0201251735807594appweb-logo.png
Loading...

আবরার হত্যা মামলা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল


  • 0112241733050992facebook.png
  • 0112241733051074icon-linkedin.png
  • 0112241733051118icon-twitter.png
  • 0312241733211435icon-instagram.png
  • 0312241733211479icon-youtube.png


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবারই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এছাড়া, ৫ আসামিকের নিম্ন আদালতের দেয়া যাবজ্জীবনও বহাল রাখা হয়েছে।

আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু।

রায় ঘোষণার পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এ সময় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আবরার ফাহাদের ভাই ফাইয়াজ বলেন, হাইকোর্ট থেকে এই দ্রুত রায় পাব তা চিন্তায় ছিল না। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যদিও এখনও অনেকগুলো প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে মেনে নিতে পারছি না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আবরার ফাহাদের পরিবার এবং জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‍এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্দ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব। আশা করছি সেখানে ন্যায়বিচার পাব।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে হাইকোর্ট। পরে আজ রোববারের কার্যতালিকায় মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় হয়।রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন: বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়।



Leave a comment


Please note, comments must be approved before they are published

View all comments