যবসা, বিশেষ করে ঘোড়া পালন ও রেসিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগা খানের দাতব্য সংস্থা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শত শত হাসপাতাল পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

তিনি পাকিস্তানের করাচিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং হার্ভার্ড ও এমআইটির যৌথ উদ্যোগে আগা খান প্রোগ্রাম ফর ইসলামিক আর্কিটেকচার চালু করেন।

ভারতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বিশেষ করে দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির সংস্কারে।

তার নামে ব্রিটেনে চালু রয়েছে আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড। পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার নেশন মিডিয়া গ্রুপ তারই প্রতিষ্ঠিত।

আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বলেছে, "আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব, যাতে বিশ্বজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো যায়, ঠিক যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।”

আনুমানিক দেড় কোটি ইসমাইলি মুসলমানের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে আগা খান দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ লাখ ইসমাইলির বসবাস।এছাড়া ভারত, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।

ঘোড়া প্রতিপালনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতেও আগা খানের বিশাল বিনিয়োগ ছিল। বিশেষ করে, তিনি ইউরোপের অন্যতম সফল ঘোড়া প্রজননকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।