0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

বিশ্ব বাণিজ্য


ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে কম দামে ভালো মানের পোশাক কেনার জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেট রয়েছে

বাংলাদেশের ঈদ শপিং শুধু কেনাকাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি আনন্দঘন উৎসব। রাস্তায় মানুষের ভিড়, মার্কেটগুলোর আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন পণ্যের অফার সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে সাথে অনলাইন শপিংয়ের প্রবণতা বাড়লেও, সরাসরি দোকানে গিয়ে কেনাকাটার উন্মাদনা এখনো কমেনি। ঈদ আসলেই কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে

গাউছিয়া মার্কেট
গাউছিয়া মার্কেট ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় শপিং সেন্টার, যেখানে মহিলাদের পোশাকের বিপুল সমাহার রয়েছে। এখানে জামদানি শাড়ি, থ্রি-পিস, লুঙ্গি, টুপি, ওড়না, সুতি কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। মঙ্গলবার পুরো দিন এবং বুধবার অর্ধেক দিন এই মার্কেট বন্ধ থাকে। 
 

কেন জনপ্রিয়?

মেয়েদের জন্য শাড়ি, থ্রি-পিস, কুর্তি ও বাচ্চাদের পোশাক

দরদাম করে কেনার সুযোগ

ব্যস্ত মার্কেট, ঈদের আগে প্রচুর ভিড় হয়

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: যেকোনো বাস যেটি আজিমপুর, নিউমার্কেট বা শাহবাগ যায়, তা দিয়ে নামতে পারেন।

রিকশা/সিএনজি: শাহবাগ, ধানমন্ডি বা ফার্মগেট থেকে সহজেই যাওয়া যায়।

মেট্রোরেল: বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে নেমে রিকশায় নিউমার্কেটে পৌঁছানো যাবে।




নিউ মার্কেট

আজিমপুরের উত্তরাংশে মিরপুর রোডে অবস্থিত নিউ মার্কেট ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম মার্কেট। এখানে তৈরি পোশাক, প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় জিনিস পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সারা দিন এবং বুধবার অর্ধদিবস এই মার্কেট বন্ধ থাকে।

কেন জনপ্রিয়?

ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য পোশাক

জুতাসহ আনুষঙ্গিক পণ্যও পাওয়া যায়

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা একই জায়গায়

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: আজিমপুর, শাহবাগ, ফার্মগেট বা মিরপুর থেকে বাস পাওয়া যায়।

মেট্রোরেল: কাঁটাবন স্টেশন থেকে রিকশা নিয়ে সহজে যাওয়া যাবে।

রিকশা/সিএনজি: ধানমন্ডি, বাংলামোটর, শাহবাগ থেকে সহজেই যাওয়া যায়।


মৌচাক মার্কেট

মালিবাগে অবস্থিত মৌচাক মার্কেট একটি ঐতিহ্যবাহী শপিং সেন্টার। এখানে শাড়ি, থ্রি-পিস, বাচ্চাদের পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। এই মার্কেট বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।
 

কেন জনপ্রিয়?

মধ্যবিত্তদের জন্য আদর্শ মার্কেট

মেয়েদের জন্য শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক পাওয়া যায়

তুলনামূলক কম ভিড়

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: মালিবাগ মোড়গামী বাস ধরে মৌচাকে নামতে হবে।

রিকশা/সিএনজি: মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন থেকে খুব সহজেই যাওয়া যায়।
 

নূরজাহান মার্কেট

নূরজাহান মার্কেট কম দামে ব্র্যান্ডের পোশাকের জন্য পরিচিত। এখানে ছেলে, মেয়ে ও শিশুদের পোশাক পাওয়া যায়। অনেক ক্রেতা এখানে একটি পোশাক কিনতে এসে কম দামের কারণে একাধিক পোশাক কিনে নেন।

কেন জনপ্রিয়?

ব্র্যান্ডের রিজেক্ট পোশাক কম দামে পাওয়া যায়

ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, শার্টের জন্য বিখ্যাত

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: মিরপুর-১ বা মিরপুর-১০ গামী বাস ধরে নেমে যেতে পারবেন।

মেট্রোরেল: মিরপুর-১০ স্টেশন থেকে রিকশায় যাওয়া সহজ।

রিকশা/সিএনজি: মিরপুরের অন্যান্য এলাকা বা গাবতলী থেকে যাওয়া যায়।



আজিজ সুপার মার্কেট

আজিজ সুপার মার্কেট দেশীয় পণ্যের সমাহার নিয়ে পরিচিত। এখানে ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, ফতুয়া, মেয়েদের শাড়ি, জামা, থ্রি-পিস, ব্যাগ ইত্যাদি পাওয়া যায়।

কেন জনপ্রিয়?

ট্রেন্ডি ও ডিজাইনার পোশাকের জন্য জনপ্রিয়

বুটিক স্টাইল পোশাক পাওয়া যায়

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: শাহবাগ বা বাংলামোটর গামী বাস ধরতে হবে।

মেট্রোরেল: কারওয়ান বাজার স্টেশন থেকে রিকশায় যাওয়া যাবে।

রিকশা/সিএনজি: ফার্মগেট, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি থেকে সহজেই যাওয়া যায়।

হকার্স মার্কেট

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ফুটপাতে ল্যাগিন্স, জ্যাগিন্স, মেয়েদের ওয়ানপিস জামা, শিশুদের পোশাক সস্তায় পাওয়া যায়। দেখে-শুনে দরদাম করে কিনতে পারলে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়।

ঈদের কেনাকাটায় কম দামে ভালো মানের পোশাকের জন্য এই মার্কেটগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, কেনাকাটার সময় পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং দরদাম করার বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

কেন জনপ্রিয়?

স্টাইলিশ পোশাকের জন্য বিখ্যাত

টিনএজারদের জন্য দারুণ কালেকশন

যাতায়াত ব্যবস্থা:

বাস: ধানমন্ডি ২৭ নাম্বার গামী বাস ধরতে হবে।

রিকশা/সিএনজি: ধানমন্ডির যেকোনো জায়গা থেকে সহজেই যাওয়া যায়।


 


বিশ্ব বাজারে পাম অয়েলের দাম কমতে শুরু করেছে। সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়েছে বলেই কমে যাচ্ছে পামের দাম। ফলে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন কমা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল তাতে স্বস্তি ফিরবে। এক প্রতিবেদনে বিজনেস রেকর্ডার এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে, ভারত পাঁচ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করে। যা নভেম্বরের চেয়ে ৪১ শতাংশ কম। ভারতের সরকার ও শিল্প কর্মকর্তারা জানুয়ারিতে পাম তেলের আমদানি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

আগামী এপ্রিল ডেলিভারির জন্য বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বেঞ্চমার্ক পাম অয়েল চুক্তির দাম ৭ রিঙ্গিত বা ০.১৭% বেড়ে ৪,১৯৩ রিঙ্গিত প্রতি মেট্রিক টন হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দামও কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৫০ সেন্ট কমে ৮০ দশমিক ৭৯ ডলার হয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম ৮০ সেন্ট কমে ৭৭ দশমিক ৮৮ ডলার হয়েছে।
 


সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আর্কষণে হিটম্যাপ (রূপ রেখা) প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এতে দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিডা হিটম্যাপটি প্রকাশ্যে আনে। ভবিষ্যত্ বিনিয়োগের প্রচারে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করবে সংস্থাটি।

এ ব্যাপারে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এফডিআই হিটম্যাপ শুধু একটি পরিকল্পনা নয়। এটি আমাদের ভবিষ্যত্ বিনিয়োগের জন্য একটি রূপ রেখা। আমরা যে কোনো রোডশো, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি বা নীতি সহায়তা এ তথ্য নির্ভর বিশ্লেষণ অনুসারে করব।   

এফডিআই হিটম্যাপে ১৯টি খাতকে তিনটি প্রধান মানদণ্ডের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো বাজার প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা, ইনপুট ফ্যাক্টরের প্রাপ্যতা (অভ্যন্তরীণ দিক), জাতীয় লক্ষ্য (এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং ইএসজি বা পরিবেশ, সামাজিক দিক ও সুশাসন)। 

এক্ষেত্রে ‘এ' ক্যাটাগরি-কে বলা হচ্ছে তাত্ক্ষণিক লক্ষ্য। যা উচ্চ বাজার প্রস্তুতি, দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলকভাবে সুবিধাজনক খাত। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে কোর অ্যাপারেল (পোশাক), ফার্মাসিউটিক্যালস বা ওষুধ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, আইটি বা তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম সেবা, উন্নত টেক্সটাইল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাত। ক্যাটাগরি ‘বি’ হলো দ্রুত প্রবেশযোগ্য খাত। এটি মধ্যম মানের বাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে এটিও শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে অটোমোটিভ পার্টস বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ, ফুটওয়্যার, হালকা প্রকেৌশল ও চামড়া খাত। ক্যাটাগরি ‘সি’ তে রয়েছে লজিস্টিকস (আনুষঙ্গিক) এবং ইলেকট্রনিকস ও অ্যাসেম্বলি খাত। উন্নয়ন সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই খাতে ইনপুট চ্যালেঞ্জ সমাধানে বিশেষ চুক্তি প্রয়োজন। এছাড়া ডি ক্যাটাগরিতে নীতি ও সক্ষমতা উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত সহায়তা এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়নের প্রয়োজনীয় খাত। এই খাতে রয়েছে ব্যাটারি, মেডিকেল ডিভাইস,  টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, খেলনা, অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই), ও প্লাস্টিকখাত।  

বিডা জানায়, এফডিআই হিটম্যাপের কার্যকারিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ফোরাম, রোড শো এবং নীতি উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি একটি উপদষ্টো কাউন্সিল গঠন করে নীতিগত ঘাটতি পূরণ এবং ইকোসিস্টেম শক্তিশালীকরণের কাজও করবে তারা। বিডার নির্বাহী বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও, এফডিআই বর্তমানে জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে অবস্থান করছে। কিন্তু বৈশ্বিক গড় এফডিআই ৩ থেকে ৪ শতাংশ। হিটম্যাপ এই প্রবণতা পালটে দিতে পারে। হিটম্যাপটি প্রতি বছর পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হবে। এর লক্ষ্য বাজারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকা।