0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

জেলা


কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শিশু ছিনতাইকারী সন্দেহে সন্তানের সামনে বাবাকে বেধড়ক পিটিয়েছে অতি উৎসাহী জনতা।পরে আহত ইলিয়াস হোসেন সোহেল মিয়াকে (৩০) উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে থানা পুলিশ।

রবিবার বিকেলে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের তাতারকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর পৌর শহরের হারুয়া সওদাগর পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে।

ঘটনার সময় তিনি তার ৩ বছরের শিশু সন্তান লাইসা মণিকে নিয়ে সরারচর রেলওয়ে স্টেশন হতে অটোরিকশা নিয়ে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। এ সময় শিশু লাইসা মণিকে কান্না করতে দেখে স্থানীয় লোকজন শিশু ছিনতাইকারী সন্দেহে অটোরিকশার গতিরোধ করে সোহেল মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে। অটোরিকশায় থাকা অপর এক যাত্রীকেও ছিনতাইকারী বলে মারধর করে জনতা। পরে খবর পেয়ে তাদের ২ জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

আহত সোহেল জানান, প্রায় ১০ বছর পূর্বে তিনি তার প্রতিবেশী লালন মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী নিখোঁজ। শিশুকে সাথে নিয়ে স্ত্রীকে খোঁজতে বের হন তিনি। 

কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারের পর সোহেলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সোহেলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভৈরবে তার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন স্ত্রীর খোঁজে। সেখানে কয়েকদিন ছিলেন তিনি। এরপর ভৈরব থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেল ও তার মেয়ে লাইসা মণিকে একইদিন রাতে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। লোকজন ভুল সন্দেহে তাকে মারধর করেছে বলেও জানান তিনি।
 


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের বাথরুমের গোপন ভিডিও ধারণকালে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আবদুর রহিমকে (৩১) আটক করা হয়েছে।

 ছবি:অভিযুক্ত আবদুর রহিম(সংগৃহীত)।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওষি ) শাহীন মিয়া। এর আগে একই দিন দুপুরে আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়ার উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বুধবার সকাল থেকে সুবর্ণচর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিক্ষিকা, নারী অভিভাবক ও প্রতিযোগী ছাত্রীদের পোশাক পরিবর্তনসহ বাথরুম ব্যবহারের জন্য পার্শ্ববর্তী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হয়।

সূত্র আরও জানা যায়, সকাল থেকে ওই ব্যাংকের অফিস সহায়ক আবদুর রহিম নিজের মোবাইল দিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে অভিভাবক, শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণ করেন। দুপুর ১টার দিকে মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী অভিভাবক বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিডিও রেকর্ডিং অবস্থায় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন। পরে শিক্ষকরা মোবাইলের মালিক অফিস সহায়ক আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত আবদুর রহিম উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের মধ্য চরবাটা গ্রামের বাসিন্দা। তার বড় ভাই আবদুল আলিম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। এ জন্য গুরুতর অপরাধ প্রমাণ থাকার পরও আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির করছে স্থানীয় একটি মহল।

রিয়াজ উদ্দিন নামে এক শিক্ষক বলেন, মোবাইলটি আমাদের হাতে আসার পর ছড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষকরা আপত্তিকর সব ভিডিও মুছে দেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আলেয়া খাতুন বলেন, অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে অফিস সহায়ক আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

সুবনচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মোবাইলফোনটি জব্দ করে নিয়ে আসে। লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 


কিশোরগঞ্জ ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস ঐতিহ্য। প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এ জেলায়।

প্রায় আড়াইশ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যের নাম কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ। পাগলা মসজিদের ইমরাত খুবই সুন্দর এবং নির্মাণশৈলীও বেশ চমৎকার। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে  পরিচিত। তবে দেশজুড়ে এর পরিচিতি অন্য কারণে।

পাগলা মসজিদ নাম শুনলেই বর্তমানে যেটি মাথায় আসে সেটি হলো মসজিদের দানবাক্স খুলেলই মেলে কোটি কোটি টাকা, বৈদেশিক মূদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। এ মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। দেশের মানুষের মাঝেও রয়েছে নানা কৌতুহল। কারা দেন এসব টাকা, কেন এই কোটি টাকার দান আর কি হয় দানের টাকায় ? 
 
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হয়বত নগর এলাকার প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান হয়বত খানের অধীনস্ত তৃতীয় পুরুষ জুলকরণ খানের বিবি সাহেবা মূলত একদিন স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে দেওয়ানবাড়ির অদূরে নরসুন্দার তীরে এই পাগলা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই তথ্য হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ি থেকে পাওয়া। মসজিদের প্রতিষ্ঠাকালে এর ভূমির পরিমাণ ১০ শতাংশ থাকলেও, এখন তা সম্প্রসারিত হয়ে এর মোট ভুমির পরিমাণ প্রায় ৫ একরের উপরে রয়েছে। পাগলা মসজিদের সঠিক ইতিহাস কারো জানা নেই।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর পানিতে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে থেমে ছিলেন। তখন নদীর পানিতে মাদুর পেতে তার ভেসে আসা দেখে, তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। এরপর সেই পাগলবেশী আধ্যাত্মিক পুরুষ এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ইবাদত করতেন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। যা কালক্রমে পাগলা মসজিদ ’নামে পরিচিত।
এই মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে নয়, দেশের সবকটি জেলার সকল ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবেও বিবেচিত। এ মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। নারীরা মসজিদের পৃথক স্থানে নামাজ আদায় করেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে প্রচুর লোক সমাগম হয়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সেদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বেশি আশায় দান খয়রাত ও বেশি হয়।

সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু-ছাগল, হাস-মুরগীসহ মানতের বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন। তাই প্রতিমাসে শুধু দানের নগদ অর্থ আর বিভিন্ন দানসামগ্রী থেকেই এ মসজিদের আয় হয় কোটি টাকারও বেশি।
প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হয় এই মসজিদের ১০টি লোহার দানসিন্ধুক। মসজিদের দানসিন্ধুকগুলো খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ঐ মসজিদের দোতলায়। পরে, মসজিদের মেঝেতে বসে দিনব্যাপী টাকা গুনেন প্রায় দুইশতাধিক মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা।

গণনা শেষে মসজিদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে টাকা জমা রাখতে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপওায় দানের সব টাকা নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংকে। এছাড়াও মসাজিদে মানতের বিভিন্ন দানসামগ্রীগুলো প্রতিদিন আসরের নামাজের পর প্রকাশ্য নিলাম ডাকের মাধম্যে বিক্রয় করে প্রাপ্ত অর্থ পরদিন ব্যাংক আওয়ারে মসজিদের হিসাব নম্বরে জমা রাখা হয়। যা পরে প্রতিমাসে ব্যায় করা হয় কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মসজিদের বিভিন্ন রক্ষনাবেক্ষণের কাজে।

পাগলা মসজিদের টাকায় ২০০০ সালে মসজিদের পাশেই একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ১৩০ জন এতিম শিশু পড়াশোনা করছে। মসজিদের টাকায় তাদের যাবতীয় ভরণপোষণ করা হয়ে থাকে।

মসজিদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা রাখা দানের টাকা থেকে আশা লভ্যাংশ ব্যয় করা হয়, দুস্থ ও দূরারোগ্য রোগীদের মাঝে। এছাড়া মসজিদের মূল তহবিলের টাকা এখন আর কোথাও ব্যয় করা হচ্ছেনা বলেই জানিয়েছেন মসজিদ কতৃপক্ষ। কারন মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যেটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য হিসেবে নির্মিত হবে। এজন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক মানের এ কমপ্লেক্সটি নির্মিত হলে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। সেই সাথে ৫ হাজার নারীর নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থাসহ মুসুল্লিদের ২০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

প্রতি অর্থবছর ওয়াকফ স্টেটের অডিটর দ্বারা মসজিদের আয়-ব্যয়ের অডিট করা হয়। সবশেষ মসজিদের দানসিন্ধুক খুলে রের্কড পরিমান টাকা পাওয়া যায়। যা অন্যান্যবারের সকল রের্কড ভেঙ্গে তৈরি করেছে নতুন রের্কড। সর্বশেষ গেল বছরের ৩০ নভেম্বর গণনা শেষে ৮ কোটি ২১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। যা ৩ মাস ১৩দিনে মসজিদের ১১টি দানসিন্ধুকে জমা পরেছিলো। যা অতীতের সব রের্কড ছাড়িয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন মাস পর মসজিদের দানসিন্ধুক খোলার কথা থাকলেও সিয়াম সাধনার মাস উপলক্ষ্যে খোলা হয়নি। বরং মসজিদের ১০ টি দানসিন্ধুকের সাথে আরও অস্থায়ী দানসিন্ধুক যোগ করে ঈদুল ফিতরের পর দানসিন্ধুক খোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে মসজিদ কতৃপক্ষ। সেই সাথে তারা ধারণা করছে, পূর্বের সকল রের্কড ছাড়িয়ে এবার নতুন রের্কড তৈরি হবে।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ২০১৬ সালে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্সে নামকরণ করা হয়। মসজিদটি পরিচালনার জন্য ওয়াকফ প্রশাসন  অনুমোদনকৃত একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্য সচিব। এছাড়াও মসজিদের খতিবসহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা এই কমিটিতে মসজিদ পরিচালনার কাজে দায়িত্ব পালন করছেন।
 


শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।

তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।

সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া জানান, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু দিন আগেও দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশ প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।


অবশেষে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মাত্র চারজন নিয়ে গড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সেই উমানাথপুর গ্রাম।

চার মাস আগে এই গ্রামের মালিক মো. সিরাজুল হক সরকার স্থানীয় আব্দুল মন্নাছের কাছে গ্রামটি বিক্রি করেন। তবে আজ বুধবার বিকেলে গ্রামটি বিক্রির ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানান এলাকাবাসী।

সিরাজুল ইসলাম সরকার জানান, নিজের জন্য এত বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই। তাই ভালো দামে বিক্রির পর কম দামে পাশের গ্রামে জমি কিনেছেন। সেখানে নতুন বাড়ি করে বসবাস করবেন।

বাড়ি তো নয়, পুরো গ্রাম বিক্রি করে দিলেন—এমন প্রশ্নে সিরাজ সরকার বলেন, ‘তা বলতে পারেন। এখন যাঁরা থাকবেন, তাঁরা ভাগ্যবান। প্রায় ৬০ বছরের ইতি টানলাম।’

বাড়ি বা গ্রামটি কিনেছেন পাশের উদয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাছ। তিনি ঢাকায় বড় ছেলে মোস্তফা কামালকে নিয়ে ফলের ব্যবসা করেন। তার মোবাইলে কল দিলে ধরেন তার ছেলে মোস্তফা কামাল। তিনি ওই বাড়ি কেনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বাবা বাড়িটি কিনেছেন ১৫ লাখ টাকায়। রেজিস্ট্রিসহ খরচ পড়েছে ১৭ লাখ। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরদিন তিন ভাই, মা ও বাবাকে নিয়ে বাড়িতে উঠেছেন। এখন তাঁদের সদস্যসংখ্যা ৯ জন। বাড়িটি কিনতে পেরে তাঁরা খুশি। কারণ, এটা শুধু বাড়ি নয়, একটা গ্রামের পরিচয়।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের ঘটনা প্রকাশ পায় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এরপর এই গ্রাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ‘উমানাথপুর’ গ্রামের জমির পরিমাণ ২৫ শতক। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এ জমিতে মো. সিরাজুল সরকার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। যেখানে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, একটি ছোট পুকুর, একটি টয়লেট ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। অন্যের জমির আলপথ দিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। এই বাড়ি ঘিরেই ‘উমানাথপুর’ গ্রাম।


জয়পুরহাটে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে ৫১৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুরের প্রাচীন দোলপূর্ণিমার মেলা।

এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘোড়া। নানা জাতের হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ঘোড়া বিক্রি জন্য আনা হয় এ মেলায়। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।

এ প্রতিযোগিতা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারও মানুষ। অন্যদিকে মণ্ডা-মিঠাই, নানা ধরনের আসবাবসহ শিশু-কিশোরদের নানা বিনোদনব্যবস্থা মেলাকে সাজিয়েছে ভিন্ন এক উৎসবে। 

জানা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুরে বসেছে ৫১৭ বছরের মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মেলা। প্রথম ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর মন্দির প্রাঙ্গণে বসে এই মেলা। এরপর থেকে এ এলাকায় মেলাটি আয়োজন করে আসছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। হিন্দু-মুসলিম মিলেই মেলাটি পরিচালনা করা হয়। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ থাকে ঘোড়া।

মেলাটি শুরু থেকেই ঘোড়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পরও মেলায় নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে উন্নত জাতের ঘোড়া আসত। একটা সময় মেলার পরিধি প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন তা ১ কিলোমিটারের মধ্যে ছোট হয়ে গেছে। বর্তমান দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঘোড়া ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসেন এখানে ঘোড়া কেনা-বেচা করতে।

এবার নজর কাড়ছে বাহাদুর, পঙ্খিরাজ, রানি, সুইটি, সোনার তরীসহ নানা বাহারী নামের ঘোড়া। এখানে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৯ লাখ টাকার পর্যন্ত ঘোড়া রয়েছে। এদিকে প্রতিদিন বিকেলে একটি মাঠে চলে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা। ঘোড়ার ক্ষিপ্রতা পরীক্ষা করার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া এখানে বড় বড় মহিষ-গরুসহ বিভিন্ন পশুও বিক্রি হয়।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামের গোলজার সরকার বলেন, ‘আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মেলায় ঘোড়া কেনা-বেচা করতে আসি। এবারও কিছু ঘোড়া বিক্রি হয়েছে, আরও কিছু বাকি আছে।’ জামালপুর জেলার রুহুল আমিন বলেন, ‘এবার মেলায় ৭০টি ঘোড়া নিয়ে এসেছি। সবচেয়ে বড় তাজি জাতের একটি ঘোড়া রয়েছে। এর দাম চাচ্ছি ৫ লাখ টাকা। কিন্তু দাম করছে ৩ লাখ ৭০ হাজার। ছোট কিছু ঘোড়া বিক্রি করেছি।’

বরিয়া গ্রামের তমাল হোসেন নামে বলেন, ‘মেলায় এসে অনেক বড় বড় ঘোড়া দেখেছি। এরপর মাঠে ঘোড়দৌড় দেখার জন্য এসেছি। অনেক ভাল লাগছে।’

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই মেলার মূল আকর্ষণ ঘোড়া ও ঘোড় দৌড়। পাশাপাশি নানা প্রজাতির মহিষ, গরুসহ বিভিন্ন পশুও পাওয়া যায়। এ ছাড়া বড় বড় মিষ্টি, কাঠের আসবাব, পোশাক, খেলনা, গৃহস্থালি সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায়। এটি দোলপূর্ণিমার মেলা হলেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সব ধর্মের মানুষ এখানে আসেন।’


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার মধ্যরাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত সংবাদকর্মীরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন ইরফান। তারা কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মাঝরাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আহত সাংবাদিকরা বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা। স্বজনদের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই রোগী মারা গেছেন। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বলে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, ছবি ও তথ্য নিতে সাংবাদিকরা নতুন ভবনের সপ্তম তলায় উঠার আগেই চতুর্থ তলায় অতর্কিত হামলা করে হাসপাতালের ভেতরে থাকা একদল যুবক। তারা সাধারণ পোশাকে মেডিকেল শিক্ষার্থী বা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কয়েকজন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।

আহত যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বলেন, হাসপাতালের চারতলায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা হয়। তাদেরকে মারধর করে ভবনের নিচে নিয়ে আসে। অপর একটি পক্ষ তাদেরকে নিরাপদে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তখন হাসপাতালের ভেতরে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে।

তিনি বলেন, “যারা হামলা করেছে সিসিটিভি ক্যামেরা বা মোবাইল ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের চিহ্নিত করা যাবে। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।”

যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব বলেন, “হাসপাতালে ক্যামেরা চালু করার আগেই আমাদের কয়েকজন যুবক মারধর শুরু করে। তাদের হাতে স্ট্যাম্প ও লাঠি ছিল। তারা দুই দফা হামলা করে। তখন অন্যরা মোবাইলে ভিডিও করছিল।”

সংবাদকর্মীদের দাবি, হামলাকারীরা হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট হতে পারেন। তারা কেউ ইউনিফর্মে ছিলেন না। হামলার সময় সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা ও ট্রাইপড।

এ ব্যাপারে জানতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয়ে কয়েকজন ঘটনার কথা বলেছেন। তাদের দাবি, এ সময় তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।”

এদিকে ঘটনার পর পরই সংবাদকর্মীরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হন। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানান।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, “এ ধরনের হামলা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
 


সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কুমিল্লায় দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বুড়িচংয়ের বালিখাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দোয়া ও ইফতার সভাপতিত্ব করেন দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।

সংগঠক রেজবাউল হক রানার পরিচলনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,  কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিকসহ প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও নিবাসীরা ।

মঙ্গলবার দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে দোয়া ও ইফতার মহফিলের আয়োজন করে সংগঠনগুলো।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বালিখাড়া নেছারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুর রহমান ।


নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আমিন (২৩) ও বাশার (৩৫)। তারা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করেন তারা। পরে গত ৫ আগস্টের পর সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরে এসে সালাম মিয়ার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করেন।

 এ নিয়ে এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় উঠতে চায়। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র, দা, ছুরি, ককটেল ও অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে সালাম মিয়ার দুই সমর্থক ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়াও আহত হন উভয় পক্ষের ১০ জন। 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামসু মেম্বার ও সালাম মিয়ার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ওই এলাকাটি দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় পৌঁছাতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। 


হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আসামপাড়ায় স্কুলশিক্ষক বাবার সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়েছেন তিন ব্যবসায়ী।

 বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। 

স্থানীয়রা জানান, আসামপাড়া বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মোতালিব মাস্টারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই নির্যাতিত ব্যক্তির।


এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোতালিব মাস্টারের তিন ছেলে বকুল, মুকুল ও শেকুল লাঠি দিয়ে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। 

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুর আলম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ভারসাম্যহীন কোনো মানুষের সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না।

কিন্তু কেন এমনটি হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
 


টাকার বর্তমান মান অনুযায়ী অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতির তারতম্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেনমোহর পরিশোধের রায় দিয়েছেন কুমিল্লার পারিবারিক আদালত।

একই সঙ্গে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট টাকা পরিশোধের কথাও রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। দেনমোহর নিয়ে এমন ব্যতিক্রমধর্মী রায় দেশে এই প্রথম করা হলো বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা আদালতের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার পারিবারিক আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ শেখ সাদী রহমান এই ‘ব্যতিক্রমধর্মী’ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজাদ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের বিয়ে হয়।বিয়েতে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উসুল দেখিয়ে দুই লাখ টাকা বাকি রাখা হয়। পরে ২০২৩ সালের জুনে ইব্রাহিম খলিল তালাক দিলে দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের প্রার্থনা করে সুমাইয়া পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত বাদীর পক্ষে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, বাদী ও বিবাদীর বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালে, এখন ২০২৫ সাল। প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার মানের তারতম্য ঘটে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে স্পষ্ট। এ অবস্থায়, দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারা প্রয়োগ করে মুদ্রাস্ফীতির তারতম্য অনুসারে বাদীর দেনমোহরের প্রকৃত মূল্য দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো এবং বাদী ওই টাকা পাওয়ার হকদার। বাদীর প্রার্থিতা মতে ছয় মাসের ভরণ-পোষণ ‘খোরপোশ’ বাবদ ৪২ হাজার টাকা এবং ইদ্দতকালীন তিন মাসের ভরণ-পোষণ বাবদ ২১ হাজার টাকার হকদার।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন বলেন, ‘এ রায়কে অবহেলিত নারীসমাজের জন্য যুগান্তকারী রায় বলে মনে করছি। কারণ, আমাদের মুসলিম রীতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহর নিয়ে নারীদের অনেক বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হতে হয়। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক বাস্তবতা উপলব্ধি করে যে রায় দিলেন তা অবশ্যই ব্যতিক্রম ও যুগান্তকারী।’

 


 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাটি কাটায় বাধা দেয়ায় সমন্বয়ক শাহাদাত তানভির রাফি ও তাঁর সহযোগীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান অনি আহত হয়েছে।

বুধবার রাত আনুমানিক বারটার সময় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা(সালুকিয়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।

ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান অনি অভিযোগ করেন, কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব শাহাদাত তানভির রাফি, মাদক ব্যবসায়ী গোলাম রসুল, মোঃ ওয়াসিম ও যুবলীগ নেতা আল রায়হান আলকাছের নেতৃত্বে ভারত সীমান্ত এলাকায় প্রতিরাতেই ভেকু দিয়ে মাটি কাটা চলছে।

বুধবার রাতে সাইদুর রহমানের মালিকানাধীন ফসলি জমির পাশে গভীরভাবে মাটি কাটার কারণে জমির ক্ষতি হয়। রাত আনুমানিক বারটার সময় সাইদুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল নেতা অনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটতে বাধা দেয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সমন্বয় পরিচয় দেয়া শাহাদাত তানভীর রাফি, তাঁর পিতা বাবুল রহমান ছাত্রদল নেতা অনির উপর হামলা চালায়। তার চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রদল নেতা অনিকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর মাথায় নয়টি সেলাই করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, শাহাদাত তানভির রাফি গত ৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতো। বর্তমানে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমানগন্ডা সালুকিয়া এলাকায় ভারত সীমানায় ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। যে কেউ দেখলে এটা পাহাড়ি এলাকা না বলে ‘পুকুর’ বলবে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন, বন ও কৃষি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এছাড়া সমন্বয়ক রাফির বিরুদ্ধে এলাকায় স্বৈরাচারের দোসরদের পূনবার্সন করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সমন্বয়ক শাহাদাত তানভির রাফি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ঘটনা ঘটেছে’।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’


 

কুমিল্লার তিতাসে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার মৌটুপী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর মিয়া ও একই ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের রুকন উদ্দিনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী সুজন।

তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌটুপী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল-আমীন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

ছবি: বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত(ফাইল ছবি)

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।আল-আমীন ভারতের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। এতে আহত হন আল-আমীন। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর লাশ এখন বিএসএফ ক্যাম্পে আছে।

বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে গুলি করেছে, সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। আল-আমীনের লাশ বর্তমানে বিএসএফ ক্যাম্পে আছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার যে এলাকায় থাকে, সেখানে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক কাজ করে না। সে জন্য তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। দক্ষিণ পুটিয়া একটি অপরাধপ্রবণ এলাকা। চোরাকারবারের কাজে এলাকাটি ব্যবহার করে অপরাধীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম বলেন, চোরাকারবারি মনে করে বিএসএফের সদস্যরা আল-আমীনকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে চিকিৎসা দেন। রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আজ শনিবার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা। পতাকা বৈঠকে আল-আমীনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা আছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার দাবি, সীমান্তের এই জায়গায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর দুই যুবক গুলিতে আহত এবং গত ২২ এপ্রিল মেহেদী হাসান নামের একজন নিহত হন।


হোমনা উপজেলা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে বুধবার হোমনা প্রেসক্লাবের সামনে  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর থেকে  শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ও মেডিকেল ভাতা প্রদানসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে চলমান লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি  পালনরত শিক্ষকদের উপর  ফ্যাসিবাদি কায়দায় পুলিশী বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল  ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

এতে  প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান, মো. শামসুল হক সরকার, অধ্যক্ষ কেএম আতিকুর রহমান, চান্দেরচর মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম.প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম,সুপার মাওলানা আবদুল কাদির,, রেহেনা মজিদ মহিলা কলেজের  প্রভাষক সুলতানা রাজিয়া আক্তার, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক আবদুল আলীম,আবদুল হক,আবুল কালাম আজাদ, কাজী মো. ইব্রাহীম,মো. মিজানুর রহমান,মো.ইসমাইল,সোহেল রানাসহ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অংশ গ্রহণ করেন।

এ সময়  বক্তারা বলেন, চাকরি জাতীয়করনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে   ঢাকায়  শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই ।



হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই শিশুসন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকালে উপজেলার আতিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুর রউফ এবং দুই মেয়ে খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী হাফিজার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুদিন আগে হাফিজা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনায় অভিমান করে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আব্দুর রউফ শিশুকন্যা আয়েশা আক্তার ও খাদিজা আক্তারকে বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করেন।

পরে শিশুদের চিৎকারে ঘরের লোকজন দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক আব্দুর রউফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার তিনিও মারা যান।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুর রউফ সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।


নরসিংদীর শিবপুরে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে হাজতখানায় মোবাইলফোনে কথা বলতে না দেওয়ায় এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কস্টেবলকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে।

 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিবপুর থানা ভবনের হাজতখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবিদ হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি শিবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, একাধিক মামলার আসামি নাদিম সরকার  সোমবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনীর চালানো 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' অভিযানে গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে ছাড়ানোর তদবির নিয়ে রাতে থানায় যান স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবিদ। এ সময় কয়েকবার হাজতখানার সামনে গিয়ে গ্রেপ্তার নাদিমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। একপর্যায়ে নাদিমকে নিজের মোবাইলফোন দিয়ে বাইরে কথা বলানোর চেষ্টা করলে কর্তব্যরত কনস্টেবল সবুজ মিয়া বাধা দেন। এতে চটে গিয়ে কনস্টেবলকে থাপ্পড় দেন আবিদ।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'মোবাইলে কথা বলানোর চেষ্টা করলে আবিদকে বাধা দিয়ে তাকে হাজতখানার সামনে থেকে চলে যেতে বলেন কনস্টেবল সবুজ। পরে আবিদ রেগে গিয়ে কনস্টেবলকে বলেন, "আমাকে চিনস?" "আপনাকে চেনার দরকার নেই, আপনি চলে যান"—এ কথা বলার পর সবুজকে থাপ্পড় মেরে আবিদ বলেন: "এখানে চাকরি করলে আমাকে চিনতে হবে, আমার কথা শুনতে হবে।"'

আফজাল হোসেন আরও বলেন, পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় আবিদকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
 


রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে  গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন “নাশকতার উদ্দেশে আবদুস সামাদ পুঠিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছিলেন। গোপন খবর পেয়ে তার এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ তার বাড়ি ঘিরে ফেললে তিনি ছাগলের ঘরে লুকিয়ে থাকেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।


কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের অফিসকে পাবলিক টয়লেট করার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনের মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান। 

এছাড়া ওই ভবনের সামনের খালি স্থানটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাত থেকেই সেখানে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সংগঠনের কর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগের পাশের ভবনে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে স্থাপন করা নৌকার প্রতিকৃতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। পরে সেখানে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতারা। 

কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান বক্তব্যে বলেন, ‘অফিসের সামনের খালি স্থানটি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড এবং মহানগর আওয়ামী অফিসটি পাবলিক টয়লেট হিসেবে আমরা তৈরি করে দেব।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নাম নিশানা আর কুমিল্লার মানুষ আর দেখতে চায় না। তাই এ সংগঠনের অফিস আর কুমিল্লায় থাকবে না। জনগণের জন্য এ অফিস ‘পাবলিক টয়লেট’ হিসেবে আমরা আগামী সপ্তাহে তৈরি করে দেব।’ 

এ সময় সংগঠনের সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর অফিসের সামনে খালি স্থানে অটোরিকশা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। 


সুনামগঞ্জে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব’

বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় দুই দিনের ‘লোক উৎসব’ শুরু হওয়ার কথা আছে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁর জন্মস্থান উপজেলার উজানধল গ্রামের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।

আজ বিকেল চারটার দিকে শাহ আবদুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজীব সরকার ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। এবার উৎসবের সহযোগিতায় আছে বিকাশ।


উৎসবের আয়োজক শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও তাঁর ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল বলেন, এবারও উৎসবে বাউল করিমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি শাহ আবদুল করিমের শিষ্য, অনুরাগী ও স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর গান গাইবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।

শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টি জুড়ে মানুষ, সাম্য ও প্রেমের জয়গান আছে জানিয়ে নূর জালাল বলেন, কালনী নদীর তীরে বসেই মনের গভীর থেকে উঠে আসা মাটির সুরে সাদাসিধে কথা আর উপমা বসিয়ে তিনি তৈরি করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। এই মরমি শিল্পীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন।

বাংলা লোকগানের এই বাউল সাধকের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে উজানধল গ্রামে উৎসবটি আয়োজিত হয়ে আসছে। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি সংগীতপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামটি।
 


৪ বছরের শিশু নাঈমা, সাড়ে ৫ বছরের আহমুদুল্লাহ আর ১০ বছরে পা রেখেছে আইরিন। কচি মায়াভরা তিনটি মুখজুড়ে রাজ্যের বিষাদ আর ভয়। না জানি কখন তাদের পুলিশে ধরে নিয়ে যায়। এতিম তিন শিশুই পিতার ঋণের দায়ে মামলার আসামি!

ওদের মা থেকেও যেন নেই। মৃত স্বামীর খেলাপী ঋণের মামলায় দুমাস ধরে জেলে। দুই বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর মায়ের আশ্রয়ে লালিত পালিত হলেও মা জেলে যাবার পর থেকে অবুঝ শিশু জান্নাতুল নাঈমা আর আহমাদুল্লাহর একমাত্র ভরসা দশ বছর বয়সী বড়বোন আইরিন। নানার আশ্রয়ে ছোট ভাইবোনের বাবা-মার দায়িত্ব পালন করছে আইরিন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরে অবস্থিত আইরিন পোল্ট্রি মুররি হাউজের স্বত্বাধিকারী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির নাবালক তিন শিশু। বাবা আমিন শেখের ঋণের দায়ে ৩টি শিশু একটি বেসরকারি ব্যাংকের দায়ের করা অর্থ ঋণের মামলার আসামি। বাবা মারা গেছেন আরও দুই বছর আগে।

আর এ মামলায় তাদের মা পপি খাতুন দুইমাস যাবত জেলহাজতে থাকায় শিশুদের জীবন এখন বিষাদে ভরা আর যন্ত্রণায় কাতর। বৃদ্ধ দিনমজুর নানা সিরাজ শেখ এতিম এই শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিকারের আশায়। তবে সমাধানের পথ এখনও পাননি তারা।

শিশুদের নানী বলেন, দুইমাস হলো আমাদের মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তিন শিশুকে আমরা পালছি। বুড়ো মানুষ আমরা, আয়-রোজগার নেই কীভাবে এই বাচ্চাদের দেখাশোনা করবো?

ছোট্ট শিশু নাঈমা বলে, আমার আম্মুকে এনে দাও। আমি আম্মুর কাছে যাব। আম্মুর জন্য আমার কষ্ট লাগে।

১০ বছরের শিশু আইরিন বলে, ভাইবোন দুটো ঘুমের ঘরেও পুলিশ-পুলিশ বলে কান্না করে। আমার আব্বার লোন মাফ করে আমার মারে ছাড়িয়ে এনে দেন।

তিন শিশুর নানার অভিযোগ, অভাগা নাতি-নাতনিরা এখনও ঠিকমতো টাকা, ঋণ, লেনদেনের অর্থই বোঝে না। তাদের বয়স লুকিয়ে তাদের আসামি করেছে ব্যাংকটি। নিজেরই সংসার চলে না তার ওপর যুক্ত হয়েছে কন্যার এতিম নাবালক তিন সন্তান।

তিনি বলেন, আমার মেয়েটারে দুই মাস আগে ধরে নিয়ে গেছে। টাকার অভাবে তাকে জামিন করে আনতে পারিনি। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। মামলার কারণে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। মামলা আর তিন শিশু বাচ্চাকে নিয়ে কিছুই করতে পারছি না।

শিশুদের মামলার আসামি করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও সাপ্তাহিক চন্দনার সম্পাদক কাজী হাসান ফিরোজ। তিনি বলেন, আমিন শেখের ঋণের মামলায় তার স্ত্রী কারাগারে। তিন শিশু সন্তানও মামলার আসামি। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘণ। আমরা আশা করছি, আদালত এবিষয়ে সুবিবেচনা করবেন।

শিশু তিনটির মা পপি খাতুনের মুক্তি ও মৃত আমিন শেখের ঋণ মওকুফ করে এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছে প্রতিবেশীরাও।


পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ছবি:প্রতীকী

আত্মহননকারী যুবকের নাম রুবায়েত রাজ হাসনাত অপূর্ব (২২)। সে গলাচিপা এলাকার ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সে ছাদে উঠা থেকে শুরু করে ছাদে কিছু সময় হাঁটাহাটি করা পর্যন্ত আশেপাশে কেউ ছিলনা। তার পরিবার থেকে জানিয়েছে, পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়াতে সে বিষন্নতায় ভুগছিলেন।


কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার সব এলাকায় আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) মনোহরদি গ্যাস মিটারিং স্টেশন মোডিফিকেশন কাজের উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য এ স্টেশন থেকে মনোহরদী ডিআরএস এবং কিশোরগঞ্জ ডিআরএসগামী পিএসআইজি গ্যাস লাইনে আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যার কারণে কিশোরগঞ্জ জেলা ও মনোহরদী উপজেলার পুরো এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া নরসিংদী, রূপগঞ্জ, ঢাকা মহানগরীর পূর্বাঞ্চল, কালিগঞ্জ, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়ও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।




ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় রেললাইনের ভাঙা অংশের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও ভাঙন দেখা দিলেও তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্বে রেললাইনের একটি অংশে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। প্রতিদিন এই পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের একাধিক ট্রেন চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা প্রতিদিন এই রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে দেখি। কিন্তু রেললাইনের এই ভাঙা অংশ দেখে আমরা খুবই আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।" 


গফরগাঁও রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় চার-পাঁচ স্থানে এ রকম ছোট ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) মশাখালী স্টেশন থেকে অব্যবহৃত লাইন কেটে ওই ক্ষত জোড়া লাগানো হবে। এ বিষয়ে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, "রেললাইনের ভাঙা অংশ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।" 

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রেললাইনের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে।


উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের অবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রেললাইনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। তাই রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রেলওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেললাইনের নিয়মিত পরিদর্শন ও দ্রুত মেরামতের কোনো বিকল্প নেই। এতে করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধান দিয়ে বানানো ২১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা। উপজেলার লালবাগ যুব কিশোর সংঘের মণ্ডপে ধান দিয়ে বানানো হয়েছে ২১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা।

এতে লেগেছে প্রায় ৫০ কেজি ধান। ব্যতিক্রমী এই প্রতিমা বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ দিন। ধান দিয়ে বানানো এত বড় প্রতিমা দেখতে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লালবাগ গোসাইবাড়ি সড়কে লালবাগ যুব কিশোর সংঘের পূজামণ্ডপে এই প্রতিমায় সরস্বতীপূজা হয়।

প্রতিমাটি তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পী উদয় পাল ও গৌর পাল। উদয় পাল বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে এই প্রথম আমরা ধান দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছি। প্রায় ৫০ কেজি ধান, খড়, গাম, ইত্যাদি দিয়ে এই প্রতিমা বানিয়েছি। টানা এক মাস আমরা কাজ করে প্রতিমাটি বানাতে পেরেছি।

লালবাগ যুব কিশোর সংঘের সভাপতি কৌশিক দত্ত  বলেন, ‘আমাদের সংঘের এ বছর ২৫তম আয়োজন। ২৫তম আয়োজনটি স্মরণীয় করে তুলতে আমরা প্রায় ৬ মাস আগে থেকে ব্যতিক্রম কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কমিটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, এ বছর আমরা ধানের প্রতিমা তৈরি করব। সেটা দেখতেও যেন অনেক উচ্চতার হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিমাশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলি। প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই প্রতিমা তৈরিতে।’


কুমিল্লার বিএনপির পূর্বের কমিটির বিলুপ্তির এক মাসের মাথায় (২ ফেব্রুযারি) সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমনকে আহ্বায়ক ও আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিটিতে ১ নং যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন আমিরুজ্জামান আমীর। এছাড়া সদস্য পদে রয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক হাজী আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

তবে এই কমিটি ঘোষণা পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রশংসা করছেন, আবার অনেকে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। কমিটি নিয়ে শীর্ষ নেতারাও কথা বলছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বিগত ১৫ বছর ধরে দলের নেতাকর্মীদের ছায়া দিয়ে রেখেছেন। মামলা পরিচালনা করতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। তাঁর নামে চাদাঁবাজির কোন একটি অভিযোগও নেই। হাজী ইয়াছিনের মত ক্লিন ইমেজের লোককে সদস্য করে উনার সাথে উপহাস করা হয়েছে। এখানে সদস্য করে উনার মহানগর কমিটিতে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হল। উনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

এদিকে একাধিক নেতাকর্মী জানান, এই কমিটি ৩১ বা ৪১ সদস্য বিশিষ্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কি কারণে আবার ৫ সদস্য বিশিষ্ট করা হল, তা বোধগম্য নয়। 


কুমিল্লায় পৃথক স্থান থেকে এক শিশু ও বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ছবি : লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড় |

সোমবার সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড়ে এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমান গন্ডার ধনুসরা এলাকায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বরুড়া উপজেলার জসীমউদ্দীনের নয় বছরের ছেলে রিফাত এবং চৌদ্দগ্রাম  উপজেলার ধনুসরা জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মুমিনের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬৫)।

সদর দক্ষিণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, লালমাইয়ের চন্ডীমোড়া পাহাড়ের উপর অজ্ঞাত এক শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি থানায় নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, রিফাত ১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তার পরের দিন ২ ফেব্রুয়ারি বরুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

রিফাতের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত চিহ্ন রয়েছে বলে জানানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে নিহত সাহিদা বেগমের স্বামী আব্দুল মুমিন জানান, ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তিনি এবং তার স্ত্রী এক সঙ্গে ঘুম থেকে উঠেন। পরে তিনি মসজিদে চলে যান। মসজিদ থেকে ফিরে সাহিদাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঘরের পাশে সেপটিক ট্যাংকের সামনে সাহিদা বেগমের জুতা ও জামা দেখতে পান।

পরে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর দিল পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।”


গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে সাঁজোয়া যান নিয়ে সারা রাত টুঙ্গিপাড়া থানা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে অবস্থান করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক ব্যক্তিতে আটকের জেরে এ ঘটনা ঘটে। টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশ বলছে, হামলাকারী সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক। হামলায় টুঙ্গিপাড়া থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে স্থানীয় আ. লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সাফায়েত গাজীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ সময় পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করাসহ একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে তাদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। পরে থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারাও তোপের মুখে পরেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারা রাত অবস্থান করছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের থানাসহ সকল পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানার চারপাশে অবস্থান করেছে। হামলায় ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে সেই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে ওসির কাছে পৌঁছে দেই। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।



সিলেটের ওসমানীনগরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমাননীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোনায়েম মিয়া। তিনি জানান, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ওসমানীনগর উপজেলার উনিশ মাইল এলাকায় ঢাকাগামী ট্রাক ও সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়। 

নিহতরা হলেন- সায়মা আক্তার ইতি, শামীমা ইয়াসমিন, সোহেল ভূঁইয়া, ও শিশু আয়ান। তারা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। প্রাইভেটকার যোগে ঢাকার ডেমরা থেকে সিলেট ঘুরতে যাচ্ছিলেন।  এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাককে জব্দ করা হলেও চালক পলাতক বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


কুমিল্লায় প্রস্তুতি চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার। পূজার উপকরণ ও প্রসাদ বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে সাদা কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে মণ্ডপ গুলোতে। শহরের রাজেশ্বরী কালী মন্দিরে বসেছে প্রতিমা বিক্রির হাট। এছাড়াও কুমিল্লা নগরজুড়ে ৪-৫ টি স্থানে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে। ছোট প্রতিমার মুল্য দুইশত টাকা বড় সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা।

শহরের রাজেশ্বরী কালী মন্দিরে বসেছে প্রতিমা বিক্রির হাট
কাল ও পরশু সরস্বতী পুজার আয়োজন হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ রাজেশ্বরী কালী মন্দির, কুমিল্লা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন মন্দির ও বাড়িতে প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্দিরের মোড়ে মুড়ি, বাতাসা, জিলাপি, খই, নানা ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে। এসব খাদ্য পূজার প্রসাদ।

কাল ও পরশু সরস্বতী পুজার আয়োজন হবে
শিক্ষার্থী শুক্লা মল্লিক বলেন, গত জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আমরা বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার এক মহান প্রত্যয় গ্রহণ করেছি। এবারের সরস্বতী পূজা তাই এক ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজিত হতে চলেছে। দুদিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরে চিত্তবিনোদন উপযোগী বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও বিশুদ্ধ খাবার দোকানের থাকবে। আমরা সব সময় পূজাতে আনন্দ করি। পূজা আসলে আমার কাছে ভালো লাগে।

কুমিল্লা নগরজুড়ে ৪-৫ টি স্থানে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে
নিরাপত্তার বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, পূজার আনন্দ যেন কোন অপশক্তি ম্লান করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সদস্যরা মাঠে সর্বোচ্চ নজরদারি চালাচ্ছেন। কোন মহল ষড়যন্ত্র করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহম্মেদ টুটুল এবং সদস্য হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন রয়েছেন।


জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কমিটি আসছে।


এই অবস্থায় দলের মধ্যে কোনো বৈরিতা না রেখে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুই সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন গোলাম ফারুক খোকন।

তার আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।


এই প্রথম বাগেরহাট থেকে বিদেশে টমেটো রপ্তানি শুরু হয়েছে।এরই মধ্যে বাগেরহাটের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করে ৪০ মেট্রিক টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। দেশি বায়ারের মাধ্যমে এসব টমেটো রপ্তানি করা হয়।

আগামী চার দিনের মধ্যে আরো ২৬ মেট্রিক টন টমেটো রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। রপ্তানির খবরে চাষিরা টমেটো চাষে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার টমেটো চাষিদের যোগাযোগ করার কাজ চলছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি আগামী দিনে বাগেরহাট থেকে নানা ধরনের সবজি বিদেশে রপ্তানির হবে, এমন আশার কথা জানান তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ।
যেসব জাতের টমেটো বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বাহুবলী, বিউটিফুল-২, বিপুল প্লাস, পিএম-১২২০ ও মিন্টু সুপার। এসব টমেটো উচ্চ ফলনশীল জাতের ও সুস্বাদু।

বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় জমিতে এবং মৎস্যঘেরের পারে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা টমেটো ঝুলছে। হাটবাজারে টমেটোর ছড়াছড়ি। ভ্রাম্যমাণ রিকশা ভ্যানে হ্যান্ডমাইকিং করে টমেটো বিক্রি করা হচ্ছে।

হাটবাজারে খুচরায় কেজিপ্রতি টমেটো ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও পাইকারিতে এর অর্ধেক দামে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবছরই বাগেরহাটে শীত মৌসুমের এই পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে চাষিদের টমেটো বিক্রি করতে বেগ পেতে হয়। এ কারণে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট থেকে টমেটো রপ্তানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর দুই হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ৩৫ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে জেলায় এ বছর ৭৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদিত হওয়ার কথা। কিন্তু টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। হেক্টরপ্রতি ৪০ মেট্রিক টন পর্যন্ত টমেটো উৎপাদিত হয়েছে। এখনো গাছে গাছে টমেটো ঝুলছে।

চিতলমারীর চর বানিয়ারি গ্রামের শৈলেন নাথ জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করেছেন। তাঁর আট বিঘা জমিতে গাছে গাছে পাকা টমেটো ঝুলছে। এখন পাইকারি বাজারে তিন-চার টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে। যে দামে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে টমেটো তুলতে শ্রমিকের বেতনের টাকাও উঠছে না। এ কারণে টমেটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।

মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, এ বছর বিভিন্ন জাতের তিন হাজার টমেটোর চারা রোপণ করেছেন তিনি। টমেটোর খুব ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে ভালো দামে বিক্রি করলেও মাঝে পাঁচ-ছয় টাকা দরে টমেটো বিক্রি করেছেন। এতে তাঁর লোকসান হচ্ছিল। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি তাঁর টমেটো রপ্তানির জন্য উদ্যোক্তা ফয়সাল আহম্মেদের কাছে ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। টমেটো রপ্তানি হওয়ায় তিনি লাভবান হচ্ছেন। শুধু তাঁর একার নয়, আশপাশের অনেক চাষির টমেটো রপ্তানির জন্য ওই উদ্যোক্তা ক্রয় করছেন। এই প্রথম তাঁদের এলাকায় উৎপাদিত টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে। টমেটো রপ্তানির খবরে হেলাল উদ্দিনের মতো বাগেরহাটের অনেক চাষি খুশি।

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শীত মৌসুমের শেষ ভাগে বাজারে চাহিদা না থাকায় তাঁদের এলাকায় শত শত বিভাগ জমির টমেটো নষ্ট হয়। কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ার কারণে চাষিরা জমি থেকে টমেটো তুলতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে ওই টমেটো চাষিদের কথা চিন্তা করে বিদেশে যাঁরা টমেটো রপ্তানি করেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় দেশের দুজন বায়ারের মাধ্যমে টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি শুরু হয়েছে। তিনি উদ্যোগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে জেলার মোল্লাহাট, চিতলমারী ও ফকিরহাট উপজেলার চাষিদের কাছ থেকে টমেটো কিনে বায়ারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এখান থেকে প্যাকেজিং হয়ে গাড়িতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টমেটো। এরপর জাহাজে ফ্রিজিং কনটেইনারে করে টমেটো মালয়েশিয়ার বাজারে যাচ্ছে।

প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদের তথ্য মতে, ৪০ মেট্রিক টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে টমেটোর ওই চালান মালেশিয়ার বাজারে পৌঁছবে। আরো ২৬ টন টমেটোর অর্ডার রয়েছে। সে মোতাবেক তিনি চাষিদের কাছ থেকে টমেটো কিনছেন। আগামী বুধবারের মধ্যে টমেটোর দ্বিতীয় চালান রপ্তানির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। প্রথম ৪০ মেট্রিক টন টমেটো ছিল মিষ্টি জাতের এবং এখন যেসব টমেটো যাচ্ছে তা অনেকটা টকজাতীয় বলে তিনি জানান।


কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। যিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন।

শনিবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বাংঙ্গড্ডা ইউনিয়নের বাংঙ্গড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।

নিহত মো. সেলিম ভূঁইয়া (৪৫) উপজেলার হেঁসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বাংগড্ডা বাজারে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেখান দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া সমর্থিত একটি গাড়িবহর অতিক্রম করার সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে সেলিম ভূঁইয়া নিহত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিহত সেলিম সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার কর্মী ছিলেন বলে দাবি নেতাকর্মীদের।

ওসি ফজলুল হক বলেন, দুইপক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। তার মৃতদেহ হাসপাতালের রয়েছে।


কুমিল্লায় প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ আ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর উদ্যোগে ‘উচ্চ মূল্যের নিরাপদ ফসল চাষাবাদ কৌশল এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ বিষয়ক আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী জেলার মেঘনা উপজেলার হরিপুরে শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহণে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. বকুল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মীর শহিদুল হক। এতে কৃষকদের আধুনিক কৃষি সম্পর্কিত নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন গার্ডেন ফ্রেশ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী অফিসার ইব্রাহিম মোশারফ। 

এ সময় কৃষকদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কৃষক ও প্রকৌশলী শেখ ফয়সল আহমেদ।

কর্মশালায় কৃষকরা রকমেলন, ক্যাপসিকাম, শসা, বড়ই, পেয়ারা চাষ এবং ফসল রোপন, ফলন উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে কৃষকরা প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ আ্যন্ড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিদর্শন করে।
 


চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী ঋভু মজুমদার ও যুবলীগ কর্মী মো.জামাল।

ছবি: গ্রেপ্তার দুই আসামি (সংগৃহীত)|

গতকাল সোমবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ঋভু মজুমদার ও মো.জামালকে শনাক্ত করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজন আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যার মামলায় আসামি।

গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম নগরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুলি ও হামলায় ১০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। এসব ঘটনায় নগর ও জেলায় ২১৯ টি মামলা হয়। ইতিমধ্যে সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে পলাতক রয়েছেন বেশির ভাগ আসামি।